সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

ক্বারী মাওলানা ফজলুর রহমান রহ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

May 15 2019, 04:05

Manual2 Ad Code

নাম: ক্বারী ফযলুর রহমান

বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম মুফতী দেলাওয়ার হোসাইনসহ প্রখ্যাত বহু আলেমের কুরআন তিলাওয়াতের উস্তায, বিশিষ্ট ইসলামি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, তরুণ আলেম গাজী সানাউল্লাহর আব্বা ক্বারী ফযলুর রহমান ইন্তিকাল করেছেন। ২ রমযান (৮মে, বুধবার) সাহরির আগে মসজিদুল আকবরে নফল ইতিকাফের হালতে তিনি ইন্তিকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি ওয়া রাজিউন। ইন্তিকালের সময় তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক সত্তর বছর।

Manual6 Ad Code

তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা মিরপুর মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্সে। পরে মরহুমকে দাফন করা হয় বছিলা গোরস্তানে।

ক্বারী ফযলুর রহমান রহ. তাঁর ছাত্র মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাহেবকে  ‘আমার বাবা’ বলে সম্বোধন করতেন। প্রায় সময় তিনি মুফতি দেলোয়ার হোসাইন পরিচালনাধীন মাদরাসা মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্সে চলে আসতেন। বিশেষত গত ২০ বছর ধরে রমযান কাটাতেন মসজিদুল আকবরে।

Manual5 Ad Code

মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী,  এক সন্তান এবং অসংখ্য ছাত্র-শিষ্য রেখে গেছেন। তার প্রসিদ্ধ কয়েকজন ছাত্র হলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম মুফতী দেলোয়ার হুসাইন, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব। তার শাগরিদদের মধ্যে আরও রয়েছেন বিবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুসিয়ার বর্তমান শায়খুল হাদীসসহ কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক।

Manual8 Ad Code

কর্মজীবনে তিনি বিবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুসিয়া, কটিয়াদি মাদরাসা , খেড়িহর মাদরাসা, শাহেদাগোপসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মাদরাসায় কুরআনের খেদমত করেছেন। ইলমে কেরাতে তাঁর বিশেষ দক্ষতা ছিল বলে জানা যায়। তিনি নাদিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আবদুল ওয়াহহাব সাহেবের বাড়িতে কিছু দিন কারিয়ানা প্রশিক্ষক হিসাবে খেদমত করেছেন।

ছাত্রজীবনে তিনি বিবাড়িয়ার জালশুকা মাদরাসায় পড়ালেখা করেছেন। তিনি কুমিল্লার প্রখ্যাত বুজুর্গ আলেম, হজরত মাদানী রহ.-এর খলিফা আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন- ফেনুয়ার হুজুরের খাস শাগরিদ ছিলেন।

Manual5 Ad Code

ইসলাম টাইমসের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করে মরহুমের একমাত্র সন্তান মাওলানা গাজী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান, ব্যক্তি জীবনে মাওলানা ফযলুর রহমান ছিলেন অনেক অমায়িক মানুষ। দ্বীনী খেদমতের জযবা, ইবাদতের প্রতি ভালোবাসা, সত্য কথা সাহসের সঙ্গে বলতে পারা তার বিশেষ গুণ ছিল। তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দ্বীনী হালতের উন্নতির জন্যে সব সময় ফিকিরমান্দ ছিলেন। বিভিন্ন দ্বীনী প্রতিষ্ঠান ও খেদমতে তিনি  সহযোগিতা করতেন।

Spread the love