সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলূম হুসাইনিয়া মাদরাসা

May 21 2018, 03:42


Manual5 Ad Code

প্রতিষ্ঠানের নাম :- ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলূম হুসাইনিয়া মাদরাসা

Manual6 Ad Code

প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা :- ডাক:ঢাকাদক্ষিণ-৩১৬১,ইউনিয়ন: ৬ নং ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ,থানা:গোলাপগঞ্জ,জেলা:সিলেট,বাংলাদেশ। মাদ্রাসার অবস্থান:আধ্যাত্মিক রাজধানী, শাহজালালের পূণ্যভূমি, শায়খুল ইসলামের প্রিয় মাটি, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন ঐহ্যবাহী ঢাকাদক্ষিণ বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে, ঢাকাদক্ষিণ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সন্নিকটে, রাস্তার পশ্চিম পাশে এল সাইজের ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বভন এবং রাস্তার পূ্র্ব পাশে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং মাঝখানে সুরম্য মাঠ নিয়ে মাদ্রাসার অবস্থান।

প্রতিষ্ঠা কাল :- ২১ শে জিলহজ্ব ১৩৭৭ হিজরী, মুতাবিক ২৪ শে আষাঢ় ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ,০৯ জুলাই ১৯৫৮ ঈসায়ী, রোজ বুধবার মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়৷ আলোচনা শুরু হয় ১লা জিলহজ্ব থেকে৷

প্রতিষ্ঠাতা :- এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান

প্রতিষ্ঠাকালিন মুহতামিম :- হযরত মাওলানা আব্দুল মতিন চৌধুরী শায়খে ফুলবাড়ী রাহ.৷

Manual6 Ad Code

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষাসচিব :- আল্লামা আব্দুর রহিম খাঁন শেরপুরী রাহ.

Manual2 Ad Code

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকবৃন্দ :- হযরত মাওলানা আব্দুর রহীম শেরপুরী,হযরত মাওলানা ইউনুস আলী শায়খে রায়গড়ী, মুফতি মাওলানা মুফজ্জল আলী সাহেব সিকন্দরপুরী, হযরত মাওলানা হেলাল আহমদ সাহেব ঘোষগাঁও, হযরত মাওলানা আব্দুল হামীদ সাহেব বারকোটি, হযরত মাওলানা আব্দুল কাহীর সাহেব আমকুনি, মাওলানা হাতিম আলী সাহেব শিলঘাট, মৌলভী আইয়ুব আলী সাহেব ফুলসাইন্দ, মৌলভী আব্দুর রহিম খান সাহেব রায়গড়ী,হাফিজ ফজলুর রহমান সাহেব নিশ্চিন্ত, মাওলানা নজির আহমদ সাহেব বারকোটি প্রমুখ আসাতেযায়ে কেরাম।

