সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন দা.বা. এর কর্মময় জীবনালেখ্য

May 11 2019, 08:58


Manual8 Ad Code

নাম :- মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন 

জন্ম / জন্মস্থান :- মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন- বৃহত্তর সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় এক আলেমেদ্বীন। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসীকন্ঠ। দ্বীনী শিক্ষার চর্চা ও বিকাশের আদর্শ পথিকৃৎ। ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের এক কুশলী সিপাহসালার। কীর্তিমান এ আলেম সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরের পরিচালক। একজন বর্ষীয়ান আলেম, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং বড়মাপের ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে সর্বমহলে তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। নন্দিত এ আলেম ১৯৪১ সালের ৪ঠা এপ্রিল সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকরদিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম মুকাদ্দাস আলী ছিলেন একজন হাফিজে কুরআন। মা মরহুমা খায়রুন্নেছা বেগম একজন সরলপ্রাণ ধর্মভীরু মহিলা হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। তিন ভাই,দু’ বোনের মধ্যে মাওলানা ২য়।

শৈশব কাল :- শায়খ জিয়া উদ্দীন অক্ষরজ্ঞান এবং বুনিয়াদি শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ নিজগৃহে মা-বাবার কাছেই অর্জন করেন। এরপর গ্রামের মসজিদে মক্তবশিক্ষার মাধ্যমে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সূচনা হয়। দ্বীনের প্রাথমিক শিক্ষা তিনি মক্তবে সমাপ্ত করেন।
১৯৫৩ সালে ভর্তি হন গ্রামের পাঠশালায়। তিন বছর এখানে কৃতিত্বের সাথে লেখাপড়া করে ১৯৫৫ সালে প্রাইমারি শিক্ষার সমাপ্তি টানেন।

শিক্ষা জীবন :- ১৯৫৬ সালে মাথিউরা ঈদগাহ বাজার মাদরাসায় সাফেলা দুওম ক্লাস পড়েন। পরের বছর দারুল উলূম দেউলগ্রাম মাদরাসায় সাফেলা সুওম জামাতে ভর্তি হন। দেউলগ্রাম মাদরাসায় সানবী ২য় বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করে ১৯৬০ সালে গাছবাড়ি জামিউল উলূম মাদরাসায় আলিম ক্লাসে ভর্তি হন। এখানে দু’বছর লেখাপড়া করে ১৯৬২ সালে হাটহাজারি চলে যান। ভর্তি হন হেদায়া আউয়ালাইন জামাতে। ১৯৬৫ সালে হাটহাজারি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। পরের বছর হাটহাজারিতেই ইলমে তাফসীরে তাখাসসুস করে শিক্ষাজীবনের ইতি টানেন।

Manual7 Ad Code

কর্ম জীবন :- কর্মজীবনে মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। হাটহাজারি থেকে হাদীস শাস্ত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৬৭ সালে জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরে সাধারণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। অল্পদিনেই আপন কর্মদক্ষতায় একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে উস্তাদ-ছাত্র সকলের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হন। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাওলানা শায়খ শিহাব উদ্দীন শায়খ জিয়া উদ্দীনের কর্মতৎপরতা দেখে দু’বছর পরই তাঁকে জামেয়ার শিক্ষাসচিবের দায়িত্ব দিয়ে দেন। ১৯৬৯ সাল থেকে এযাবত (২০১৯) তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে শিক্ষাসচিবের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দক্ষ হাতের পরিচালনায় জামিয়ার শিক্ষাবিভাগ অল্পদিনেই উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়। সদ্য প্রতিষ্ঠিত জামেয়ার লেখাপড়ার সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। যোগাযোগের সুবিধাবঞ্চিত অজপাড়াগাঁয় অবস্থিত জামেয়ায় দূর দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ভীড় জমাতে থাকে। অল্পদিনেই জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর সিলেটের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০১০ সালে নেজামতির পাশাপাশি তিনি জামিয়ার মুহতামিম পদেও অধিষ্ঠিত হন। বর্তমানে তিনি একসাথে নেজামতি ও এহতেমামির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

