শায়খ মাওলানা মুহাম্মদ আলী বলরামপুরী রহ.

April 17 2020, 06:34

qowmipedia.com,
লিখেছেন – মাওলানা আহমদ কবীর খলীল

# শায়খুল আরবে ওয়াল আজম, কুতবুল আলম, আল্লামা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রাহিমাহুল্লাহের যেসকল খলীফা দীপ্ত প্রতিভায় আর সুকৌশলে, নিরবে, নিভৃতে লোকদেরে হেদায়েতের আলোয় আলোকিত করছিলেন এবং সুখে দুঃখে জনগণের পাশে থেকে পরম ভালবাসার স্হান দখল করে নিয়ে ছিলেন, তাদের অন্যতম হলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার সোনারগাঁও ( বলরামপুর) নিবাসি, আরিফ বিল্লাহ হযরত শায়খ মুহাম্মদ আলী বলরামপুরী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।

হযরত মাদানী রহ. এর কনিষ্ঠতম এই খলীফা সমকালীন অনেক বুযুর্গদের ভাষায় কুতুব ও আরিফ বিল্লাহ হিসেবে স্বীকৃত এবং সর্বজন শ্রদ্ধার আসনে অলংকৃত ছিলেন। প্রচার বিমুখ এই মহান বুযুর্গের সংক্ষিপ্ত পরিচয় কওমি পেডিয়ার পাঠক মহলে উপস্থাপন করা হলো।

 

★ জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ খলীফায়ে মাদানী, আরিফ বিল্লাহ হযরত শায়খ মুহাম্মদ আলী বলরামপুরী রহ. কমলগঞ্জ উপজেলাধীন মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বলরামপুর ( সোনারগাঁও) গ্রামের এক মধ্যবিত্ত ধার্মিক পরিবারে ১৯২২ ঈসায়ী সনের কোনো এক শুভলগ্নে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ ছালিম উল্লাহ মুন্সি এবং দাদার নাম মুহাম্মদ আলিম উল্লাহ। মাতার নাম মুছাম্মাত গুলেজা বিবি। তারা সকলেই অত্যন্ত ধার্মিক ও সমাজের গণ্যমান্য ছিলেন। শায়খ মুহাম্মদ আলী রহ. পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর ভাই বোন সকলেই আলেম উলামা প্রিয়, ধার্মিক ও আল্লাহ ভীরু ছিলেন।

 

★ ছাত্র জীবন ঃ শায়খ মুহাম্মদ আলী বলরামপুরী রহ. আপন পিতা মাতার নিকটই প্রাথমিক শিক্ষার্জন করেন। অতপর পার্শবর্তী লক্ষীপুর সরকারি স্কুলে কিছুকাল লেখা পড়া করার পর সংস্পর্শে আসেন তৎকালীন আরেক আধ্যাত্বিক রাহবার হযরত শায়খ আব্দুল মজিদ, পীর সাহেব বলরামপুরী রহ.’র। যিনি বালক মুহাম্মদ আলীকে দীনি শিক্ষার প্রাথমিক অনেক কিতাবাদী পড়ানোর পর আধ্যাত্বিকতার স্বর্ণসিঁড়ির আরোহী করিয়ে দেন। আর এভাবেই বালক মুহাম্মদ আলী স্বীয় উস্তাদের তত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় এগুতে থাকেন শিক্ষা দীক্ষার রাজপথে।

পর্যায়ক্রমে কুলাউড়ার জয়পাশা মাদ্রাসায়,অতপর মৌলভীবাজার শহরস্হ দারুল উলূম মাদ্রাসায়, তারপর কানাইঘাট থানাধীন ঝিঙ্গাবাড়ী দারুল উলূম মাদ্রাসায় বিরামহীন মেহনতের মধ্য দিয়ে শিক্ষা দীক্ষা অর্জন করতে থাকেন। এভাবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে চলে যান আল্লামা আবদুল জলিল বদরপুরী রহ.’র তত্বাবধানে আসাম প্রদেশের বদরপুর টাইটেল মাদ্রাসায়। অধ্যাবসায়ের সহিত তিনটি বছর সেখানে জ্ঞানার্জন করতঃ ভিটে মাটি ছাড়া এই যুবক উত্তীর্ণ হন হাদীসের জামাতে। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ এশক ও মুহাব্বাত নিয়ে আল্লামা বদরপুরীর ও আল্লামা তায়্যিবুর রহমানের নিকট সিহাহ সিত্তার কিতাব অধ্যয়ন করে টাইটেল ক্লাস সমাপ্ত করেন। তবে অানুষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্তির গন্ডিতে তিনি না থেমে ইলমে হাদিসের দূর্বার পিপাসা নিয়ে এবং গভীর ভাবে হাদীস চর্চার নিমিত্তে, স্বীয় উস্তাদ আল্লামা বদরপুরীর পরামর্শে শায়খুল হাদিস আল্লামা জাকারিয়া সাহারণপুরী রহ.’র দরসে মাজাহিরুল উলূম সাহারণপুর গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে শায়খুল হাদিস রহ. ছাড়াও আল্লামা আসআদুল্লাহ ও আল্লামা সায়্যিদ আহমদ রহ.’র মত যুগশ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদদের সংস্পর্শ ও ছাত্রত্ব লাভ করেন।