প্রতিষ্ঠাকালিন জামাত সংখ্যা,বর্তমান সমাপনী জামাত / মাদরাসা দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত হলে্ এর উদ্বোধনীর সন :- মানুষ গড়ার সফল কারিগর হযরত শেরপুরী হুজুর (রহ.) এর তত্ত্বাবধানে মাদ্রাসা প্রথমে আলিয়া পর্যন্ত অতঃপর ১৩৮৬হি. সনে জামাতে মিশকাত পর্যন্ত সুন্দর ও সু—চারুরূপে পরিচালিত হচ্ছিল, সাথে সাথে মাদ্রাসার সুনাম ও সুখ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল। তখন হাদীসে রাসুলের ফয়েজ ও বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চস্থর দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল ক্লাশ) খোলার চাহিদা ও তাগাদা চতুর্দিক থেকে আসতে লাগল।হযরত শেরপুরী হুজুর (রহ.) এর তত্ত্বাবধানে ১৩৮৬হি. সনের শিক্ষা বর্ষের শেষের দিকে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাত্র দশ বছরের মাথায় দাওরায়ে হাদীস খোলার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। অতঃপর ১৩৮৭ হিজরীর শাওয়াল মাসে হবিগঞ্জের মাওলানা ইমদাদুল হক সাহেবকে নিয়ে আসেন এবং তাঁকে দিয়ে দাওরায়ে হাদীসের দারস শুরু হয়।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে চলমান সময় পর্যন্ত কৃতি শিক্ষার্থীর নাম, তাদের বর্তমান সামাজিক- অবস্থান :- দাওরায়ে হাদীস আরম্ভ হওয়ার বছর থেকে একাধারে পাঁচ বছর পর্যন্ত ঢাকাদক্ষিণ মাদ্রাসা আযাদ দ্বীনি এদ্বারা বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষায় দাওরায়ে হাদীসে প্রথম স্থান অধিকার করে মাদ্রাসার সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়। প্রথম স্থান অধিকারকারী ফুযালাগণ হচ্ছেন: প্রথম বছর— সরহুম মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেব জাঙ্গালহাটা,দ্বিতীয় বছর— মরহুম মাওলানা ইব্রাহিম আলী সাহেব বড়লেখা, তৃতীয় বছর— মরহুম মাওলানা আব্দুল ফাত্তাহ সাহেব রায়গড়, চতুর্থ বছর—মরহুম মাওলানা গোলাম নবী সাহেব সুনামগঞ্জ, পঞ্চম বছর— মাওলানা আহমদ আলী সাহেব ভাদেশ্বর।এছাড়া মাওলানা লুৎফুর রহমান সাহেব মুহতামিম বাটুলগঞ্জ মাদরাসা,মাওলানা মখলিসুর রহমান সাহেব সাবেক নাযিমে তা’লিমাত অত্র মাদরাসা,মাওলানা শেখ ইয়াহইয়া সাহেব পরিচালক ওল্ডহ্যাম মাদানী একাডেমি ইউ.কে,মাওলানা শামসুল ইসলাম সাহেব সুনামগঞ্জী,মাওলানা আব্দূশ শহীদ সাহেব কলক্তা,সুনামগঞ্জ.মাওলানা আসাবুর রহমান সাহেব বুধবারিবাজার,মাওলানা জামাল আহমদ সাহেব বারকোটি, মাওলানা আব্দূশ শহীদ সাহেব জামালবাদ,সুনামগঞ্জ,মাওলানা জামাল উদ্দীন সুনামগঞ্জী,হাফেজ মাওলানা ছালেহ মোঃ জাকারিয়া সাহেব বর্তমান মুহতামিম অত্র মাদ্রাসা,মাওলানা সলমান আহমদ জামালগঞ্জি,মুহাদ্দীস সুবহানীঘাট মাদ্রাসা প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।তাছাড়া আরো অনেক অত্র মাদ্রাসা থেকে তাকমিল ফিল হাদীস ও হেফজ সম্পন্ন করে পৃথিবীর আনাচে কানাচে দ্বীনের খেদমতে ও উম্মতের হেদায়তের ফিকির নিয়ে ব্যস্ত আছেন।স্বল্পাপরিসরে সবার নাম উল্লেখ করা যাচ্ছে না।

অত্র অঞ্চলের মানুষকে নিরক্ষরতা দূরিকরণে মাদরাসার ইতিবাচ ভূমিকা, মানুষের সামাজিক সাংস্কৃতিক দৈনতার পরিবর্তনে প্রতিষ্ঠানের অবদান :- বৃটিশ পিরিয়ড থেকে ঢাকাদক্ষিণ এলাকা ছিল হিন্দুদের প্রভাবে প্রভাবিত, এখানে তাদের মহা প্রভূর পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। যাকে ঠাকুর বাড়ি বলেও ডাকা হতো।তখন অত্র এলাকার মুসলমানদের ধর্মীয় জ্ঞানের বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠান ছিলনা। এমনকি ঢাকাদক্ষিণ বাজারে নামাজ আদায়ের জন্য কোন মসজিদও ছিলনা। তাই ধর্মপ্রাণ মুরব্বিয়ানে কেরাম ও দ্বীনসচেতন যুবসমাজের প্রচেষ্ঠায় প্রথমে বাজারে একটি মসজিদ নির্মিত হয়। বর্তমানে যা উপজেলার শ্রেষ্ঠ একটি মসজিদ হিসেবে গণ্য। অতঃপর ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলূম হুসাইনিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠার করার পর থেকে দ্বীনের দায়ী গড়া ও তৈরী করার পাশাপাশি এলাকার সকল বেদা’আত ও কুসংস্কার দূর করণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এতে সফলও হয়েছে। আজো পর্যন্ত যাতে করে এলাকার মুসলমানরা কুরআন ও হাদীসের সঠিক জ্ঞান অর্জন করে,ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয় এধারা অব্যাহত রয়েছে।মাদ্রাসার আসাতেজায়ে—কেরাম ও বার্ষিক ওয়াজের হেদায়তী বয়ানে এলাকার জনগণ খুবই উপকৃত হতে থাকেন। এমনকি এলাকার অনেক বে-নামাজী নামাজী হয়ে যান, আর বহু ধর্মবিমূখম লোক তাওবা ও ইস্তেগফার করে আল্লাহভীরু হয়ে পড়েন। ফলে অত্র অঞ্চলে গড়ে উঠেছে নতুন করে অনেক মাদরাসা প্রায় সকল মহল্লায় তৈরী করাহয়েছে একের অধিক মসজিদ।এসব খোদার দান ও দারুল উলূম হুসাইনিয়া ঢাকাদক্ষিণের শ্রমের ফসল।

