সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসা

November 15 2018, 03:45


Manual5 Ad Code

প্রতিষ্ঠানের নাম :- দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসা

প্রতিষ্ঠা কাল :- ২০১০

প্রতিষ্ঠাতা :- আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আমজাদ শাহ জুনায়েদ,

মাষ্টার মহীউদ্দীন আখন্দ রহ.

Manual7 Ad Code

প্রতিষ্ঠাকালিন মুহতামিম :- আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আমজাদ শাহ জুনায়েদ

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষাসচিব :- হাফেয মাওলানা আবুল কালাম দা.বা

Manual5 Ad Code

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকবৃন্দ :- আলহাজ্ব মাওলানা আমজাদ শাহ জুনায়েদ
মাওলানা মাহমুদুল হাসান
হাফেয মাওলানা আবুল কালাম

প্রতিষ্ঠাকালিন জামাত সংখ্যা,বর্তমান সমাপনী জামাত / মাদরাসা দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত হলে্ এর উদ্বোধনীর সন :- নূরানী, নাযেরা, হিফয, জামাতে তাইসীর
বর্তমান জামা আতে মিশকাত

Manual5 Ad Code

অত্র অঞ্চলের মানুষকে নিরক্ষরতা দূরিকরণে মাদরাসার ইতিবাচ ভূমিকা, মানুষের সামাজিক সাংস্কৃতিক দৈনতার পরিবর্তনে প্রতিষ্ঠানের অবদান :- অত্র অঞ্চলে নিরক্ষরতা দূরীকরণ মাদরাসা অবদান অপরিসীম
মাদরাসাটি এমন এক অজপাড়া গায়ে অবস্থিত যেখানের মানুষের মাঝে না ছিল সাধারণ শিক্ষা না ছিল দীনী শিক্ষা। উপরন্ত অপসংস্কৃতি ও নেশার কবলে ছিল নিমজ্জিত। মানুষ ধর্ম কর্ম সম্পর্কে ছিল চরম উদাসীন। গুটি কয়েক গ্রাম্য মোল্লার অধীনে গ্রামের ধর্ম কর্ম পরিচালিত হত। যারা না ছিল সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত না ছিল ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত। যারা শুদ্ধ তিলাওয়াতের কিছুই বুঝতনা। কুর আনে হাকীম কে শুদ্ধ করে তিলাওয়াত না করতে পারলে নামায ই হবেনা। এটা তাদের বোধগম্যই ছিল না। ইসলাম ও মুসলমান কি জিনিস?? এর কোন বালাই তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হত না। তারা ধর্ম কর্ম বলতে বুঝত যে, কোন রকমে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়, মানুষের বিপদাপদে দোয়া দুরুদ পড়িয়ে দেওয়া। সাধারণ মানুষ ও ধর্ম কর্ম বলতে এতটুকু বুঝত যে, স্থানীয় ইমাম ডেকে মাঝে মধ্যে মিলাদ পড়িয়ে নিলেই যথেষ্ট, বিষয়টি তাদের কাছে এতই গুরুত্ত্বপূর্ণ ছিল যে, তারা বিশেষ বিশেষ দিনে মিলাদ পড়ানোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সংগে বিবেচনা করতেন, এই দিন দিন গুলোতে তারা সুন্দর জামা কাপড় পরে টুপি মাথায় দিয়ে,
অত্যন্ত নম্র ভদ্রভাবে হুজুরদের সামনে আসতেন, হুজুর কথাগুলো খুবই মনযোগ দিয়ে শুনতেন, নিজের মধ্যে এক ভীতিকির অবস্থা সৃষ্টি করতেন হুজুরের যেকোন ধমক, শাঁষানো কে খুব সহজভাবে মেনে নিতেন, হুজুরের যেকোন কঠোর আচরন হাসিমুখে মেনে নিতেন। এই দিনগুলোতে নিজেদেরকে খুব উদারভাবে প্রকাশ করতেন, ধর্মীয় প্রয়োজনে যেকোন আবদার সহজেই পূরনের চেষ্টা করতেন, ধর্ম কর্ম পালন মানে তারা মীলাদ পড়াকে যথেষ্ট ও পালনীয় মনে করতেন ফলে শবে বরাত শবে কদর আসলে তো ইমামগনের অবস্থা চরম কাহিল হয়ে যেত। প্রত্যেক ঘরেই তাদের মীলাদ পড়তে হত, এমনকি হতদরিদ্র মানুষ যাদের দিনে এনে দিনের খাওয়ার মতও অবস্থা নেই তারাও মীলাদ পড়ানোকে হাত ছাড়া করতেন না। প্রয়োজনে কিস্তি নিয়ে হলেও এই বিষয়টিকে সমাধান করাটাকে নিজের জন্য গৌরবের মনে করতেন।
কারো মৃত্যুর তিন দিনা চল্লিশা আবশ্যক মনে করতেন। ও তার ছুটে যাওয়া নামায রোযার কাফফারা হিসেবে মসজিদে পাঁচ দশটি কুরান শরীফ প্রদান করেই তৃপ্তির ঢেকুর ফেলত।
বিশেষত ধর্মীয় গুরুত্ত্বহীন কয়েকটি বিষয় নিয়ে সবসময় উলামায়ে হক কে ঘায়েল করার চেষ্টা করত। এব্যাপারে একশ্রেণির আলেম দাবীদার কিছু ব্যক্তি তাদেরকে উস্কানি দিয়ে রাখত। আলহামদুলিল্লাহ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে অধ্যাবদি মাদরাসার উস্তাদ ও ছাত্রগনের নীরব চেষ্টা ও রাতের রোনাজারির বদৌলতে আল্লাহ পাকের মেহেরবানীতে সমাজ অনেকটাই কুসংস্কার ও বেদাত মুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিশেষ করে আমার উস্তাদ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন মুহতামিম আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আমজাদ শাহ জুনায়েদ সাহেবের দক্ষ পরিচালানা যাদুকরি কৌশল এ আল্লাহ উক্ত গ্রাম কে সামাজিকভাবে ও অনেক উওন্নতি দান করেছেন আল্লাহ হযরতকে দীন কাজের ব্যাপারে এম৷ উদ্ভাবণী শক্তি দান করেছেন যে, সমাজের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে নিত্য–নতুন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে দীনের সকল বিষয়গুলোকে সুনিপুনভাবে পরিচালনা করে আসছেন।
হুজুরের কৌশলগুলো এতই চমৎকার হয় যে, হুজুরের বিরদ্ধবাদীরা পর্যন্ত হুজুরের কৌশলগুলোকে নিজের মিশন বাস্তয়নে মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করে কিন্তু কৌশলগুলো অন্তত্য সুনিপুণ হওয়ার কারণে এগুলো তাদের মিশন বাস্তবায়নে অকাল মৃত্যুর কারণ হয়।
আল্লাহ হুজুরকে যেমন বিশাল কর্মকৌশলের মালিক মানিয়েছেন তেমনি বানিয়েছন মহৎ ধৈর্যের অধীকারী হুজুর যে কি পরিমান ধৈর্যশীল এটা কাছ থেকে দেখে ও এক মানুষের বিশ্বাস করাটা কঠিন হয়ে যাবে।
নিরক্ষরতা দুরকরনার্থে হুজুর বয়স্ক কুরান শিক্ষা, রমযানে মসজিদে মসজিদে যেয়ে মানুষকে রোযা ও ইতিকাফের বিধান, শিক্ষাদান, কুরবানীতে মসজিদে মসজিদে পাড়ায় পাড়ায় যেয়ে কুরবানীর মাস আলা শিক্ষাদান, নামাযের আমলি মশকসহ মহিলাদের কুরান শিক্ষা, তালীম, ও ঘরোয়া মাহফিলের মাধ্যমে সমাজে এক শান্তির রাজ কায়েম করে যাচ্ছেন