অবদান :- দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে তিনি জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরে ইলমেদ্বীনের খেদমাত আঞ্জাম দিচ্ছেন। এই সময়ে তিনি প্রায় পনের হাজার ছাত্রকে শিক্ষাদান করেন, গড়ে তুলেন মুফতি, মুহাদ্দীস, মুফাসসির, গবেষক-আলেম-উলামার এক বিরাট কাফেলা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে বর্তমানে তাঁর ছাত্ররা বিভিন্ন পর্যাযে ইলমে দ্বীনের খেদমত আঞ্জাম দিযে যাচ্ছেন। শিক্ষকতায় বিরল কৃতিত্বের স্বীকৃতস্বরূপ ২০১৬ সালে তাঁকে এক অনলাইন সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। শিক্ষকতার পাশাপাশি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক কাজেও জড়িত। হাটহাজারিতে থাকাকালীন আইয়ুব আমলে মুসলিম পার্সোনাল লো’ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরের বছর ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামে মাজারপুজারী ভন্ডদের সােেথ এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন মারাত্মকভাবে আহত হন। এসময় শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল কাইয়ুম রাহ, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফিসহ হাটহাজারির শীর্ষ আসাতিজারা হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। আল্লামা আব্দুল কাইয়ুম তাঁর শানে আরবি কবিতা আবৃত্তি করেন। আল্লামা আহমদ শফী শায়খ জিয়ার ত্যাগের শুকরিয়া জানিয়ে নিজ হাতে এক আবেগপূর্ণ চিঠিও লেখেন।
নব্বই’র দশকে তিনি বিয়ানীবাজারে ইসমতে আম্বিয়া ও খতমে নবুওত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এসময় তাঁর তত্ত্বাবধানে ইযহারে হকের ব্যনারে বিয়ানীবাজারে খতমে নবুওত ও ইসমতে আম্বিয়া-আদালতে সাহাবা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তসলিমা বিরোধী আন্দোলন, শাবিপ্রবির নামকরণের আন্দোলন, ফতোয়া বিরোধী রায়ের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে তিনি সিলেটে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন।
২০০৫ সালে ভারতীয় নদী আগ্রাসনের প্রতিবাদে জাতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক আহুত ঐতিহাসিক টিপাইমুখ লংমার্চে তিনি সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের ৮ডিসেম্বর জমিয়তের ডাকা টিপাইবাঁধ অভিমুখে ঐতিহাসিক রোডমার্চের আহবায়ক ছিলেন তিনি।
২০০৮ সালে কুরআন বিরোধী নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরুদ্ধে সিলেটে ‘কুরআনী আইন সংরক্ষণ কমিটির’ আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।
২০১৩ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মূর্তি নির্মাণের বিরুদ্ধে ‘শাহজালাল ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির ব্যনারে সর্বদলীয় আন্দোলন গড়ে ওঠে। মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। দূর্বার আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
২০১৩ সালে হেফাজতের আন্দোলনে মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সিলেট জেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে সিলেট হেফাজত সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল হেফাজতের উদ্যোগে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে সিলেটে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন এতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল ঢাকায় হেফাজতের ঐতিহাসিক লংমার্চে তিনি অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। আগের দিন লালবাগ মাদরাসায় হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনে তিনি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর পাশেই বসা ছিলেন। ২০১৩ সালের ৫মে ঢাকা অবরোধেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ৫মের কালোরাতে তিনি স্বশরীরে শাপলা চত্বরে উপস্থিত হয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন। ৫ মের নির্মম ট্রাজেডির পর সারাদেশের শীর্ষ আলেমদের মতো মাওলানা জিয়া উদ্দীনও হয়রানির শিকার হন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এখনো পর্যন্ত তাঁর ওপর ৬টি মামলা ঝুলন্ত আছে।