মাদরাসার স্বর্নোজ্বল ইতিহাস :- তখন ঢাকাদক্ষিণ এলাকায় মুসলমানদের ধর্মীয় জ্ঞানের বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠান ছিলনা।তাই ধর্মপ্রাণ মুরব্বিয়ানে কেরাম ও দ্বীনসচেতন যুবসমাজের প্রচেষ্ঠায় প্রথমে বাজারের মসজিদে এশার আজানের পর মুসল্লিগণকে নিয়ে ইমাম সাহেব কুরআনের তাফসীর শুনাতেন এবং বুখারী শরীফের হাদীস পাঠ করে তার তরজমা ও ব্যাখ্যা করে বুঝাতেন।সে সময় মসজিদের ইমাম ছিলেন কুতবে আলম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানীর (রাহ.) সুযোগ্য খলীফা হযরত মাওলানা আব্দুল মতিন চৌধুরী শায়খে ফুলবাড়ী রাহ.৷
তাঁর হেদায়তী বয়ানে এলাকার জনগণ খুবই উপকৃত হতে থাকেন। এমনকি এলাকার অনেক বে-নামাজী নামাজী হয়ে যান,আর বহু ধর্মবিমূখম লোক তাওবা ও ইস্তেগফার করে আল্লাহভীরু হয়ে পড়েন। জনগণের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে হযরত শায়খে ফুলবাড়ী পরামর্শ দেন যে,এখানে একটি ক্বওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। যাতে করে এলাকার মুসলমান কুরআন ও হাদীসের সঠিক জ্ঞান অর্জন করে, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয়।শায়খে ফুলবাড়ীর এ প্রস্তাবকে এলাকার ধর্মপ্রাণ জনগণ অত্যান্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এবং আনন্দের সাথে সমর্থন জানায়।
সে মতে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বীয়ানে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ যুবকেরা একসাথ হয়ে কাজ শুরু করেন৷প্রথমে রায়গড় নিবাসী মরহুম মাও: আব্দুল ফাত্তাহ সাহেবেরে দাদা মরহুম হাজী সাজ্জাদ আলী সাহেব এক পোয়া জমি মাদ্রাসায় দান করেন অতঃপর মসজিদ কমিটিও মাদ্রাসা করার জন্য প্রয়োজনীয় বাকী জায়গাগুলা লিজ হিসাবে মাদরাসাকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিয়ে দেন৷
আমাদের এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্নে যে সকল মুরব্বীয়ান আপন জান-মাল কোরবান করেছেন।যাদের নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে একটি প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে ডালপালা গজিয়ে বড় হতে থাকে,যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল আজকের এই মাদ্রাসা। আমরা তাঁদের সবাইকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং মাওলার দরবারে তাঁদের মাগফিরাত কামনা করছি৷ আর বর্তমানেও যারা মাদ্রাসার উন্নতির ও অগ্রগতির জন্য শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকেও যেন আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দেন। তাদের এই ত্যাগ-তিতিক্ষা যেন পরকালে নাজাতের জরিয়াহ হয়। আমীন!
মাদ্রাসার শুভ সূচনা:
হযরত শায়খে ফুলবাড়ী (রাহ.) এলাকাবাসীকে নিয়ে মাদ্রাসার গৃহ নিমার্ণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। শুরুতেই রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে মাটি ভরাট করে ২০ হাত লম্বা একটি কাঁচা ঘর নির্মান করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে ফুলবাড়ী রাহ.কে মাদ্রাসার মুহতামিমের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তিতে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে উত্তর দিকে আরো ৫০ হাত সংযোগ করে মাদ্রাসার গৃহকে আরো প্রসারিত করা হয়। তখন হযরত ফুলবাড়ী রাহ.একদিকে মসজিদের ইমামতি ও কোরআনে পাকের তাফসীর,অপর দিকে দূর দূরান্ত থেকে আগত হেদায়াত পিপাষু জনগণকে মুরীদ করানো এবং ওয়াজ মাহফিলে যোগদান করা ইত্যাদি কারণে অনেক ব্যস্ততার ভিতর দিয়ে তাঁর মাদ্রাসার কাজ কর্ম আঞ্জাম দিতে হত।
তাই তিনি একজন দায়িত্বশীল নিয়োগের চিন্তাভাবনা শুরু করতে লাগলেন।হযরত ফুলবাড়ী (রহ.) এলাকার মুরব্বীয়ানদের সাথে পরামর্শ করে হযরত মাওলানা আব্দুর রহীম খাঁন শেরপুরী রহ.ও মাওলানা শেখ মোঃ ইউনুস আলী শায়খে রায়গড়ী রহ.কে দেউলগ্রাম মাদ্রাসা হতে নিয়ে এসে শেরপূরী হজুরকে এহতেমামীর দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে মতে দেউলগ্রামের মুরব্বীয়ানকে রাজী করিয়ে প্রথমে আল্লামা শেরপূরী রাহ.কে অতঃপর শেখ সাহেব রাহ.কে ঢাকাদক্ষিণ নিয়ে আসা হয়। আল্লামা শেরপুরী রাহ. এসে মাদ্রাসার ইহতেমামির দায়িত্ব গ্রহণ করে অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও দক্ষতার সাথে মাদ্রাসা পরিচালোনা করতে থাকেন এবং শেখ সাহেব রাহ.এসে সহায়ক হিসাবে নায়েবে ইহতেমামির দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ এভাবেই অতি অল্প দিনে মাদ্রাসার সুনাম-সুখ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জ্ঞান পিপাষু ছাত্রদের ভীড় মাদ্রাসায় জমতে থাকে। ছাত্র সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে,সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আরো কিছু সংখ্যক দক্ষ, বিজ্ঞ ও কর্মট শিক্ষক।যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাদ্রাসার ভিত্তিকে আরো মজবুত রেখেছেন ৷