মাদরাসার বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে আগামীর পরিকল্পনা :- মাদরাসাটি ইনশাআল্লাহপর্যায়ক্রমে দাওরায়ে হাদীস সহ ইফতা, হাদীস, তাফসীর, ও আদব বিভাগের সমন্বয়ে একটি পরিপুর্ন বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে

মাদরাসাটি যে বোর্ডের অধিনে :- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া ও দাউদকান্দি (মেঘনা-তিতাস) কওমী মাদরসা

মাদরাসার হিসাব ব্যাবস্থা / ফান্ড:- জেনারেল ফান্ড, গোরাবা ফান্ড

বর্তমান মুহতামিম :- মুফতি মাওলানা মনসূরুল হক্ব দাঃ বাঃ

বর্তমান মুহতামিমের মোবাইল নাম্বার :- 01819-183390

বর্তমান শিক্ষাসচিব :- মাওলানা আবরারুল হক্ব

বর্তমান শিক্ষকবৃন্দের তালিকা :- আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আমজাদ শাহ জুনায়েদ
মাওলানা আবরারুল হক
মুফতি ইকরামুল হক
মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ
মুফতি নাজযমুল ইসলাম
মুফতি আরিফ বিল্লাহ
মুফতি হাফিযুর রহমান
মুফতি আসাদুজ্জামান
হাফেয মাহদি হাসান
মাওলানা সাইফুল ইসলাম
মাওলানা যাইনুল আবিদীন
মৌলভী রাশেদুল ইসলাম
মাষ্টার নাসীরুদ্দীন

চলমান মোট ছাত্র সংখ্যা :- ১৮০

চলমান ছাত্রাবাসে অবস্থান রত ছাত্র সংখ্যা :- ১৫০

তথ্য দানকারীর নাম :- আব্দুল্লাহ হামেদ

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৮১৭–৫০৩৯৪৯

তথ্য দানকারীর ইমেইল :- Shahzonaid111@gmail

Manual6 Ad Code

Spread the love