আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম

November 13 2019, 09:18

qowmipedia.com,

নাম :- আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম

জন্ম / জন্মস্থান :- আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী শায়খে জামুরাইলী (রহ.) এর বিভিন্ন সার্টিফিকেট ও পাসপোর্টের তথ্যানুযায়ী তিনি ১৯৪৩ সালের ১লা মার্চ জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের জামুরাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মোঃ ইনছান আলী ও মাতার নাম মরহুমা সজিবা খাতুন।

শৈশব কাল :- অত্যন্ত দারিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা এতিম শিশু আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) নিজ গ্রামের মক্তবে প্রয়োজনীয় দ্বীনিয়াত, নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত ও মাসআলাহ্ মাসাঈল ইত্যাদি ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।

শিক্ষা জীবন :- সিলেট অঞ্চলের কওমী মাদ্রাসা গড়ার অন্যতম কারিগর ও কওমী অঙ্গনের ওয়াজ মাহফিলের অন্যতম আর্কষণ আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) ৮ বছর বয়সে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের নিমিত্তে তখনকার হাড়িকান্দি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। মাদ্রাসার মুহতামীম মনসুরপুর নিবাসী মরহুম মাওলানা আব্দুল গণী চৌধুরী (রহ.) এর তত্বাবধানে থেকে প্রখর স্মৃতি শক্তি ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে মাত্র ৬ মাসে ইবতেদায়ী ৫ বছরের সিলেবাসভুক্ত সকল কিতাবাদী পাঠ শেষ করেন। এমতাবস্থায় জ্ঞানের পিপাসা মেটানোর লক্ষে তিনি পার্শ্ববর্তী কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার আহমদিয়া মাদ্রাসায় মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষে ৭ম শ্রেণী (মিযানুচ্ছরফ) এ ভর্তি হন। এ মাদ্রাসায় তিনি আলিম জামাত পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। ১৯৬১ সালে জকিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইছামতি দারুল উলুম মাদ্রাসায় আলিম জামাত খোলা হলে সরকার থেকে মঞ্জুরী নিতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থীর প্রয়োজন তা না থাকায় ইছামতি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সড়কের বাজার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হন। ফলে সড়কের বাজার মাদ্রাসার আলিম জামাতের সকল শিক্ষার্থী ইছামতি মাদ্রাসা থেকে আলিম ফাইন্যাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। সে আলোকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) ১৯৬১ ইংরেজীতে ইছামতি দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। আলিম জামাতে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষে কানাইঘাট উপজেলার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ গাছবাড়ি জামেউল উলুম কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল জামাতে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৬৩ সালে ফাজিল ও ১৯৬৫ সালে কামিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হন। গাছবাড়ি মাদ্রাসায় থাকাকালীন তিনি উপমহাদেশের শ্রেষ্ট দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের প্রখ্যাত মুহতামীম যুগ সচেতন আলেম হযরত মাওলানা ক্বারী তৈয়ব (রহ.) কর্তৃক হাদীসের ইজ্জত লাভ করেন।