এ যাবৎ যাঁরা ইহতেমামির দায়িত্ব পালন করেন:
০১. বানিয়ে আযম আল্লামা আব্দুল মতিন চৌধুরী শায়খে ফুলবাড়ী রহ.১৩৭৭ হিজরী৷অতঃপর শায়খে ফুলবাড়ী মাদরাসার দেখা শুনায় সময় দিতে না পারায়-
০২.আল্লামা আব্দুর রহিম খাঁন শেরপুরী রাহ.১৩৭৮ হিজরী থেকে নিয়ে ১৪০০’শ হিজরী পর্যন্ত দীর্ঘ তেইশ বছর যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে ইহতেমামি ও মসজিদের ইমামতির গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যান। তাঁর বার্ধক্যে আপন প্রিয় শিষ্য তৎকালিন মাদ্রাসার নাইবে মুহতামিম-
০৩. খলিফায়ে মাদানী হযরত মাওলানা শেখ মোঃইউনুছ আলী সাহেব শায়খে রায়গড়ী রাহ.১৪০১ হিজরী থেকে ১৪১৯ হিজরীর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ বছর সময় কাল এখলাছ ও দক্ষতার সাথে স্বীয় ওস্তাদের মত ইহতিমামির এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আদায় করেন৷তাহার সময়েও মাদ্রাসার উত্তরোত্তর উন্নতির দিকে ধাবিত হতে থাকে। বিশেষ করে মাদ্রাসার ইমারতের অকল্পিত উন্নতি তাহার নিরলস প্রচেষ্টার অবদান।
০৪. হযরত মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দীন সাহেব হাজীপুরী রাহ.কে মুহতামিম নিয়োগ করা হয়।১৪১৯ হিজরী থেকে ১৪২০ হিজরীর পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর ৷
০৫. মাওলানা আব্দুল ফাত্তাহ সাহেব (মদীনা হুজুর রাহ.) রায়গড়, ১৪২০ হিজরী থেকে ১৪২৮ হিজরী পর্যন্ত প্রায় ৮ বছর৷তাঁর সময়ে ১৪২১ হিজরীতে ৩৫ সালা দস্তারবন্দী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷
আল্লাহ তা\’আলা তাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
০৬. অত:পর বিগত ৯/১/০৮ ইংরেজী মুতা. ১/১/২৯ হিজরীতে মুহতামিম হিসেবে বর্তমান মুহতামিম ও তৎকালীন নাইবে মুহতামিম মাওলানা হাফেজ ছালেহ মুহাম্মদ জাকারিয়া সাহেব (সাহেব জাদায়ে হযরত শায়খে রায়গড়ী) কে নিয়োগ দেয়া হয়৷আল-হামদুলিল্লাহ ! অদ্যবধি তিনি শেখ সাহেব রাহ. এর যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে মাদ্রাসার ইহতেমামির দায়িত্ব খুবই সুন্দর, সুষ্ঠু ও সুশৃংখল ভাবে আদায় করে যাচ্ছেন।আল্লাহ তা’আলা যেন তাকে জাযায়ে খায়ের ও হায়াতে তায়্যেবা দান করেন। আমীন!
দারুল হাদীসের উদ্বোধন:
মানুষ গড়ার সফল কারিগর হযরত শেরপুরী হুজুর (রহ.) এর তত্ত্বাবধানে ১৩৮৬হি. সনের শিক্ষা বর্ষের শেষের দিকে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাত্র দশ বছরের মাথায় দাওরায়ে হাদীস খোলার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। অতঃপর ১৩৮৭ হিজরীর শাওয়াল মাসে হবিগঞ্জের মাওলানা ইমদাদুল হক সাহেবকে নিয়ে আসেন এবং তাঁকে দিয়ে দাওরায়ে হাদীসের দারস শুরু হয়ে যায়।
দরসে হাদীস প্রথমে রাস্তার পূর্ব পাশের পুরাতন বিল্ডিং আরম্ভ হয়।পরে হযরত শায়খে রায়গড়ী রাহ. আকাংখা ছিল দেওবন্দ মাদ্রাসার দারুল হাদীসের ন্যায় তৃতীয় তলায় গুম্বজ বিশিষ্ট একটি কামরা তৈরী করে যেন তাঁর মৃ্ত্যু হয়৷সেই আশা বুকে লালন করে দত্তরাইলের লন্ডনপ্রবাসী আব্দুল মুক্তাদির সাহেবের কাছ থেকে গুম্বজে খাজরার পূর্ণ ব্যয়ভার গ্রহণের আশ্বাস পেয়ে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেন৷ আল্লাহর কী অমোঘ বিধান সত্যিই হযরত শেখ সাহেব রাহ. ঐ কাজ শেষ করে দওরায়ে হাদীস জামাতকে সেথায় স্থানান্তর করার কিছু দিন পর আপন মাওলার সাক্ষাতে পরপারে চলে যান।
এ পর্যন্ত যারা শায়খুল হাদীস হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন:
১. মাওলানা ইমদাদুল হক সাহেব হবিগঞ্জী রাহ.।
২. মুফতী মুফাজ্জল আলী সাহেব সিকন্দরপুরী রাহ.।
৩. শায়খ মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিন সাহেব হাজীপুরী রাহ.।
৪. বহুগ্রন্থ প্রনেতা মাওলানা ইসহাক সাহেব বিরদল রাহ.।
৫. মাওলানা শফিকুল হক সাহেব সুরাইঘাটী (দা.বা.)।
৬. মাওলানা মঈনুল ইসলাম সাহেব বাহুবলী (বর্তমান)

