ড. ইউসুফ আল কারজাবি

November 12 2018, 04:12

qowmipedia.com,
লিখেছেন-মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান

ইসলামী জীবনব্যবস্থার বিভিন্ন দিকের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাখ্যা, আধুনিক মননের সন্দেহ সংশয় নিরসন এবং মুসলিম উম্মাহর করণীয় নির্দেশ করত সমকালীন বিশ্বে যিনি সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধি অর্জন করেছেন তিনি ড. শায়খ ইউসুফ আল কারযাভী। কুরআন-হাদীসের উপর অগাধ পাণ্ডিত্য, আধুনিক জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পারদর্শিতা, ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, অসাধারণ লেখনী শক্তি, বক্তব্যের বলিষ্ঠ উপস্থাপনা, বিষয় নির্বাচনে দতা প্রভৃতিতে তিনি ইলমী জগতে তাঁর সমসাময়িক সকল মনীষীকে ছাড়িয়ে গেছেন। শুধু জ্ঞানের জগতেই নয় বরং ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি সমান তৎপর। বার্ধক্যের অমতাকে এড়িয়ে তিনি এখনও তারুণ্যের দীপ্তি ছড়ান ইসলামী পুনর্জাগরণ প্রয়াসী কিশোর-তরুণ-যুবাদের হৃদয়ে।

জীবনের প্রারম্ভিকা

কারযাভী জন্ম ১৯২৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। উত্তর মিসরের নীলনদ তীরবর্তী সাফাত তোরাব গ্রামে। এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে পৃথিবীর আলো দেখেন ভাবিকালের এ মহান জ্ঞানতাপস। মাত্র দুই বছর বয়সে শিশু ইউসুফের বাবা ইন্তিকাল করলে চাচার তত্ত্বাবধানে লালিত হন তিনি।

অসাধারণ স্মৃতিশক্তির অধিকারী কারযাভীর শিক্ষা সূচনা হয় তানতা নামক এক মফস্বলে। তানতার অবস্থান রাজধানী শহর কায়রো থেকে ৯৪ কি. মি. উত্তরে। মাত্র দশ বছর বয়সে কারযাভী কুরআন মাজীদ হিফয করেন এবং তাজবীদ শাস্ত্রে দতা অর্জন করেন। দীর্ঘ নয় বছর তিনি তানতায় অবস্থিত আজহারী ইনিস্টিটিউট থেকে ধর্র্মীয় শিক্ষা সমাপ্ত করে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে কায়রো গমন করেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় আল-আজহারে ইসলামী  ধর্মতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে এখান থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক শেষ করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উপর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উসুল আল দ্বীন’ অনুষদ হতে ‘কুরআন-সুন্নাহ সাইন্স’ বিভাগে পুনরায় অনার্স করেন তিনি। অতঃপর ১৯৬০ সালে কুরআনিক স্টাডিজ বিভাগ হতে মাস্টার্স হন। ১৯৭৩ সালে আল-আজহার হতেই তিনি ‘সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ইউসুফ আল কারযাভী ছাত্রজীবনেই ছাত্র-শিক সকলের মধ্যমণিতে পরিণত হন। মাধ্যমিক স্তরে থাকতেই তাঁর শিক্ষকগণ তাকে ‘আল্লামা’ তথা ‘মহান পণ্ডিত’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

বহুমাত্রিক কর্মজীবন

শিক্ষা সমাপনান্তে ইউসুফ আল কারযাভী মিসরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘Institute of Imams’ এর পরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। কিছুদিন তিনি আওকাফ মন্ত্রণালয়ের ‘বোর্ড অব রিলিজিয়াস এফেয়ার্স’ এ কর্মরত ছিলেন। অতঃপর কারযাভী কাতার গমন করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ অনুষদের ডিন নিযুক্ত হন। ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি এখানে কর্মরত থাকেন এবং একই বছর তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্র’। অতঃপর ১৯৯০ সালে আলজেরিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনোনীত হয়ে তিনি আলজেরিয়া গমন করেন। সেখানে ১৯৯০-৯১ সাল দু’ বছর কাজ করেন। ১৯৯২ সালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্র’র ডিরেক্টর হিসেবে পুনরায় কাতার প্রত্যাবর্তন করেন এবং অদ্যাবধি সেখানে কর্মরত আছেন। ইউসুফ আল কারযাভীর কর্মত্রে আঞ্চলিকতা পেরিয়ে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। তিনি জাতীয়তাবাদের বিপরীতে আন্তর্জাতিকতাবাদের একজন প্রবক্তা। ইউসুফ আল কারযাভী আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা European Council For Fatwa and Research এর প্রধান। তিনি ইসলামিক স্কলারদের বিশ্ববিখ্যাত সংগঠন International Union for Muslim Scholars (IUMS)এরও চেয়ারম্যান। কারযাভী ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (OIC)’র ফিকহ একাডেমি, আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা রাবেতে আলমে ইসলামীর ফিকহ একাডেমি, রয়াল একাডেমি ফর ইসলামিক কালচার এ  রিসার্চ জর্ডান, ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার অক্সফোর্ড এর সম্মানীত সদস্য। কর্মেেত্রর দিক থেকে বাংলাদেশের সাথেও সম্পৃক্ততা রয়েছে ড. কারযাভীর। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (IIUC) এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।

