মাওলানা মুফতি আব্দুস সালাম সুনামগঞ্জী’র সংক্ষিপ্ত জীবনী
May 09 2020, 16:49
![](https://www.qowmipedia.com/wp-content/uploads/2020/05/91794278_679844956116301_6661265487483109376_n-654x405.jpg)
লিখেছেন- মাওলানা মামুন হুসাইন
নামঃ আব্দুস সালাম, পিতার নামঃ মরহুম আব্দুল মজিদ,দাদার নামঃ ইস্রাইল আলী তালুকদার, উনার পিতা সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক ছিলেন। মাতার নামঃজয়বানু বিবি,তার পিতা হাজী আব্দুল মজিদ, উনার মাতা ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন বড় পর্দাশীলা ছিলেন তিনি আদর্শবান নামাজী প্রত্যেক দিন কুরআন তিলাওয়াত তার অভ্যাস ছিল। জন্মতারিখঃ ০২/১২/১৩৮৮ হিজরি,মুতাঃ ০১/০৩/১৯৬৮ ইংরেজি ও ১৮/১১/১৩৭৪ বাংলা রোজ শনিবার সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর থানার,পলাশ ইউনিয়নের তালের তল (নতুনহাটি) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা জীবনঃ পাঁচ বৎসর বয়স থেকেই গ্রামের স্কুল তালের তল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। অপর দিকে প্রত্যেক সকালে গ্রামের মক্তবে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহন করেন। তাদের বাড়িতে লেখা পড়ার পরিবেশ ভাল ছিল,কারণ স্কুল এর মাষ্টার সাহেব ও মসজিদের ইমাম সাহেব এর জায়গীর তাদের বাড়ীতে ছিল, শিক্ষকরা তাকে বড় স্নেহ করতেন কেননা তিনি পড়ায় খুবই ভাল ছিলেন এবং নিয়মিত লেখা পড়া করতেন। তিনি ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৮ সালে ৫ম শ্রেণী থেকে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে স্কুল লেখা পড়া বাদ দিয়ে দেন। উনার আগ্রহ ছিল ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করার, ১৯৭৯ সনের শাওয়াল মাসে ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য স্হানীয় মুক্তিখলা মুল্লিকপুর মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যান,সেখানে তিনি তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের সাথে বাৎসরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে টুকের বাজার আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসায় চলে যান সেখানে তিনি ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীতে লেখা পড়া করেন। ৫ম শ্রেণীতে ফাইনাল পরীক্ষায় তখনকার বৃহত্তর সিলেটের আযাদ দীনি এদারা বোর্ডে ২৮ নং স্থান লাভ করেন।
পরবর্তীতে তিনি আরো উন্নত লেখা পড়ার জন্য সুনামগঞ্জ জেলার দরগাহপুর মাদ্রাসায় গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী অর্থাৎ ছাফেলা ১ম থেকে মিশকাত জামাত পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। উস্তাদগণ তাকে বড় স্নেহ করতেন কেননা তিনি প্রতিটি পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করে পুরস্কৃত হয়েছেন।