সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

জামিয়া তালীমুল কুরআন সিলেট

October 04 2018, 12:39

প্রতিষ্ঠানের নাম :- জামিয়া তালীমুল কুরআন সিলেট

প্রতিষ্ঠা কাল :- ১৪২৩ হিজরী মোতাবেক ২০০৩ ঈসায়ী

প্রতিষ্ঠাতা :- শায়খুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীক রাহ.

প্রতিষ্ঠাকালিন মুহতামিম :- শায়খুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীক রাহ.

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষাসচিব :- মাওলানা ক্বারী ইমদাদুল হক

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকবৃন্দ :- শায়খুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীক রাহ.
মাওলানা ক্বারী ইমদাদুল হক
মাওলানা ক্বারী হারুনুর রশীদ

প্রতিষ্ঠাকালিন জামাত সংখ্যা, বর্তমান সমাপনী জামাত / দাওরায়ে হাদিস উদ্বোধনীর সন :- মকতব পঞ্চম শ্রেণি, নূরানী বিভাগ, হিফজ বিভাগ ও ইলমুল কিরাআত বিভাগ দিয়ে মাদরাসার সূচনা। বর্তমানে কাফিয়া জামাআত পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চলছে।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে চলমান সময় পর্যন্ত কৃতি শিক্ষার্থীর নাম, তাদের বর্তমান সামাজি অবস্থা :- মাওলানা ক্বারী ইবাদ বিন সিদ্দিক (শিক্ষক, আইটি বিশেষজ্ঞ)
মাওলানা ক্বারী আলাউর রহমান হাবীব (শিক্ষক-ঢাকা মাদানীনগর)
মাওলানা ক্বারী ওলিউর রহমান (লেখক)

অত্র অঞ্চলের মানুষকে নিরক্ষরতা দূরিকরণে মাদরাসার ইতিবাচ ভূমিকা, মানুষের সামাজিক সাংস্ক্রিতিক দৈনতার পরিবর্তনে প্রতিষ্ঠানের অবদান :- চারদিকে মুর্খতার আঁধার আর ভ্রষ্টতার ঘোর তিমিরে নিমজ্জিত মুসলিম অধ্যুষিত বাংলার জনপদ। ধর্মীয় তাহজীব-তামাদ্দুন চরম হুমকির সম্মুখিন। শিরক, বিদআতের নগ্নছোবল গোটা সমাজের রন্দ্রে-রন্দ্রে। সহ শিার অভিশাপে ইসলামী শিা একটি কেন্দ্রবিন্দুতে ঘুর্ণায়মান। কুরআন হাদিস ও দ্বীনি ইলমের সঠিক শিা নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ। যার দরুন মুসলিম নর-নারী আজ তাজবীদ সহ কুরআনের যথার্থ শিা হতে বঞ্চিত। অথচ মহান আল্লাহ বলেন, “তোমরা তারতীলের সাথে (বিশুদ্ধভাবে) কুরআন পাঠ কর”। মহানবী স. বলেন, “তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা কুরআনুল কারীম শিা করে এবং অন্যকে শিা দেয়”। কুরআনের প্রশিণ গ্রহণ এবং অন্যকে প্রদান সর্বোত্তম ইবাদত বলে অত্র হাদীস দ্বারা বিবেচিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠি আজ বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াতের ব্যাপারে উদাসীন। এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও গুরুত্বানুভব করতে অনেকেই গাফেল!
সময়ের এ নাজুক সন্ধিণে অশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত থেকে পরিত্রাণ ও সমাজের সর্বস্থর হতে কুসংস্কার তথা সকল গোমরাহীর আঁধার মুলোৎপাঠন করত; তদস্থলে কুরআনী সংস্কৃতি এবং সহীহ কুরআন শিার আলো বিকিরণের মহান দায়িত্ব গ্রহণ করে আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ।
শিক্ষার্থীর মধুর তিলাওয়াতে এলাকা আজ মুগ্ধ, বিমোহিত।

মাদরাসার স্বর্ণজ্জ্বল ইতিহাস :- শাইখে ভানুগাছী রহ. ছাত্র অবস্থায়ই ইলমুল ক্বিরাআতের প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন। মুসলিম উম্মাহ’র অশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত দেখে তাঁর মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। মানুষকে কিভাবে সহিহ কুরআনের তা’লীম দেয়া যায় সেই ফিকিরে তিনি রাত দিন ব্যস্ত হয়ে পরেন। একদিন বালাগঞ্জ জামে মসজিদে তাঁর উস্তাদ আল্লামা নূর উদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহ. এর নিকট গিয়ে অশ্রু সজল নয়নে অত্যন্ত মিনতির সুরে বললেন, হুজুর! আপনারা দুনিয়ায় থাকতে আমরা মাহরুম হতে চলছি। প্রয়োজন কেবল আপনার ইজাযত আর দু‘আ। আমি আগামী রমজান থেকে আল্লাহর এই জমিনে কেউ স্থান না দিলে প্রয়োজনে যে কোনো গাছ তলায় কুরআনের সহিহ তা’লীম শুরু করতে চাই। হজুর বললেন: যাও! কাজ শুরু কর। [সুবহানাল্লাহ] তিনি [আলী আকবর] অনেক আগে থেকেই কিছু একটা করবেন তা তাঁর মনের মাঝে পোষে রাখেন। দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে একটি সুন্দর পথ খুঁজছিলেন। আর সে সুবাধে একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন ‘[si]আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ[/si]’। আজ তা বাস্তবায়িত হয়েছে। গহরপুরী হুজুরকে বললেন- হুজুর! কাজ শুরু করবো ঠিকই তবে আপনাকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চাই। আবদারের সাথে সাথে গহরপুরী হুজুরের দিকে বাড়িয়ে দিলেন কাগজ-কলম। হুজুর আনন্দচিত্তে তাতে স্বাক্ষর করে নিলেন। গহরপুরী হুজুরের ইজাযত পেয়ে সেদিন থেকে শুরু হয় আঞ্জুমানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। সেদিন ছিলো ১৪০২ হিজরীর ৫ জুমাদাল উলা, ২৬ ফাল্গুন ১৩৮৮ বাংলা, ১০ মার্চ ১৯৮২ ইংরেজি। একে একে দেশ বরেণ্য উলামা, মাশাইখ ও সুধী মহলের সুপরামর্শে হাটি হাটি পা পা করে [si]আঞ্জুমান[/si] আজ সফলতার এ প্রান্তে। শাইখে ভানুাগছীর স্বপ্ন ছিলো আঞ্জুমানের মূল ভবনের দু’তলা পর্যন্ত দেখে ইন্তেকাল করা। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তাঁর মকবুল স্বপ্নকে কবুলও করেছেন।