কর্ম জীবন :- আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) লেখা-পড়ায় থাকাকালীন সময়েই এলাকাবাসীর চাঁপের মুখে কর্মজীবন শুরু করতে হয়। ১৯৬৩ সালে তিনি যখন গাছবাড়ি মাদ্রাসায় ফাজিল জামাতের ছাত্র তখনই হাড়িকান্দি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী প্রয়াত আর্জিদ আলী লস্করসহ এলাকার মুরব্বীয়ান তাকে হাড়িকান্দি মাদ্রাসার মুহতামীম নিযুক্ত করেন। লেখা-পড়ার জীবনে কোন মাদ্রাসার মুহতামীম হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভবত এটা একটি বিরল ঘটনা। হযরত শায়খে জামুরাইলী (রহ.) ছাত্রাবস্থায় হাড়িকান্দির মুহতামীমের দায়িত্ব নিয়েই মাদ্রাসার আমুল পরিবর্তন সাধন করেন। তাঁর সু-দক্ষ নেতৃত্বে ভেঙ্গে পড়া হাড়িকান্দি মাদ্রাসার প্রাণ ফিরে আসে। তিনি হাড়িকান্দি মাদ্রাসার মুহতামীম পদে নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মাদ্রাসার মজলিসে শুরা ও মজলিসে আমেলা গঠন, ঘন্টা-রুটিন, শিক্ষকদের স্তর বিন্যাস, কুতুবখানা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠাসহ যাবতীয় সংস্কার সাধন করে মাদ্রাসাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদেন। তবে হাড়িকান্দি মাদ্রাসার এ বিশাল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) স্বীয় ওস্তাদগণের আদেশ রক্ষার্থে জামেউল উলুম গাছবাড়ি মাদ্রাসায় শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। কেননা তিনি কামিল পরীক্ষা দেয়ার পর ফলাফল প্রকাশের পূর্বেই তাঁর তেজস্বী মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখে স্বীয় ওস্তাদগণ আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.)’র অজ্ঞাতেই তাকে গাছবাড়ি মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে সিলেবাসের বিভিন্ন উলুম ও ফুনুনের মৌলিক কিতাবাদী তাঁর নামে রেখে মাদ্রাসার দৈনিক শিক্ষা রুটিন প্রণয়ন করেন। পরবর্তীতে তাকে অবহিত করলে ওস্তাদগণের হুকুম রক্ষার্থে মাথা পেতে মেনে নিয়ে গাছবাড়ি মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতায় যোগদান করেন। সু-দীর্ঘ ৫ বছর অত্যান্ত সাফল্যের সাথে শিক্ষকতার মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে ইলমে ওহীর আলো বিকিরণ করতে থাকেন। এ সময় তার ত্যাগ-নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও বাতিলের বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা জ্বালাময়ী বক্তৃতার কথা সর্বত্র আলোচিত হয়ে পড়ে এবং তার সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৯ সালে বড়লেখা সুজাউল আলিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ও চাঁপের মুখে তাকে সে মাদ্রাসায় যোগদান করতে হয়। সেখানে তিনি ৩ বছর শিক্ষকতা করার পর ১৯৭১ সালে তাকে জোর করে নিয়ে আসা হয় বিয়ানীবাজার সিনিয়র মাদ্রাসায়। এ মাদ্রাসায় একাধারে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৮ বছর প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে অত্যান্ত সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করেন। তখন তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর বিয়ানীবাজার জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা, ত্যাগ ও কুরবানীর ফলে তখনকার সময়ে ৩ তলা মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব হয়। ১৯৮৯ সালে তাকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার জামে মসজিদের খতিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। দীর্ঘ ১ বছর পর্যন্ত তিনি বন্দরবাজার জামে মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন ব্যস্থতা ও ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণের ফলে তিনি নিজে থেকেই এ দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