এ যাবৎ যারা নযিমে তা’লিমাত ছিলেন:প্রথম পর্যায়ে শেরপুরী হুজুর ইহতেমাম ও তা’লিমাত উভয় দায়িত্ব আঞ্জাম দিতেন।পরবর্তিতে—
১. মুফতি মফজ্জল আলী সাহেব সিকন্দরপুরী রাহ.।
২. মাওলানা হেলাল আহমদ সাহেব ঘোষগাঁও (দা.বা.)।
৩. মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিন সাহেব হাজীপুরী রাহ.।
৪. মাওলানা হোসাইন আহমদ সাহব বরকোটি রাহ.।
৫. মাওলানা ইসহাক সাহেব বীরদলী রাহ.।
৬. মাওলানা ফজলে হক সাহেব বারহালি দা.বা.।
৭. মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ সাহেব বারহালি দা.বা.।
৮. মাওলানা আহমদ আলী সাহেব ভাদেশ্বরী দা.বা.।
৯. মাওলানা রশিদ আহমদ সাহেব বিশ্বনাথী দা.বা.।
১০. মাওলানা আতিকুর রহমান সাহেব সুনামগঞ্জী দা.বা.।
১১. মাওলানা শিহাব উদ্দিন সাহেব কানাইঘাটী দা.বা.।
১২. মাওলানা মুখলিছুর রহমান সাহেব নিশ্চিন্ত দা.বা.।
১৩. মাওলানা জয়নুল আবেদীন সাহেব কর্মধা দা.বা.।
১৪. মাওলানা জাকারিয়া সাহেব জামালগঞ্জী দা.বা.।
১৫. মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহিম সাহেব দা.বা.।(বর্তমান)

