সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

খলীফায়ে মাদানী শায়খ সৈয়দ তাখলীস হুসাইন রাহ.

April 30 2019, 06:47


Manual5 Ad Code

নাম :- খলীফায়ে মাদানী শায়খ সৈয়দ তাখলীস হুসাইন রাহ.

Manual3 Ad Code

জন্ম / জন্মস্থান :- সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত জগন্নাথপুর থানাধীন ঐতিহ্যবাহী সৈয়দপুর গ্রামের \’বড়বাড়িতে\’ ১৮৯৫ ইংরেজি সালে জন্মগ্রহণ করেন।

শৈশব কাল :- ছোটবেলা থেকে তিনি শান্তশিষ্ট, অমায়িক বিনয়ী ছিলেন। চালচলন ছিল অত্যন্ত ভদ্র। সবার কাছে প্রিয়ভাজন ও স্নেহভাজন ছিলেন। অহেতুক ঝগড়াঝাঁটি ও আনন্দোল্লাসে লিপ্ত হতেন না। শৈশবকাল থেকেই তিনি দ্বীনের প্রতি ধাবিত ছিলেন। নামাজ, রোযা ও ইসলামি কালচারের প্রতি যত্নবান ছিলেন।

Manual7 Ad Code

শিক্ষা জীবন :- মহীয়ান এ মানবের শিক্ষাসূচনা হয় গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান \’সৈয়দপুর সৈয়দিয়া শামসিয়া ফাজিল মাদরাসা\’ থেকে। সেখানে শিক্ষা লাভ করে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য সিলেটের ফুলবাড়ি আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হোন। সেখানে সুনামের সাথে লেখাপড়া করে যান। কিন্তু সেখানে লেখাপড়া শেষ করতে না করতেই উপমহাদেশে লেগে যায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন। মহীয়ান এ মানব আর অধ্যয়নে ক্ষ্যন্ত থাকেন নি। ঝাঁপিয়ে পড়েন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে। সেখানে অকুতোভয়ে শায়খুল ইসলামের সাথে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করে যান। যার ফলে তাঁর উচ্চতর শিক্ষার্জন আর সম্ভব হয়নি। আন্দোলন শেষে নিজ গ্রামে অবস্থান করেন।

Manual5 Ad Code

কর্ম জীবন :- তিনি কর্মজীবন প্রায় নিজ বাড়িতেই অতিবাহিত করেন। বাবার সাথে ক্ষেত-কামারে কাজ করতেন। সময়মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তাসবীহ তাহলিল আদায় করতেন। শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানি রাহি. সিলেট আগমন করলে তাঁর খেদমতে চলে যান। যখনই তিনি আসতেন সিলেটে তখনই তিনি তাঁর খেদমত হাজির হতেন। এভাবে ১৯২৩ সালে ১লা রমযান শায়খুল ইসলাম রাহি. নয়াসড়ক মসজিদে এ\’তেকাফের উদ্দেশ্যে আসলে সেখানে যেয়ে তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। অবশেষে ২৫ রমযান তাকে ইযাযত প্রধান করেন। এটাই শায়খুল ইসলামের প্রথম ইযাযতপ্রদান। তিনিই শায়খুল ইসলামের প্রথম খলীফা। তখন তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৩০ বছর। ইযাযত প্রধানের প্রাক্কালে শায়খুল ইসলাম রাহি. তাকে জিজ্ঞেস করেন: কিয়া নাম হ্যে?
তিনি জবাব দেন- তাখলীস।
অতঃপর জিজ্ঞেস করেন: খুছুছি কুওয়ি আমল করতা হো?
তিনি বলেন : নেহি!
আবারও বললেন : মিথ্যা বলো না।
তিনি বললেন : মিথ্যা বলছি না। বিশেষ কোন আমল নেই। তবে সবসময় অযু অবস্থায় থাকি।
শায়খুল ইসলাম রাহি. খুবই আনন্দিত হয়ে তাঁর জন্য দু\’আ করেন।
এরই সুবাদে শায়খুল ইসলাম রাহি. এর বহুবার সৈয়দপুরে আগমন হয়। যখনই আগমন করতেন তখনই তাখলীস সাহেবের বাড়ি \’বড়বাড়িতে\’ অবস্থান করতেন।

অবদান :- তিনি ও মাদানী রাহি. আরেক খলীফা শায়খ আবদুল খালিক রাহি. উভয়ে শায়খুল ইসলাম রাহি. এর নির্দেশে ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠা করে \’জামেয়া সৈয়দপুর\’। প্রতিষ্ঠাকালীন মুহতামিম শায়খ তাখলীস হুসাইন রাহি.। নাজিমে তালিমাত শায়খ সৈয়দ আবদুল খালিক রাহি.। হিসাবরক্ষক পণ্ডিত সৈয়দ আবদুজ জহুর রাহি. হিসেবে সৈয়দপুর জামেয়ার কার্যক্রম চলতে থাকে। তিনি ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত জামেয়ার ইহতেমামির কাজ সুচারুরূপে আঞ্জাম দিয়ে গেছেন।
মহীয়ান এ মানব বায়ান্ন বছরের এ জীবনে দেশ ও জাতীর কাছে অনেক অবদান রেখে গেছেন। বাংলা-আসামে তাঁর সুনাম, সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে। স্মৃতি হিসেবে আজো আপন মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে তাঁর হাতে গড়া \”জামেয়া সৈয়দপুর\”। সে জামেয়া আজ প্রায় একশবছর ছুঁইছুঁই। তার অসংখ্য রুহানি সন্তান দিগদিগন্তে ইলমের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন

মৃত্যু তারিখ :- ৫ বৈশাখ ১৩৫৪ বাংলা, ১৯৪৭ ইংরেজি।

মোবাইল :-

Manual4 Ad Code

তথ্য দানকারীর নাম :- সায়্যিদ কামরুযযামান নাজির

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৭৯৫৮৫৯৯০৬

Spread the love

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code