সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

May 26 2019, 05:27


Manual6 Ad Code

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম(পীর সাহেব চরমোনাই) ১৯৭১ সালের ১লাফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাই গ্রামে বিখ্যাত একমুসলিমপরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁরপিতা হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম রহ. এদেশের সর্বস্তরের মানুষের পরিচিত শুধুনন; বরং সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। যিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের (বর্তমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)মুহতারাম আমীরও আমীরুল মুজাহিদীন ছিলেন।

Manual4 Ad Code

তার পিতামহ মাওলানা সৈয়দ ইসহাকর…হ.ও এদেশের একজনসর্বজন শ্রোদ্ধেয় আলেম ও বুযুর্গ ছিলেন। হযরত পীরসাহেব চরমোনাই এর প্রাথমিক শিক্ষাচরমোনাই আলিয়াতে শুরু হয়। কিন্তু তিনি আলিয়ার ছাত্র হলেও প্রায়ই কওমিয়াতেই ক্লাস করতেন। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসাতে ও তিনি কিছুকাল লেখাপড়া করেন। অবশেষে ১৯৯১ সালে চরমোনাই আলিয়া থেকে কামিল হাদীস ও বরিশাল সাগরদী আলিয়া থেকে ইফতাসম্পন্ন করেন।

Manual3 Ad Code

তিনি তাঁরপিতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম রহ. থেকে ১৯৯৪ সালে খেলাফত প্রাপ্ত হন। ঐ বৎসর চরমোনাইয়ের বাৎসরিক মাহফিলে এর ঘোষনা হয়। ২০১৩ সালে বাংলার আরেকজন বড় বুজুর্গ আলেম,থানভী সিলসিলার অন্যতম খলিফা আল্লামা মাহমুদুলহাসান সাহেব তাকে প্রধান খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ছাত্র জীবন শেষ হতে নাহতে তিনি চরমোনাই আলিয়ার খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। পরে দীর্ঘদিন যাবত আলিয়া কাওমীয়া উভয় শাখার নাযেমে আ’লারদায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উভয় শাখার পৃষ্ঠ পোষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

হযরত পীরসাহেব চরমোনাই দীর্ঘদিন যাবত চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। অত্যন্ত কৃতিত্ব ও সফলতার সাথে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। যার কারণে একটিবিদেশী সংস্থা তাকে পুরষ্কার দিতে চেয়েছিল,কিন্তু তিনি তাগ্রহন করেন নি। হযরতপীরসাহেব চরমোনাই ছাত্র জীবন থেকেই ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং সর্বশেষ তিনি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় কমিটির ছাত্রকল্যান সম্পাদকছিলেন।

Manual1 Ad Code

ছাত্র জীবনের পর তৎকালীন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের তিনি কেন্দ্রিয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ছিলেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকায় অন্যান্য ভাইদের মত তিনিও কারা নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। সর্বশেষ ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর তাঁরপিতা সৈয়দ মুহাঃ ফজলুল করীম(পীর সাহেব চরমোনাই রহ.) এর ইন্তেকালের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশএর প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীরও আমীরুল মুজাহিদীনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। অদ্যবধি তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে উভয় সংগঠনকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
দেশ রক্ষায় টিপাইমুখঅভিমুখে লংমার্চ করে তিনি দেশ-বিদেশে ব্যাপক ভাবে আলোচিত হন।

২০০৬ সালে দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ারপর থেকে সামনে থেকেই তিনি ইসলামী সমাজবিপ্লবের সংগ্রাম অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে সুচারুরূপে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। তাযকিয়ার ময়দানে যেভাবে তিনি তাঁর রুহানী বয়ানে লাখলাখমানুষকে সঠিক পথ দেখাচ্ছেন, তদ্রুপ নীতি ও আদর্শের উপর অবিচলথেকে দেশ ও ইসলাম বিরোধী যেকোনো কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সর্বাগ্রে মাঠে নেমে ঈমানী দায়িত্ব পালনকরে আসছেন।

Manual7 Ad Code

Spread the love