তিনি সুনামগঞ্জ জেলাধীন বোর্ডের ছাফেলা ২য় বর্ষের (৭ম শ্রেণীতে) বৃত্তি পরীক্ষার মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেন। এবং মুতাওয়াসসিতাহ ৪র্থ বর্ষে ১২নং বৃত্তি লাভ করেন। মিশকাত পড়ার পর দরগাহপুর মাদ্রাসায় তখন দাওরায়ে হাদিস ক্লাস না থাকায় দাওরায়ে হাদিস পড়ার জন্য উস্তাদদের সুপরামর্শে ও দোয়া নিয়ে চলে যান সিলেটের দরগাহে হযরত শাহ জালাল (রহঃ) মাদ্রাসায়। সেখানে ১৯৯১ সন মুতাঃ ১৪১১ হিজরীর শাওয়াল মাসে দরগাহে হযরত শাহ জালাল (রহঃ) মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিসে ভর্তি হন এবং ১বৎসর লেখাপড়া করে ১৯৯২ সন মুতাঃ ১৪১২ হিজরির শাবান মাসে দাওরায়ে হাদিসে ফাইনাল পরীক্ষা দেন এবং কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য উস্তাদদের সুপরামর্শে বিশ্বের অদ্বিতীয় ইসলামি ভার্সিটি দারুল উলূম দেওবন্দ চলে যান।
১৯৯২ সাল মুতাঃ ১৪১২ হিজঃ শাওয়াল মাসে দারুল উলূম এর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লেখা পড়া শুরু করেন। উনার থেকে আরো ভাল ও মেধাবী ছাত্ররা ও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারে নাই। আল্লাহ যাকে তাওফিক দেন সেই পাশ করতে পারে। আল্লাহর খাস রহমত ছিল বিধায় তিনি পাশ করেছেন। এবং থাকা খাওয়ার ও ব্যবস্হা ও হয়ে গেল। এক বৎসর দাওরায়ে হাদীস লেখা পড়া করে ১৯৯৩ সন মুতাঃ ১৪১৩ হিজরি শাবান মাসে বাৎসরিক পরীক্ষা দিয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৩ সন মুতাঃ ১৪১৩ হিজরির শাওয়াল মাসে দরজায়ে তাকমিলুল উলুমে ইসলামিয়ায় ভর্তি হন।দরজায়ে তাকমিলুল উলুমে দাখিলা নিলেও ফতোয়া বিভাগে ও লেখা পড়া করেন। তখনকার সদর মুফতি নিযামুদ্দিন সাহেব এর নিকট বিশেষ ভাবে ফতোয়া তামরিন করেন।
যারা ইফতা বিভাগে দাখেলা নিয়ে ছিল তাদের থেকে ও হযরতের তামরীনাত অনুশীলন বেশি হয়েছিল।দারুল উলূমে যেসব ফতোয়া আসত প্রত্যেক ২/৩ টি ফতোয়া মুফতি সাহেব উনাকে দিতেন এবং তিনি ঐগুলো বিভিন্ন ফতোয়ার কিতাব থেকে জবাব সংগ্রহ করে দিতেন,এবং অনেক ফরাইজ ও উনাকে দিতেন এবং ঐগুলো তিনি করে দিতেন। মুফতি নিযামুদ্দিন সাহেব এর সাথে হযরতের বিশেষ সম্পর্ক ছিল, এবং ঐ বৎসরই তিনি মাঝে মধ্যে তাফসীর বিভাগের ও দরসে অংশগ্রহণ করেছেন। ঐ বৎসর সকল তাকমীল জামাতের জন্য মুহাজারাত অনুষ্ঠিত হত প্রতি সপ্তাহ অর্থাৎ চারটি বাতিল দল যথা- কাদিয়ানী, শিয়াইয়্যাত,রেজাখানিয়্যাত ও মাওদিদীয়াতের ভ্রান্ত আকীদা ও তাদের জবাবদিহি দিয়ে সত্য আক্বিদা প্রতিষ্টা করা। প্রতি সপ্তায় একটি বিশেষ মুহাজারাত হত,প্রতিটি মুহাজারাতে তিনি অংশগ্রহণ করতেন। একদিন ও অনুপস্থিত থাকেন নাই। ১৯৯৩ সনের শাবান মাসে তাকমীলুল উলূমের বাৎসরিক পরীক্ষা দিয়েছেন এবং মুহাজারাতের ও বাৎসরিক পরীক্ষা দিয়েছেন। জলসায়ে ইনআমী অর্থাৎ দারুল উলুমের পক্ষ থেকে পুরস্কার বিতরণি জলসায় অনেক বই পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। গড় ৫০ এর মধ্যে তাকমীলে পেয়েছেন ৪০ এবং মুহাজারাতে ৪২।