মাদরাসার বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে আগামীর পরিকল্পনা :- জামিয়ার বৈশিষ্ট্য :
১। যুগোপযোগী সিলেবাসের মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে ট্রেনিংপ্রাপ্ত সুদক্ষ শিক্ষকম-লী দ্বারা সহিহ শুদ্ধভাবে পূর্ণ কুরআন শরীফ শিক্ষাদান।
২। আঞ্জুমান, ন্যাাশনাল কারিকুলাম ও কাওমি মাদরাসা সিলেবাসের সমন্বয়ে পাঠদান।
৩। আবাসিক/অনাবাসিক ব্যবস্থা এবং অনাবাসিক ছাত্রদের জন্য জামিআর নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা।
৪। ছাত্রদের থাকা খাওয়ার জন্যে উন্নতমানের বোর্ডিং ব্যবস্থা।
৫। আরবি শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে সমান গুরুত্ব প্রদান।
৬। লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সাপ্তাহিক, মাসিক ক্লাশটেস্ট ও সেমিস্টার পদ্ধতিতে বছরে তিনটি পরীক্ষাগ্রহণ।
৭। ক্লাসের বাইরে শিক্ষকদের বিশেষ তত্ত্বাবধানে ফ্রি-কোচিং এর ব্যবস্থা এবং ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।
৮। শরীরচর্চা, ইসলামী সংস্কৃতিচর্চা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ছাত্রদের সমসাময়িক জ্ঞানর্জনে উৎসাহ প্রদান।
৯। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে আরবি ও ইরেজি ভাষায় অনর্গল কথা বলার দক্ষতা অর্জনে বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স।

পরিকল্পিত বিভাগসমূহ :
(ক) কিতাব বিভাগ (উচ্চ মাধ্যমিক)
(খ) তাখাস্সুুস ফিল ক্বিরাআত (সাব’আ-আশারাহসহ অনার্স কোর্স)
(গ) বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা
(ঙ) দা’ওয়াত ও তাবলিগ
(চ) স্বতন্ত্র মহিলা মাদরাসা শাখা।

মাদরাসাটি যে বোর্ডের অধিনে :- ১. বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ। ২. আযাদ দীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ। ৩. তানযিমুল মাদারিস শিক্ষাবোর্ড সিলেট। ৪. পিএসসি জুনিয়র সার্টিফিকেট [সরকারি]

মাদরাসার হিসাব ব্যাবস্থা / ফান্ড:- সাধারণ ফান্ড। বোর্ডিং ফান্ড। দরিদ্র তহবিল

বর্তমান মুহতামিম :- মাওলানা ক্বারী ইমদাদুল হক

বর্তমান মুহতামিমের মোবাইল নাম্বার :- ০১৭১১০৬৭১৬৩

বর্তমান শিক্ষাসচিব :- মাওলানা মোহাম্মদ আলী

বর্তমান শিক্ষকবৃন্দের তালিকা :- মাওলানা ক্বারী ইমদাদুল হক
মাওলানা ক্বারী ইনাম বিন সিদ্দিক
মাওলানা ক্বারী জুবায়ের আহমদ আনোয়ারী
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
মাওলানা ক্বারী ইবাদ বিন সিদ্দিক
মাওলানা আবুল হোসাইন শরীফ
মাওলানা হাফিজ বদরুল ইসলাম
মাওলানা হাফিজ আব্দুল গাফফার নোমান
মাওলানা হাফিজ আনোয়ার হোসাইন
মাস্টার সাবেরীন আহমেদ
মাস্টার হাবিবুর রহমান

চলমান মোট ছাত্র সংখ্যা :- ৩০০

চলমান দাওরায়ে হাদিস ছাত্র সংখ্যা :- নাই

চলমান ছাত্রাবাসে অবস্থান রত ছাত্র সংখ্যা :- ১২০

তথ্য দানকারীর নাম :- আবু জাওয়াদ

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৬১৯২৩৭৭২০

তথ্য দানকারীর ইমেইল :- enambs12@gmail.com

Spread the love