সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

ড. মাওলানা আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন এর সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্ম

December 27 2020, 04:33


Manual6 Ad Code

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর, আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরির মুহাদ্দিস, লেখক, গবেষক, সম্পাদক ও তাত্ত্বিক ইসলামি আলোচক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন দাঃবাঃ ১৯৫৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মক্কার বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

পূর্ণ নামঃ আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন

পিতাঃ মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ রহঃ প্রাথমিক জীবনে তিনি বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।

১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় লেখাপড়া করেন। ১৯৭১ সালে সাতকানিয়া আলিয়া মাহমুদুল উলুম মাদ্রাসা থেকে প্রথম বিভাগে আলিম ও ১৯৭৩ সালে ফাযিল পাশ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত চট্টগ্রাম চন্দনপুরা দারুল উলুমে হাদিস অধ্যয়ন করেন।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে কামিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি হাকিমুল উম্মত আল্লামা আশরাফ আলী থানভীর (রহঃ) মুরিদ মাওলানা মুহাম্মদ আমিনের (রহঃ) কাছে সহীহ বুখারী, মাওলানা মতিউর রহমান নিযামীর কাছে সহীহ মুসলিম, মাওলানা ইসমাইল আরাকানী কাসেমীর (রহঃ) কাছে সুনান আত-তিরমিজী, মাওলান নাওয়াব হাসান কাসেমীর (রহঃ) কাছে সুনানে আবু দাউদ পড়েছেন। ১৯৮২ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ও ১৯৮৩ সালে একই বিষয়ে এমএ পাশ করেন।

২০০৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নিয়ে ড. শাহ মুহাম্মদ শফিকুল্লাহর তত্ত্বাবধানে ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর খুতবা : একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক গবেষণা ’ বিষয়ের উপর পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার প্রিয় উস্তাদদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আব্দুল হালিম বুখারী দাঃবাঃ। ১৯৮৭ সালে সাতকানিয়া আলিয়া মাহমুদুল উলুম ফাযিল মাদ্রাসায় আরবি ভাষা ও সাহিত্যের প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়।

১৯৯২ সাল থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার ধর্মীয় ও সাহিত্য বিষয়ক মুখপত্র মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক ও হালিশহর এ-ব্লক হজরত উসমান (রা.) জামে মসজিদের খতিব, আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরির মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। এছাড়াও তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দেড় বছর খণ্ডকালীন অধ্যাপক, হারুন ইসলামাবাদীর আমলে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণা বিভাগে ৪ বছর, সুলতান যওক নদভীর আহ্বানে জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ায় ‘ওসিলাতুল ইলাম’ বিষয়ে এক বছর শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

Manual5 Ad Code

ছাত্রজীবনে (১৯৭৩ — ১৯৮৪) দৈনিক সংবাদ, দৈনিক বাংলার বাণী ও The Bangladesh Times এর পটিয়া মহকুমা সংবাদদাতা এবং The New Nation এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর নির্বাচিত হন। তিনি নানুপুর মাদ্রাসার প্রাক্তন মহাপরিচালক মাওলানা জমির উদ্দীন নানুপুরীর রহঃ কাছে বায়আত গ্রহণ করেন এবং খেলাফত লাভ করেন। নানুপুরীর মৃত্যুর পর তিনি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর রহঃ হাতে বায়আত হন ও খেলাফত লাভ করেন।

তিনি জুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর কাছেও বায়আত হয়েছেন। ১৯৭০ সালে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মুখপাত্র মাসিক আত-তাওহীদে ‘হযরত উমর ফারুক (রা.)-এর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক তার প্রথম লেখা ছাপানো হয়। বর্তমানে তিনি ৪টি জাতীয় পত্রিকার নিয়মিত লেখক, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক ও আরবি পত্রিকা বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক।বিশ্ব মুসলীগ লীগের মুখপাত্র দ্যা ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নাল সহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড ও সীরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০ টি। তার মধ্যে রয়েছে : মাসলাকে উলামায়ে দেওবন্দ (অনুবাদ), ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান (অনুবাদ), কারওয়ানে জিন্দেগী-৩য় খন্ড (আত্মজীবনী মূলক রচনা), খতীবে আযম মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ: একটি যুগ বিপ্লব উৎস (১৯৮৯), নির্বাচিত প্রবন্ধ-১। সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে আছে সিরাতে আয়েশা (রাযি), বিশ্বময় ইসলামের জাগরণ, এসো নারী পর্দা করি, পুরুষ মহিলাদের নামায শিক্ষা।

Manual3 Ad Code

তাছাড়া তিনি পীর জুলফিকার নকশবন্দীর (দঃবাঃ) লিখিত কিতাবগুলো বাংলাদেশে কেউ অনুবাদ করলে তা পরিচালনা, সত্যতা যাচাই ও শুদ্ধ হয়েছে কিনা দেখন বিষয়ক কমিটিরও সদস্য। ঐ কমিটির প্রধান মুফতি শামশুদ্দীন জিয়া দাঃবাঃ ও মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ দাঃবাঃ।

Manual6 Ad Code

তথ্যদাতা : এফএসডি একরামুল হক

+880 1302-084111

Manual2 Ad Code

Spread the love