রমজান মাসে দাওরায়ে হাদিস, তাকমীলুল উলূমে ও মুহাজারাতের সনদ নিয়ে রমজানের পর উস্তাদগনের নিকট বিদায় নিয়ে ১৯৯৪ ইং শাওয়াল মাসে বাড়ীতে ফিরে আসেন। দেওবন্দ যে উস্তাদগনের নিকট ইলম করেন> শায়খুল হাদীস মাওঃ নাছির উদ্দীন সাহেব ও শায়খুল হাদীস মাওঃ আঃ হক সাহেব উভয় এর নিকট বুখারী শরীফ। মাওলানা মুফতি সাঈদ আহমদ সাহেব এর নিকট তিনমিযী ১ম ও তাহাবী শরীফ। মাওঃ আরশাদ মাদানী সাহেব এর নিকট তিরমিযী ২য়,আল্লামা কমর উদ্দীন সাহেব এর নিকট মুসলিম শরীফ ১ম ও আবু দাউদ ২য় এবং মুয়াত্তা মালিক। মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ সাহেব এর নিকট মুসলিম শরীফ ২য় ও আবু দাউদ ১ম এবং মুয়াত্তা মুহাম্মাদ। মাওলানা মুফতি মাহমুদ হাসান সাহেব এর নিকট নাসায়ী শরীফ। মাওলানা রিয়াছল আলী সাহেব এর নিকট ইবনে মাজাহ।মাওলানা আব্দুল খালিক মাদরাজী সাহেব এর নিকট শামায়েল তিরমিযী। তাছাড়া মানাহিলুল ইরফান ও মুসামারা মাওঃ নিয়ামতুল্লাহ সাহেব এর নিকট। আল আশরাহ ওয়ান্নাজাইর শায়খ মাওঃ আহমদ সাহেব এর নিকট। হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরীর নিকট মুসল্লামুসসুবুত মুফতি ইউসুফ সাহেব এর নিকট অধ্যায়ন করেন। কেরাত>> ক্বারি হাঃ মাওঃ আঃ রব সাহেব এর নিকট হাদিয়াতুল ওয়াহিদ, ক্বারি মাওঃ আবুল হাছান আজমীর নিকট আত্ তাইসির আশশাতবিয়্যা ফীসসালাসীদ দুররাতিল মুজিয়্যা,আররুসমুল আকলিয়া, ইযরাফুল কুরআন আরো অনেক ক্বেরাতের কিতাব ও ক্বেরাতে সাবআর কিতাব আধ্যায়ন করেন এবং তিনি তাকে ক্বেরাতের সনদ প্রদান করেন।
অধ্যাপনাঃ ১৯৯৪ ইং মোতাবেক ১৪১৪ হিজরি শাওয়াল মাসে দেওবন্দ থেকে বাড়ীতে আসার কিছু দিন পরেই চিনাকান্দি মাদ্রাসার মোহতামিম সাহেবের সাথে সাক্ষাত হয় এবং মোহতামিম সাহেব হযরত কে চিনাকান্দি মাদ্রাসায় অধ্যাপনার জন্য প্রস্তাব দেন, তিনি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রস্তাব প্রহন করেন এবং অধ্যাপনা শুরু করেন,যে বৎসর তিনি চিনাকান্দি মাদ্রাসায় যান সেই বৎসরই ফতোয়া দানের দায়িত্ব হযরতের উপর অর্পন করা হয়,এবং এর পরের বৎসর হযরতকে নায়বে নাযিম এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবং এর পরের বৎসর নাযিমে তা’লীমাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়, পর পর তিনি ৪ বৎসর তালিমাতের দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে আদায় করেন। ১৯৯৪ ইং মুতাঃ ১৪১৪ থেকে ১৯৯৯ ইং মোতাঃ ১৪২০ হিঃ শাবান মাস পর্যন্ত জামেয়া হুসাইনিয়া চিনাকান্দি মাদ্রাসায় সুনামের সাথে দায়িত্ব আদায় করেন, আল্লাহর হুকুমে অন্যস্হানে যাওয়ার ব্যবস্হা হয়ে যায় তাই তিনি অন্যত্র চলে যান। ১৯৯৯ ইং মোতাঃ ১৪২০ হিঃ শাওয়াল মাসের ১ম সপ্তায় হযরত ফেদায়ে মিল্লত মাদানী সাহেব এর সিলেট আগমন উপলক্ষে পরামর্শ সভা ছিল আর তিনি সেই সভায় উপস্থিত হলেন, সেখানে হযরত মাওলানা আতিকুর রহমান সাহেব এর সাথে হযরতের সাক্ষাৎ হয় এবং হযরত মাওলানা