সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ দা.বা. এর সংক্ষিপ্ত জীবনদর্শন

May 03 2019, 18:35


Manual7 Ad Code

মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ- জন্ম ১৯৭১। ইলমুল ওহীর আলোয় নিজেকে সমৃদ্ধ করে অবক্ষয় জর্জরিত সমাজে দ্বীনের আলোকমালা প্রজ্জলিত করতে সদা প্রত্যয়ী মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সিলেটের যে কয়জন সম্ভবানাময় তরুণ আলেমেদ্বীন রয়েছেন, তার মধ্যে তিনি অন্যতম। একামতে দ্বীনের কাজে অত্যন্ত সংগ্রামমুখর এ আলেমেদ্বীন ভিন্নমুখী তৎপরতার মাধ্যমে সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে রয়েছেন সদাতৎপর। ছাত্র রাজনীতিতে একজন সংগঠক হিশেবে খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ ১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানাধীন (বর্তমান ওসমানীনগর) ঐতিহ্যবাহী তাজপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত শাহ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা- ফাজিলে দেওবন্দ, প্রবীণ আলেমেদ্বীন হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম। অত্র এলাকায় তিনি একজন সচেতন ব্যক্তিত্ব। দ্বীনি খেদমতে যার রয়েছে সুখ্যাতি। মাতা-আয়শা বেগম একজন পর্দানশীন, পরহেজগার ও গুণবতী মহিলা।

শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি স্থানীয় আওরঙ্গপুর মাদরাসায় ইবতেদায়ী থেকে ৬ষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। তিনি ৫ম শ্রেণিতে আজাদ দ্বীনি এদ্বারা বোর্ডের অধীনে বৃত্তি লাভ করেন। এরপর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া মাদানিয়া ইসলামীয়া কাজির বাজার মাদরাসায় ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৯২ সালে সুনামের সাথে তাকমীল ফিল হাদীসে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনি প্রতিটি ক্লাসেই ১ম স্থানের আধিকারী ছিলেন। বিশেষ করে দরজায়ে ফজিলত ও দাওরায়ে হাদীসে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশে ৫ম স্থান অধিকারের গৌরব অর্জন করেন।

Manual3 Ad Code

তিনি যে সকল উস্তাদগণের অকৃত্রিম ¯েœহ মমতার, উৎসাহ ও প্রেরণায় ইলমুল ওহী হাসিলে সক্ষম হন, সেসকল উস্তাদগণ হলেন- প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা নেজাম উদ্দিন, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা আবদুস সুবহান, মাওলানা হাফিজ আতিকুর রহমান প্রমুখ।

Manual5 Ad Code

শিক্ষা জীবন সমাপ্তির সাথে সাথে একজন প্রতিভাবান আলেম হিশেবে জামেয়া মাদানীয়া কাজির বাজার মাদরাসায় শিক্ষক হিশেবে নিয়োগ লাভ করেন। এযাবৎ শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৯৩ সালে সাহাব সৈনিক পরিষদের ডাকে তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলন প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের সাথে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার অপরাধে ১৯৯৪ সালে গ্রেফতার হন। অবশেষে তৌহিদী জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এতে তিনি মাসাধিককাল কারাবরণ করেন।

Manual5 Ad Code

তিনি মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনে ফুলতলির পীর সাহেব, শায়েখে কৌড়িয়া ও প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সর্বদলীয় ইসলামী ঐক্য পরিষদের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে তরুণ বয়সেই তিনি সাহাবা সৈনিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচীব নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রাজনীতির সাথেও জড়িত রয়েছেন। তিনি একজন মৌলিক লেখক, চিন্তক ও মুহাদ্দিস হিশেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ১৯৯৮-৯৯ সালে সৌদী আরবের ইসলামিক সেন্টারে শিক্ষকতা, হজ্ব ও ওমরা পালন করেন।

Manual2 Ad Code

Spread the love

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code