অতপর ইলমে জাহিরী অর্জনের পাশাপাশি ইলমে বাতিনী তথা তাযকিয়ার জ্ঞান হাসিলের জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে হাজির হন তাঁর গভীর আকাংখার ব্যক্তিত্ব, রাহবরে আ’লা, শায়খুল ইসলাম আল্লামা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.’র দরবারে দারুল উলূম দেওবন্দে। সেখানে হযরত মাদানির হাতে বায়াত হয়ে তাঁরই নির্দেশ মোতাবেক বিরামহীন সাধনায় মনোনিবেশ করেন। পরবর্তীতে দেশে ফিরেও স্বীয় মুর্শিদের ইশারা ইঙ্গিতে তাযকিয়ার মেহনত অব্যাহত রাখেন। আর এভাবেই পা পা করে মা’রিফাতের উচ্চ শিখরে আরোহন করেন।

অতপর আসাম প্রদেশের বাশকান্দিতে হযরত মাদানী রহ. ‘র এ’তেকাফের সংবাদ পেয়ে তিনিও সেখানে গিয়ে স্বীয় মুর্শিদের সান্নিধ্য গ্রহণ করেন। আর সেখানেই মাদানী রহ. হযরত শায়খে বলরামপুরীকে ইজাযত ও খেলাফত দান করেন। তারপর শায়খে বলরামপুরী রহ. ইলমে শরীয়ত ও মা’রেফাতে পাণ্ডিত্য অর্জন পূর্বক মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। একদিকে মাদ্রাসা মসজিদে দীনি শিক্ষার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন এবং অপর দিকে মানুষের সামাজিক জীবন পরিশোধিত করার চেষ্টাও অব্যাহত রাখেন। অর্থাৎ ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে শিক্ষা দীক্ষা ও আত্মশুদ্ধির পথে মানুষকে আহবান করতে থাকেন।

 

★ কর্মজীবনঃ হযরত শায়খে বলরামপুরী রহ.’র কর্মজীবন শুরু হয় সিলেটের বালাগঞ্জ থানাধীন মুজাহিরুল উলূম হাজিপুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। স্বীয় উস্তাদ হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান দাশপারী রহ.’ র নির্দেশে সেখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। অতপর একজন মেহনতী ও আন্তরিক শিক্ষক হিসেবে অল্প দিনেই যথেষ্ট সুনাম সুখ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর যোগ্যতা ও আন্তরিকতার সুখ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে কমলগঞ্জের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় চাকুরী গ্রহণের জন্য তাকে আমন্ত্রণ করা হয়। পারিবারিক অভাব অনটন থাকায় সেই সরকারি চাকুরীটি গ্রহণ করবেন কি করবেন না! তিনি ভাবছিলেন ; এমন সময় এক তাৎপর্যপুর্ণ স্বপ্ন দেখে স্বীয় উস্তাদের স্বরণাপন্ন হন এবং স্বপ্নের তা’বির শুনে চাকুরী গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।