যাদের আগমণে ধন্য এই মাদরাসা:
দেশ-বিদেশের বহু উলামা ও বিজ্ঞজনের পদচারনায় ধন্য এই মাদরাসা। সময়ে সময়ে বহু আলেম এই মাদরাসায় আগমন করেছেন। এই মুহুর্তে সবার কথা স্মরন হচ্ছেনা, যাদের নাম স্মরন হচ্ছে তাদের ক’জন এই-
১. ক্বারী তৈয়ব সাহেব (রাহ.), মুহতামিম দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।
২. ফেদায়ে মিল্লাত সায়্যিদ আসআদ মাদানী (রাহ.), ভারত।
৩. আওলাদে রাসূল সায়্যিদ আরশাদ মাদানী দা.বা, ভারত।
৪. আওলাদে রাসূল সায়্যিদ আসজাদ মাদানী দা.বা, ভারত।
৪. হযরত মাওলানা আনযর শাহ কাশ্মিরী (রাহ.), ভারত।
৫. হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল বদরপুরী (রাহ.), ভারত।
৬. হযরত মাওলানা আব্দুলাহ দরখাস্তী (রাহ.), পাকিস্তান।
৭. হযরত মাওলানা গোলাম গৌছ হাজারাভী (রাহ.), পাকিস্তান।
৮. হযরত মাওলানা মুফতী মাহমুদ (রাহ.), পাকিস্তান।
৯. হযরত মাওলানা গোল বাদশাহ (রাহ.), পাকিস্তান।
১০. হযরত মাওলানা আজমল খাঁন লাহোরী (রাহ.), পাকিস্তান।
১১. হযরত মাওলানা মুহাম্মদুলাহ হাফেজ্জি হুজুর (রাহ.), ঢাকা।
১২. হযরত মাওলানা শামছুদ্দীন কাসেমী (রাহ.), ঢাকা।
১৩. হযরত মাওলানা মুহিউদ্দিন খাঁন (রাহ.), ঢাকা।
১৪. হযরত মাওলানা বশির উদ্দিন (রাহ.), শায়খে বাঘা।
১৫. হযরত মাওলানা লুৎফুর রহমান (রাহ.), শায়খে বর্ণভী।
১৬. হযরত মাওলানা মুশাহিদ আলী (রাহ.), বায়মপুরী।
১৭. হযরত মাওলানা আব্দুল করীম (রাহ.), শায়খে কৌড়িয়া।
১৮. হযরত মাওলানা বদরুল আলম (রাহ.), শায়খে রেঙ্গা।
১৯. হযরত মাওলানা আব্দুল হক (রাহ.), শায়খে গাজীনগরী।
২০. হযরত মাওলানা আমীন উদ্দিন (রাহ.), শায়খে কাতিয়া।
২১. আওলাদে রাসুল হযরত মাওলানা মাহমুদ মাদানী দা.বা,ভারত।
২২.খলিফায়ে শায়খুল হাদীস জাকারিয়া রাহ. হযরত মাওলানা বিলাল বাওয়া সাহেব দা.বা,আরকানী ।