রাজনৈতিকভাবে মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন শতাব্দির প্রাচীনতম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে জড়িত। আশির দশকে তিনি জমিয়তের অঙ্গসংগঠন জমিয়তে তুলাবায়ে আরাবিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। এসময় তিনি তুলাবায়ে আরাবিয়ার বৃহত্তর সিলেট শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বিয়ানীবাজার উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে শায়খ জিয়া উদ্দীনের অভিষেক হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন। পরপর তিন মেয়াদে তিনি জেলা জমিয়তের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হন।
২০১১ সালে সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতির দায়িত্ব পান। এ বছরই কেন্দ্রিয় জমিয়তের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পুণরায় জেলা জমিয়তের সভাপতি হন। ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তাঁকে
পুণরায সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ২০১৮ সালে তাঁকে তৃতীয়বারের মতো সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
বর্তমানে তাঁকে কেন্দ্র জমিয়তের অন্যতম নীতিনির্ধারক এবং সিলেট জেলা জমিয়তের প্রধান নির্বাহী মনে করা হয়। রাজনৈতিক সক্রিয়তা ছাড়াও মাওলানা জিয়া উদ্দীন বেশ কয়েকটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ বোর্ড আল হাইআতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় আমেলার সদস্য তিনি।
দেশের প্রাচীনতম শিক্ষাবোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশের সভাপতি তিনি। এদারার প্রাসাশনিক অনেক উন্নয়ন, সিলেবাসের আধুনিকায়নে তাঁর অবদান অনেক। ২০১২ সালের ৯, ১০, ১১ ফেব্র“য়ারী এদারার তিনদিন ব্যাপী ৩০সালা দস্তারবন্দী সম্মেলনে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব তিনিই আঞ্জাম দেন। এছাড়াও তিনি আরেকটি শিক্ষাবোর্ড ‘তানযীমুল মাদারিস সিলেট বিভাগের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। হিফয এবং মুতাওয়াসসিতা বিভাগ নিয়ে গঠিত এ বোর্ড সিলেট বিভাগে বেশ পরিচিত এবং সমাদৃত। এছাড়াও তিনি মাদানিয়া কুরআন শিক্ষাবোর্ড, নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাবোর্ডের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন।
জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মপদুর ছাড়াও তিনি জামিয়া কাসিমুল উলূম মেওয়া, জামিয়া হাতিমিয়া শিবগঞ্জ, বাহাদুরপুর জালালিয়া মাদরাসা, আকাখাজানা মহিলা টাইটেল মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি মাদরাসার মুহতামিম।
আশ-শিহাব পরিষদ, ইকরা ফাউন্ডেশন ইউকে, আল-হিলাল ছাত্র সংসদ, আল-কলম গবেষণা পরিষদ. চেতনা সাহিত্য পরিষদ, জাগরণ ইসলামী সাংস্কৃতিক পরিষদ হিজবে এলাহী বিয়ানীবাজারসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক, সাহিত্যসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন মাওলানা আব্দুল মতিন চৌধুরী ফুলবাড়ির মাজায। শায়খে ফুলবাড়ি মদীনা শরীফে ই’তিকাফরত অবস্থায় স্বীয় খলীফা বিয়ানীবাজারের মাওলানা আব্দুস সবুরের মাধ্যমে শায়খ জিয়া উদ্দীনকে তরীকতের ইজাযত দেন।
রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি যেমন একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব, তেমনি পারিবারিক জীবনেও তিনি একজন আদর্শ অভিভাবক। তিনি ১ ছেলে এবং ৬ মেয়ের জনক। ছেলে সাইফুল আলম ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা। জামাতারা সবাই সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর অন্যতম জামাতা মাওলানা ফয়যুল হক আব্দুল আজিজ বৃটেনের একজন নামকরা ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিগত জীবনে মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, বা-রু’ব এবং বা-ওয়াকার মানুষ। প্রায় ছ’ফুট লম্বা দেহের সর্বত্রই তাঁর ব্যক্তিত্বের ছাপ। নির্লোভ, দৃঢ়চেতা, দূরদর্শী, সাহসী, এবং বুদ্ধিদীপ্ত আলেম হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত তিনি। বর্তমানে সিলেটের আলেম সমাজের রাহবার, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরের কর্ণধার। আল্লাহ তাআ’লা যেনো তাঁকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন। ইসলাম, মুসলমান, দেশ ও জাতির স্বার্থে তাঁকে যেনো অনেক দিন আমাদের মাঝে জীবিত রাখেন- আমীন।

Manual6 Ad Code

মোবাইল :- 01819-653719

Manual3 Ad Code

তথ্য দানকারীর নাম :- হাফিজ মাওলানা ফরহাদ আহমদ ফাযিল ও শিক্ষক, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর, বিয়ানীবাজার, সিলেট

Manual3 Ad Code

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- 01738-351823

Spread the love

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code