এরপর আজীবন কওমি মাদ্রাসার খেদমতের জন্য নিজেকে তৈরি করে নেন। ফলশ্রুতিতে মাদারিসে কওমিয়্যাই হয়ে ওঠে তাঁর আজীবন খেদমতের প্রধান কর্মস্হল। হাজীপুর মাদ্রাসার পর স্বীয় এলাকাবাসীর আহবানে বলরামপুর মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর একনিষ্ঠতা দেখে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত করে দেন। অতপর তাঁর চেষ্টা ও আন্তরিকতার সর্বোচ্ছ প্রয়োগ করে তিনি মাদ্রাসার উন্নতি ও অগ্রগতির চিন্তা করতে লাগলেন। তাঁর চেষ্টা, আন্তরিকতা ও এখলাসিয়্যতের বরকতে ঐ মাদ্রাসাটি পরবর্তীতে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত উন্নিত হয় এবং আজকের এই জামেয়া হুসাইনিয়া সোনারগাঁও বলরামপুর ( টাইটেল মাদ্রাসা)-এর রুপ ধারণ করে। জীবনের এক পর্যায়ে তিনি যখন যথেষ্ট টাকা পয়সার মালিক হয়ে ওঠেন, তখন লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের পকেট থেকে মাদ্রাসার জন্য ব্যয় করতেন, অথচ তা কেউ টেঁরই পেতো না। তাঁর মৃত্যুর পরই এলাকাবাসী সে বিষয়ে অবগত হন।

তিনি তাঁর জীবনের স্বপ্ন বানিয়ে নেন এই মাদ্রাসা। যেকারণে মৃত্যুর সময় তিনি সব কিছু বাদ দিয়ে আবেগ জড়িত কন্ঠে এবং কম্পিত সূরে উপস্থিত সবাইকে শেষ ওসীয়্যত করেন ; ” তোমরা আমার মাদ্রাসার প্রতি খেয়াল রাখিও এবং আমার মসজিদে জামাত জারি রাখিও”। শায়খে বলরামপুরী রহ. তিলে তিলে গড়ে তোলেন অসংখ্য আলেম উলামা। তাঁর হাতে গড়া শিষ্যদের অন্যতম হলেন ; শায়খুল হাদিস আল্লামা নাজির হুসাইন প্রথমপাশী, শায়খুল হাদিস আল্লামা আবদুল মালিক রুপসপুরী, বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মাওলানা সিরাজুল ইসলাম দেউলগ্রামী রহ., বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুর রব রহ. এবং ছাহেবযাদা মাওলানা আবদুল জলিল বলরামপুরী ( যিনি তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত ইউ কে ‘র বর্তমান সভাপতি এবং জামেয়া হুসাইনিয়া বলরামপুরের বর্তমান মুহতামিম)।

উল্লেখ্য যে, হযরত শায়খে বলরামপুরী রহ. মাদ্রাসাকে প্রধান কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করতঃ সমাজের প্রতিটি অধ্যায়ে খেদমতের দৃষ্টান্ত স্হাপন করে গেছেন। জনসেবার ক্ষেত্রে এলাকার মুসলিম অমুসলিম সকলেই তাঁর প্রশংসা করে থাকে। তাঁর প্রতিবেশি অনেক হিন্দুরা আজও কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করে যে, একাত্তরের যুদ্ধে শায়খে বলরামপুরী আমাদেরকে আশ্রয় না দিলে আমরা এই এলাকায় থাকা সম্ভব ছিলো না, তিনি তখন আমাদেরকে শান্তনা দিয়ে ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, তোমরা এখানেই থাকো, আমরা যদি বাঁচি তোমরাও বাঁচবে। আমরা যদি খাই তাহলে তোমরা অনাহারে থাকবে না। আর এভাবেই তিনি প্রতিবেশি হিন্দুদেরকে আজীবন সাহায্য সহযোগিতা করে গেছেন। যেকারণে তাঁর মৃত্যুর পর অনেক অমুসলিমকেও কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

 

★ বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যঃ হযরত শায়খে বলরামপুরী রহ. ছিলেন- * অত্যন্ত সাদা সিদে জীবনের অধিকারী এবং প্রচার বিমুখ। যার কারণে এতো উঁচু মাপের ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্বেও, যাকে হযরত আল্লামা গহরপুরী এবং শায়খে কাতিয়ার মত সমকালীন মহান বুযুর্গরা “কুতুব ও আরিফ বিল্লাহ” লক্ববে পরিচয় দিতেন, অথচ তিনি সর্বদা তাকে গোপন করে রাখার চেষ্টা করতেন। * সুন্নতের প্রতি খুবই যত্নবান এবং বদ দীনি ও খেলাফে সুন্নতের ক্ষেত্রে খুবই কঠোর ছিলেন।

* সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতার সাথে থাকার চেষ্টা করতেন। জামাতে নামাজ ও সালাতে তাহাজ্জুদের প্রতি সীমাহীন যত্নবান এবং সর্বদা জিকির আযকারে মশগুল থাকতেন। * গীবত-পরনিন্দা থেকে সর্বদা পরহেয করতেন ; কোনো মজলিশে পরনিন্দা শুরু হয়ে গেলে তিনি তেলাওয়াত শুরু করে দিতেন।

* স্বীয় মুর্শিদ হযরত মাদানী রহ. ‘র প্রতি খুবই আসক্ত ছিলেন। মুর্শিদের লিখিত কিতাবাদী মুতালাআ করা এবং তাঁর আলোচনা করাকে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। * মেহমানদারী ও আথিতেয়তা এবং অসহায়, গরীব- দুঃখীদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। * শাসন ও স্নেহ, এ দুইয়ের সমন্বয়ে সকলের প্রতি এমন ভালোবাসার ব্যবহার তিনি করতেন যে, তাঁর মৃত্যুর পরে সংশ্লিষ্ট সকলের এই দাবি ছিলো-” হুজুর আমাকেই বেশি মুহাব্বাত করতেন “! * তিনি দান খয়রাতে মুক্ত হস্ত হওয়া সত্বেও অপব্যয়ে সীমাহীন কঠোর ছিলেন। * অতীতকে খুবই স্মরণ করতেন এবং এর মাধ্যমে জনসমক্ষে নিজের তাওয়াজু তথা হীনতা ও তুচ্ছতা প্রকাশ করতেন। প্রায়ই বলতেন ; আমার কিচ্ছু ছিলো না, আল্লাহ পাক আমাকে এই এই ভাবে এতো কিছু দিয়েছেন। মোটকথা, হযরত শায়খে বলরামপুরী রহ. বহু বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এমন এক মহান বুযুর্গ ছিলেন, যিনি সাধারণ মানুষের সামনে সাধারণের মতোই চলতেন, অথচ বড় বড় আলেমরা তাঁকে সর্বোচ্ছ শ্রদ্ধার সাথে কুতুব ও আরিফ বিল্লাহ ইত্যাদি লক্ববে ভূষিত করেছেন।

 

★ আখেরী সফরঃ খলীফায়ে মাদানী, আরিফ বিল্লাহ, হযরত শায়খ মুহাম্মদ আলী বলরামপুরী রহ. দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পক্ষাঘাত জনিত কারণে অসুস্থ থাকার পর, বিগত ৯ ই নভেম্বর ২০০৬ ঈসায়ী, রোজ বৃহস্পতিবার, সুবহে সাদিকের সময় ডান দিকে পাশ ফিরিয়ে ডান হাতে গন্ডদেশ রেখে সম্পুর্ণ সুন্নত তরিকায় শুয়ে থাকা অবস্থায় ইহজগৎ ত্যাগ করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুটি বিবাহ করেছিলেন। এক স্ত্রীর মৃত্যুর পর আরেক স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন। মৃত্যুকালে এক স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই মেয়ে, ষোলজন খলীফা এবং অসংখ্য ছাত্র ও ভক্ত মুরিদানকে শোক সাগরে ভাসিয়ে তাঁর মহান মাওলার দরবারে চলে যান। বিকাল চারটা ত্রিশ মিনিটে হাজার হাজার উলামা-মাশায়েখ, ছাত্র জনতা ও সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণের উপস্থিতিতে এবং তাঁর বড় ছেলে হযরত মাওলানা শায়খ আবদুল জলিল সাহেবের ইমামতির মধ্য দিয়ে তাঁর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। অতপর তাঁদের পারিবারিক কবরস্হানে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, হযরত শায়খে বলরামপুরীর পরিবারে কখনও তিনি বদ দীনির ছোয়া লাগতে দেননি বিধায়,তাঁর মৃত্যুর পরেও তাঁর সন্তানদের মাঝে সেই ঝলক পরিলক্ষিত হয়। আল্লাহ পাক এই ধারাকে কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত রাখুন এবং এই মহান বুযুর্গের কবরকে জান্নাতের নূর দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

 

# লেখকঃ হাফিজ মাওলানা আহমদ কবীর খলীল মুয়িনে নাজিম, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা, সিলেট।