এছাড়াও আরো বহু উলামায়ে কেরামের পদচারণায় ধন্য হয়েছে এ মাদরাসা। এই ক্ষুদ্র পরিসরে তাদের নাম উল্লেখ করা যাচ্ছে না বলে আন্তরিক ভাবে দু:খিত।
মহান আল্লাহর অপার করুণায় ও এলাকাবাসীর অকৃত্রিম প্রচেষ্টায় এবং আসাতিজায়ে কেরামের অক্লান্ত পরিশ্রমে ঢাকাদক্ষিণ মাদরাসা ধীরে ধীরে তেষট্রি বছর অতিক্রম করে ফেলেছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন এই মাদরাসাকে কিয়ামত পর্যন্ত দায়িম ও কায়েম রাখেন। সাথে সাথে মাদরাসার উত্তরোত্তর সফলতা ও উন্নতি দান করেন। আমিন!

মাদরাসার বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে আগামীর পরিকল্পনা :- বর্তমান বিশ্বে ইসলামী শিক্ষা ও তাহ্যীব—তামাদ্দুনের প্রচার—প্রসারে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচেছ ইলমে ওহীর প্রাণকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দ। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা বিশ্বাসে অনড় থেকে সর্বপ্রকার বাতিল শক্তির মুকাবেলা করে দ্বীনের সংরক্ষণে ঐতিহাসিক অবদান রেখে যাচ্ছে। তারই অনুসরণে উয্যীবিত আপনাদের ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদরাসা সম্মুখপানে এগিয়ে যাচ্ছে। এ মাদরাসা একটি বাস্তকমুখী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে মাদরাসায় তাহ্ফীজুল কুরআন বিভাগ থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষা বিভাগের সর্বোচ্চ স্থর দাওরায়ে হাদীস বা টাইটেল জামাত পর্যর্ন্ত প্রায় ৬৫০ (ছয়শত পঞ্চাশ) জন ছাত্র পাঠরত আছে। যারা ৩১ (একত্রিশ) জন নিষ্ঠাবান আসাতিযায়ে কিরামের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ধমীর্য় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক দীক্ষা গ্রহণ পূর্বক নিজেদেরকে সুযোগ্য আলিম হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টায় রত রয়েছে।
আপনারা যেনে খুশি হবেন যে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যুগচাহিদার প্রেক্ষিতে ছাত্ররা যাতে সমাজের সর্বক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে মাদরাসার পাঠ্যক্রমে কুরআন, হাদীস, ফিক্হ, তাফসীরের পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজী ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, অর্থনীতি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, লিখনী ও বক্তৃতা প্রভৃতি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখেছে। এছাড়া অথার্ভাবের কারণে আরও অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছেনা। বিশেষ করে ছাত্রাবাসে অবস্থানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার ধরুন অনেক ছাত্র নিজ শ্রেণীকক্ষে থাকার ব্যবস্থা করে নিতে বাধ্য হয়েছে। যা শিক্ষার পরিবেশের প্রতিকূল এমনকি দৃষ্টিকটুও। তাই আলাদা একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। আশা করি এটি সহ অন্যান্য প্রকল্প এক বা একাধিক হৃদয়বান ব্যক্তির দান ও আপনাদের সহযোগিতা ও মহান আল্লাহ তা’আলার বিশেষ মদদে অদূর ভবিষ্যতেই বাস্তবায়ন হবে। ইনশাআল্লাহ।

মাদরাসাটি যে বোর্ডের অধিনে :- “আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ” “তানযীমুল মাদারিস সিলেট” ও “বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়্যা বাংলাদেশ” এবং “রাবেতাতুল মাদারিসিল ইসলামিয়া সিলেট”