আতিকুর রহমান সাহেব হযরত কে বললেন আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল মেহেরবানি করে আমাদের মাদরাসায় অর্থাৎ জামেয়া মাদানিয়ায় আসরের নামাজ পড়লে ভালো হয় তাই তিনি হযরত মাওলানা আতিকুর রহমান সাহেব এর সাথে সাক্ষাত এর জন্য আসরের নামাজ জামেয়া মাদানিয়ায় পড়লেন, নামজের পর হযরতের সাথে সাক্ষাত হলো এবং প্রিন্সিপাল সাহেব এর সাথেও। প্রিন্সিপাল সাহেব বললেন আপনি আমাদের মাদরাসায় খোলার তারিখে চলে আসেন, আপনার মত মানুষ আমাদের দরকার। আল্লাহর ফয়সাল ছিলো কাজির বাজার মাদ্রাসার দিকে, তাই তিনি ১৯৯৯ ইং মোতাঃ ১৪২০ হিঃ শাওয়াল এর ১২ তারিখ জামেয়া মাদানিয়ায় পৌঁছেন এবং রুটিন হওয়ার পর অধ্যাপনা শুরু করেন। ২০০৪ সন থেকে এ পর্যন্ত নাযিমে কুতুবখানার দায়িত্ব ও আদায় করে আসছেন। জামেয়া তিনি সরফ, নাহু, বালাগাত,উসূলে ফিকহ,তাফসীর ফেকহ,হাদিস পাঠ দান করে আসছেন। তাকমীল জামাতে হাদিস পাঠ দান করেন প্রায় দীর্ঘ ৯ বৎসর যাবৎ। তিনি জামেয়ায় ২০ বৎসর যাবত শিক্ষা দিক্ষার আনজাম দিচ্ছেন।
বায়াআতঃ দারুল উলূম দেওবন্দ যখন লেখা পড়া করেন তখন ১৯৯৩ ইং সনে কুতুবে আলমের স্হলাবিষিক্ত ফেদায়ে মিল্লাত সায়্যিদ আসআদ মাদানী (রহঃ) এর হাতে বায়াআত গ্রহন করেন এবং তাসাউফের সবক আদায় করতে থাকেন এবং দাপে দাপে উন্নতির শিখরে পৌঁছলে ৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৭ ইং সালে ঢাকা চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদে বাদ আসর সকল মুসল্লীদের ও এতেকাফ রত হাজার হাজার লোকের সম্মুখে হযরত কে বায়াআতে ইযাযত ও খেলাফত দান করেন। রচনাঃ তিনি অধ্যাপনার ফাকে ফাঁকে ফাঁকে লেখা লেখি ও করেন দৈনিক, মাসিক,সপ্তাহিক, স্হানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় শতাধিক প্রবন্ধ,নিবন্ধ লেখেন। এবং অনেক গ্রন্হ ও রচনা করেন তার প্রকাশিত গ্রন্হের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হল। * ইসলামের দৃষ্টিতে মানবাধিকার * প্রশ্নোত্তরে উলূমে হাদিস * নফহাতুল আরব ১ম, ২য় খন্ড * বিবাহ তালাক ও দম্পতির কর্তব্য * ইলমুন নাহু (বাংলা) * ইসলামে মানবজীবন * জ্ঞান অর্জনে আকাবিরদের আগ্রহ * সূরা ইখলাসের তাফসীর (বাংলা) * ফুসূলে আকবরী (বাংলা) * আদর্শ সমাজ গঠনে বর্জনীয় কাজ * প্রশ্নোত্তরে ইসলামি আক্বীদা ও ফিরাকে বাতিলা * আল ফুরকান (বাংলা) * তরজমায়ে শায়খুল হিন্দ (বাংলা ১ম খন্ড) * ইলমে তাসাউফ বা পীর মুরিদী * দৈনন্দিন আমল ও অজিফা * হারনো মানিক (মহা মনীষীদের অমূল্য বাণী) * ছোটদের মাওলানা থানভী (রহঃ) * নফহাতুল আম্বিয়া ফী-শামাইলে নবুবিয়্যাহ * তুহফাতুল আলমাঈ ৮ খন্ড অনুবাদ জনসেবাঃ তিনি তার গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন, এলাকায় ২টি মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেছেন। ইসলাহে নফস বা আত্মশুদ্ধির জন্য এলাকায় প্রতি মাসে ইসলাহী মাহফিল করে থাকেন। আমরা তাহা দীর্ঘায়ু কামনা করি।