অবদান :- আজকের জামিয়া মোহাম্মদিয়া হাড়িকান্দী আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) জীবনের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক অবদান। তিনি কর্মজীবনে এতসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করলেও তার দক্ষ পরিচালনা ও সু-পরিকল্পিত চিন্তাধারায় ছাফেলা চাহারম (১০ম শ্রেণী) পর্যন্ত হাড়িকান্দি মাদ্রাসা সময়ে সময়ে এগিয়ে নিয়ে করেছেন নারী-পুরুষের পৃথক টাইটেল মাদ্রাসা। ১৯৬৩ সালে মাত্র দেড় পোয়া জমি ও ছোট একটি ঘর দিয়ে তাঁর এহতেমামীর দায়িত্ব শুরু হলেও সময়ের ব্যাবধানে তা রূপ নেয় বিশাল একটি প্রতিষ্ঠানে। তাঁর একক প্রচেষ্ঠায় মাদ্রাসাটি ৪ একর জমির উপর বিশাল এরিয়া নিয়ে একটি দর্শনীয় মসজিদ, পৃথক ৩টি দীর্ঘ শিক্ষাভবন, নারী-পুরুষের জন্য পৃথক টাইটেল মাদ্রাসা, হিফজ বিভাগ, কুতুবখানা, বোডিং ও এতিমখানা চালু করা হয়। এছাড়া শায়খে জামুরাইলী (রহ.) দ্বীনি শিক্ষার কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজ গ্রাম জামুরাইলে ১৯৯৮ সালে বিশাল এরিয়া জুড়ে পৈত্রিক ভূমিতে মদীনাতুল উলুম দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসা নামে আংশিক পুরুষ ও পূর্ণাঙ্গ মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জামেয়া মোহাম্মদিয়া হাড়িকান্দি’র মুহতামীমের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামীম হিসেবে নিজ খরচে পরিচালনা করেন। শুধু তাই নয় জকিগঞ্জের মেঘাচ্ছন্ন আকাশের এই উজ্জল নক্ষত্রের সুযোগ্য পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্বাবধানে সময়ে সময়ে জকিগঞ্জ পৌর এলাকার জামেয়া ছাইদিয়া মাইজকান্দি ও বারহালের শরীফাবাদ মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি কওমী মাদ্রাসা পরিচালিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) ছাত্র জীবন থেকেই মাদ্রাসা কেন্দ্রিক ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ইসলামী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর সরব পদচারণা ছিল সকল ক্ষেত্রে। তিনি বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ফলে তাঁর আপোষহীন গুণাবলী দিকবিদিক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিনি মাদ্রাসা ছাত্র সংসদের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন। কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী না হলেও তাকে খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় অভিভাবক পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছিল। বেশ কিছুদিন তিনি খেলাফত মজলিসের সভা-সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন। তবে মাঝে মধ্যে তাকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভা-সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। সর্বশেষ তিনি হেফাজতে ইসলামের সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত থেকে জ্বালাময়ী বক্তব্য প্রদান করেন। শায়খে জামুরাইলী (রহ.) জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক কয়েকটি শিক্ষা বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তন্মধ্যে এদারাতুল বানাত সিলেটের সভাপতি, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালীম, সিলেট বিভাগের সহ সভাপতি ও তানজিমুল মাদারিছ বোর্ডের পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব পালন ছিল উল্লেখযোগ্য।
তিনি দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের স্বার্থে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেন। তন্মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, সৌদি আরব ও ভারতে একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে তিনি অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, পারিচালনা ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্বে থাকায় তা দেখা শুনার জন্য প্রতি বছর সেখানে যেতেন।
আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) একজন ভালো ওয়ায়েজ হিসেবে পুরো সিলেটবাসীর নিকট পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ও একাডেমিক খেদমতের পাশাপাশি জন সাধারণের হেদায়াতের লক্ষে পুরো বছর-ই দেশ-বিদেশে বিভিন্ন দ্বীনি মাহফিলে ওয়াজ-নছিহত করতেন। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের মাদ্রাসা সমূহের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল গুলোতে তার উপস্থিতি ছিলো সরব। এ সকল ওয়াজ মাহফিলে তিনি শিরক, বিদ্য়াত, জসনে জুলুস, মিলাদ, কিয়াম, কবরপূজা ও পীরপূজাসহ সকল প্রকার কু সংস্কারের বিরুদ্ধে কুরআন-হাদীসের দলিল ভিত্তিক যুক্তি উপস্থাপন করে মুসলমানদের সজাগ করে তুলতেন। তার প্রতিটি কথার সাথে কিতাবের রেফারেন্স পৃষ্টাসহ বলে দেয়া তার ওয়াজের এক বিরল বৈশিষ্ট। তার ওয়াজে থাকতো সকল শ্রেণীর মানুষের আত্মার খোরাক। তাই তার ওয়াজ চলাকালে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি থাকতো চোঁখে পড়ার মতো। মাদ্রাসা ওয়াজ মাহফিলে বড় অংকের চাঁদা কালেকশন তাঁর ওয়াজের এক জাদুকরী দিক ছিলো। এ কারণে অনেক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই তার তারিখে নিজ মাদ্রাসায় ওয়াজের তারিখ নির্ধারণের চেষ্ঠা করতেন।

মৃত্যু তারিখ :- আল্লামা শায়খ মোঃ আব্দুল গণী (রহ.) ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল, রোজ মঙ্গলবার, বিকাল ৫ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর সিলকো টাওয়ারের নিজ বাসবভনে ইন্তেকাল করেন। সুন্নাতে নববীর অনুপম আদর্শ হযরত শায়খে জামুরাইলী (রহ.) মৃত্যুকালে ৪ জন স্ত্রী, ১০ জন ছেলে ও ৮ জন মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, ছাত্র-শিক্ষক ও ভক্ত মুরিদান রেখে যান। হযরত শায়খে জামুরাইলী (রহ.) এর বড় ছেলে মাওলানা ওলীউর রহমান, দ্বিতীয় ছেলে হাফিজ জিল্লুর রহমান ও তৃতীয় ছেলে মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। চতুর্থ ছেলে হাফিজ মাওলানা সিদ্দীকুর রহমান জামেয়া মোহাম্মদিয়া হাড়িকান্দির নির্বাহী মুহতামীম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর এক ছেলে হাফিজ মাওলানা মুফতি হামিদুর রহমান উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য মদীনা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত আছেন। ছেলেদের মধ্যে ৫ জন ও মেয়েদের মধ্যে ৩ জন বিবাহিত। বাকি ছেলে-মেয়েরা এখনও লেখা-পড়ায় রয়েছেন।

মোবাইল :- 01720910027

তথ্য দানকারীর নাম :- রহমত আলী হেলালী, যুগ্ম সম্পাদক: জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব, সিলেট ও প্রধান সম্পাদক: সাপ্তাহিক জকিগঞ্জ সংবাদ

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৭১৫৭৪৫২২২