সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

মুফতি শাহ আহরারুজ্জামান রহ. এর সংক্ষিপ্ত জীবনি

March 03 2020, 03:54

Manual1 Ad Code

মুফতি শাহ আহরারুজ্জামান রহ. ।

Manual3 Ad Code

১৯৩৩ ঈসায়ী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার গুনই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শাহ পরিবারে জন্ম।

১৯৪৪ সালে আসাম প্রদেশের কাছাড় জেলার ভাংগা বদরপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তখন ঊক্ত মাদ্রাসার মহা পরিচালক ছিলেন মরহুম খতিব উবায়দুল হকের পিতা মাওলানা জহুরুল হক রহ.।

১৯৪৭ সালে পিতার তত্ত্বাবধানে নবীগঞ্জের জামেয়া ইসলামীয়া ইমামবাড়ী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে চার বছর লেখাপড়া করেন। ১৯৫১ সালে ইলমে দ্বীনের ঊচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য দারুল ঊলুম দেওবন্দে গমন করেন। দারুল উলুম দেওবন্দে সিলেটি ছাত্রদের সংগঠন জমিয়তুত তোলাবার দুইবার সেক্রেটারী ও একবার সভাপতি নিবার্চিত হন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের দারুল উলুম করাচি গমন করেন। সেখানে মুফতি মুহাম্মদ শফি রাহ. এর নিকট ১৯৬১ সালে ইফতা কমপ্লিট করেন। ১৯৬২ সালে করাচির মাহমুদাবাদ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং তৎসংলগ্ন মাদ্রাসার ছদর মুদাররিসের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা। ১৯৬৩ সালের শেষের দিকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।

Manual5 Ad Code

১৯৬৪ সালে উচ্চশিক্ষার সংকল্প নিয়ে মদীনা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। দুই বৎসর পর সেখান থেকে সরকারী অনুমতি পেয়ে স্ত্রীকেও মদীনা শরীফে নিয়ে যান। স্বাধীন বাংলা জমিয়তের প্রথম সেক্রেটারী। ১৯৭২ সালে তিনি স্ত্রী-পুত্র সহ স্বাধীন বাংলাদেশে চলে আসেন। দেশে ফিরে নিজ গ্রাম গুনই ফয়জে আম মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

Manual6 Ad Code

তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। সৌদি-আরবে প্রবাসীদের সংগঠিত করে বিধ্বস্ত এই দেশটির পুর্নগঠনের জন্য প্রবাসে থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। এ সম্পর্কে শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ লিখেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের তৎকালীন সভাপতি ফিদায়ে মিল্লাত আওলাদে রাসুল হযরত মাওলানা সায়্যিদ আসআদ মাদানি রহ. সারা ভারতে মুসলমানদের মাঝে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালান। ভারত সরকারকে এ বিষয়ে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোগী করেন।

শুধু তাই নয়, মুসলিম বিশ্বের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম জনমত সৃষ্টিতে প্রয়াসী হন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মরহুম মাওলানা আহরারুজ্জামান বলেন, এ উদ্দেশ্যে হযরত মাদানি রহ. আমাকে নিজে মক্কা শরীফে প্রেরণ করেছিলেন। এভাবে মিসর, সিরিয়া, লিবিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে তিনি বাংলাদেশের জন্য জনমত গঠনে প্রয়াসী হন। (বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ভূমিকা)। ১৯৭৩ সালে তিনি জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক ও মাওলানা তজম্মুল আলী রাহ. সভাপতি নির্বাচিত হন। ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। লন্ডনে জামেয়া ইসলামিয়ার প্রধান মুফতি ছিলেন। ১৯৯৫ সালের ১৬ ই মার্চ দ্বীনী খেদমতরত অবস্থায়ই লন্ডনে ইন্তেকাল করেন।

লিখেছেন- লুকমান হাকিম

Manual3 Ad Code

Spread the love