মাদরাসার হিসাব ব্যাবস্থা / ফান্ড:- উল্লেখ্য যে, মাদরাসার আয়-ব্যয় সুষ্টু ভাবে পরিচালনার জন্য পৃথক তিনটি ফান্ড রয়েছে। যথা-১. জেনারেল ফান্ড ২. বিল্ডিং ফান্ড ৩. গোরাবা ফান্ড। প্রতি বছর মাহে সফর থেকে নিয়ে মুহররম পর্যন্ত তিনো ফান্ডের পূর্ণ ১২ মাসের আয়—ব্যয়ের সর্বপ্রকার হিসাবাদি আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ বোর্ডকতৃর্ক মনোনীত শ্রদ্ধেয় অডিটর ও মাদরাসার মজলিসে আমেলা কর্তৃক নির্বচিত সম্মানিত ২ সদস্যের সমন্নয়ে নিরীক্ষা করা হয়,অতঃপর তাঁরা মন্তব্য পেশ করেন, যা মাদরাসার হিসাব বিভাগে সংরক্ষিত থাকে।

বর্তমান মুহতামিম :- মাওলানা হাফেজ ছালেহ মুহাম্মদ জাকারিয়া সাহেব (সাহেব জাদায়ে হযরত শায়খে রায়গড়ী)

বর্তমান মুহতামিমের মোবাইল নাম্বার :- ০১৩০১৪৮৫৩৭৯

বর্তমান শিক্ষাসচিব :- মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহিম সাহেব দা.বা.

বর্তমান শিক্ষকবৃন্দের তালিকা :- ১.মাওঃ মুঈনুল ইসলাম সাহেব
২.মাওঃ আহমদ আলী সাহেব
৩.মাওঃ আব্দুল আজিজ সাহেব
৪.মাওঃ আবিদুর রহমান সাহেব
৫.মাওঃ খাইরুল আমীন সাহেব
৬.মাওঃ আব্দুল হান্নান সাহেব
৭.হাফিজ মাওঃ আব্দুর রহীম সাহেব
৮.হাফিজ মাওঃ আনোয়ার হুসাইন সাহেব
৯.মাওঃ খায়রুজ্জামান সাহেব
১০.মাওঃ খালেদ আহমদ সাহেব
১১.মাওঃ খাইরুল আমীন মাহমুদী সাহেব
১২.মাওঃ আব্দুল হাদী সাহেব
১৩.মাওঃ খালেদ সাইফুল্লাহ সাহেব
১৪.মাওঃ আব্দুল মুনিম খান সাহেব
১৫.মাওঃ মাশুক আহমদ সাহেব
১৬.মাওঃ ফাহীম আহমদ সাহেব
১৭.হাফিজ আব্দুল আহাদ সাহেব
১৮.হাফিজ মাওঃ আব্দুল মুনিম সাহেব
১৯.হাফিজ মাওঃ আলী আকবর সাহেব
২০.হাফিজ মাওঃ তাহের হুছাইন সাহেব
২২.হাঃ মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ সাহেব
২৩.হাফিজ শামসুদ্দিন আহমদ সাহেব
২৪.মাওঃ হাবিবুর রহমান সাহেব
২৫.মাষ্টার কামরুয্যামান সাহেব
২৬.মাষ্টার ইমাম উদ্দীন সাহেব
২৭.মাওঃ আব্দুর রকিব সাহেব
২৮.মাওঃ আব্দুল জলিল সাহেব
২৯.মাষ্টার আশরাফুর রহমান সাহেব
৩০.মাওঃ সাঈদ আহমদ সাহেব
৩১.মাওঃ কামরুল ইসলাম সাহেব

Manual8 Ad Code

চলমান মোট ছাত্র সংখ্যা :- প্রায় ৬৫০ (ছয়শত পঞ্চাশ)

চলমান দাওরায়ে হাদিস ছাত্র সংখ্যা :- ১২ জন

চলমান ছাত্রাবাসে অবস্থান রত ছাত্র সংখ্যা :- ১৮০ জন

তথ্য দানকারীর নাম :- শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ

তথ্য সূত্র:হুসাইনিয় ছাত্র সংসদ হতে প্রকাশিত বার্ষিক স্মারকগ্রন্থ “আল-হুসাইন” ও গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য|

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৭১৫০৭৩৮৬৮

তথ্য দানকারীর ইমেইল :- sk.saif78@gmail.com

Spread the love

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code