সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

৬ কারণে বা পরিস্থিতিতে গীবত করা জায়েজ

September 11 2019, 07:33

Manual2 Ad Code

লিখেছেন বিশিষ্ট আলেম ও দাঈ-মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

১- জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।

২- খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে।

Manual2 Ad Code

৩- বিষয়টি সম্পর্কে শরয়ী সমাধান জানতে গীবত করে মূল বিষয় উপস্থাপন করা জায়েজ আছে। যেমন বলা যে, আমাকে অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে, তাই আমারও কি তাকে আঘাত করা জায়েজ আছে? ইত্যাদি

৪- সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী ধোঁকা ও খারাবী থেকে বাঁচাতে গীবত করা জায়েজ। যেমন সাক্ষ্য সম্পর্কে, হাদীস, আসার ও ইতিহাস বর্ণনাকারী সম্পর্কে, লেখক, বক্তা ইত্যাদি সম্পর্কে দোষ জনসম্মুখে বলে দেয়া, যেন তার ধোঁকা ও মিথ্যাচার থেকে মানুষ বাঁচতে পারে।

Manual6 Ad Code

৫- প্রাকাশ্যে যদি কেউ শরীয়তগর্হিত করে, তাহলে তার খারাবী বর্ণনা করা এমন ব্যক্তির কাছে যারা এর দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে পারে। যেমন কেউ প্রকাশ্যে মদ খায়, তাহলে মানুষের সামনে তার সরাসরি বদনাম করা জায়েজ আছে। যেন এমন খারাপ কাজ করতে ভবিষ্যতে কেউ সাহস না করে।

৬- কারো পরিচয় প্রকাশ করতে। যেমন কেউ কানা। তার পরিচয় দেয়া দরকার। কিন্তু নাম কেউ চিনতেছে না। কিন্তু কানা বলতেই সবাই চিনে ফেলে। তখন কানা বলা বাহ্যিক দৃষ্টিতে গীবত হলেও এটা বলা জায়েজ আছে। এতে গীবতের গোনাহ হবে না। {তাফসীরে রুহুল মাআনী- ১৪/২৪২, সূরা হুজরাত-১২}

Manual6 Ad Code

উপরোক্ত ৬ প্রকারের মাঝে ৪র্থ প্রকার অনুপাতে যে সমস্ত ব্যক্তিরা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে, ইসলামের নামে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করে মানুষের ঈমান ও আমলকে নষ্ট করে, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন সব ব্যক্তিদের ক্ষতি থেকে জাতিকে সতর্ক করার জন্য তাদের নাম নিয়ে তাদের প্রকৃত চিত্র  উম্মতের পেশ করা হারাম ও নিষিদ্ধ গীবতের অন্তর্ভূক্ত নয়। বরং এটি দ্বীনের একটি কাজ। সেই সাথে সওয়াবের কাজও বটে।

সেই হিসেবে যে সমস্ত আহলে হাদীস নামধারী লা-মাযহাবী শায়েখরা উম্মতের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করছে, হাদীসের নামে জালিয়াতি ও প্রতারণা করে উম্মতের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করছে, তাদের নাম উল্লেখ করে তাদের প্রতারণা ও ধোঁকা তুলে ধরা অবশ্যই নিষিদ্ধ গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না। বরং দ্বীনের একটি জরুরী কাজ হিসেবে সওয়াবের অংশিদার হবেন ইনশাআল্লাহ।

وقد تجب الغيبة لغرض صحيح شرعي لا يتوصل إليه إلا بها وتنحصر في ستة أسباب الأول : التظلم فلمن ظلم أن يشكو لمن يظن له قدرة على إزالة ظلمه أو تخفيفه . الثاني : الاستعانة على تغيير المنكر بذكره لمن يظن قدرته على إزالته . الثالث : الاستفتاء فيجوز للمستفتي أن يقول للمفتي : ظلمني فلان بكذا فهل يجوز له أو ما طريق تحصيل حقي أو نحو ذلك؛ والأفضل أن يبهمه .الرابع : تحذير المسلمين من الشر كجرح الشهود والرواة والمصنفين والمتصدين لإفتاء أو إقراء مع عدم أهلية فتجوز إجماعاً بل تحب ، وكأن يشير وإن لم يستشر على مريد تزوج أو مخالطة لغيره في أمر ديني أو دنيوي ويقتصر على ما يكفي فإن كفى نحو لا يصلح لك فذاك وإن احتاج إلى ذكر عيب ذكره أو عيبين فكذلك وهكذا ولا يجوز الزيادة على ما يكفي ، ومن ذلك أن يعلم من ذي ولاية قادحاً فيها كفسق أو تغفل فيجب ذكر ذلك لمن له قدرة على عزله وتولية غيره الخالي من ذلك أو على نصحه وحثه للاستقامة ، والخامس : أن يتجاهر بفسقه كالمكاسين وشربة الخمر ظاهراً فيجوز ذكرهم بما تجاهروا فيه دون غيره إلا أن يكون له سبب آخر مما مر . السادس : للتعريف بنحو لقب كالأعور . والأعمش . فيجوز وإن أمكن تعريفه بغيره (روح المعاني في تفسير القرآن العظيم والسبع المثاني، سورة حجرات- 12)

والله اعلم بالصواب
(সৌজন্যে- আহলে হক বাংলা মিডিয়া সার্ভিস)

Manual2 Ad Code

Spread the love

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code