ড. কারযাভী অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও গণমাধ্যমকে ইসলাম প্রচারকার্যে ব্যবহারের পথিকৃৎ। ড. কারযাভীর ‘আশ শারীআহ ওয়াল হায়াহ্ (শরীয়ত ও জীবন)’  শিরোনামের টিভি প্রোগ্রামটি বিশ্বের সর্বাধিক দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠানসমূহের একটি। আল জাজীরা টিভি সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানটির বিশ্বব্যাপী নিয়মিত দর্শক সংখ্যা ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) বলে অনুমান করা হয়।

তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বহুল জনপ্রিয় ওয়েবসাইট Islam Online. তিনি এ ওয়েবসাইটের ধর্মীয় বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক অবস্থান

ড. ইউসুফ আল কারযাভী সমাজ বিচ্ছিন্ন জ্ঞান সাধনায় বিশ্বাস করেন না। জীবনঘনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারা স্পষ্ট। তিনি সর্বেেত্র ইসলামকে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করার পপাতী। তবে এেেত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থাকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন এবং উদারতাবাদের ছদ্মাবরণে শিথিলতা ও উপোর নীতিকে ভ্রান্ত মনে করেন। বরং রাসূলুল্লাহর (সা.) অনুসৃত দ্বীন কায়েমের মধ্যমপন্থী নীতিকে সঠিক ও একমাত্র উপায় বলে মত দেন ড. কারযাভী। রাজনৈতিক দিক দিয়ে নিজ দেশ মিসরের ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সাথে তিনি সম্পৃক্ত। সাইয়িদ কুতুবের পর তাকে ইখওয়ানের প্রধান তাত্ত্বিক নেতা মনে করা হয়। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ইসলামী আন্দোলনে একনিষ্ঠভাবে সক্রিয়। একনিষ্ঠতা ও আপোষহীন ভূমিকার কারণে তিনি বাতিলের আক্রোশের টার্গেট হয়েছেন বারবার। ১৯৪৭ সালে কিং ফারুক সরকারের আমলে তিনি প্রথমবার রাজবন্দী হন। ১৯৬১ সালে মাতৃভূমি মিসর ত্যাগ করে কাতার গমনের আগ পর্যন্ত কুখ্যাত জামাল নাছের সরকার তাকে তিন বার কারাবন্দী করে। আরব বসন্তের যে উত্তাল ঢেউ মিসরে আছড়ে পড়ে সে বিপ্লবের প্রধান রূপকারদের একজন ড. কারযাভী। ২০১১ সালে গণবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে তিনি মিসর ফিরে আসেন। ১৮ ফেব্র“য়ারি তাহরির স্কয়ারে ২০ ল মুক্তি পাগল জনতার সমাবেশে জুমার পূর্বণে এক ঐতিহাসিক খুতবা দেন কারযাভী। অতঃপর তার ইমামতিতে জুমার সালাত আদায় করা হয়। মিসর বিপ্লবের সফলতার েেত্র তাঁর এ বক্তব্যের অনেকখানি ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। সামরিক জান্তা আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির সরকার ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অবশ্য পরে বিশ্বজনমতের চাপে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় সিসি সরকার।

ড. কারযাভী শুধুমাত্র মিসর নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত ইসলামী পুনর্জাগরণ আন্দোলনের একজন উপদেষ্টা, পর্যালোচনাকারী এবং তাত্ত্বিক ও আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মিন্দানাও সহ বিভিন্ন দেশের আজাদী আন্দোলনসমূহের জোরালো সমর্থক।

সাহিত্যচর্চা ও গবেষণা

ড. ইউসুফ আল কারযাভী অনন্য সাধারণ লেখনীর গুণে বিভূষিত। অসামান্য পাণ্ডিত্য ও চমৎকার উপস্থাপনা পদ্ধতির কারণে তার সাহিত্য সম্ভার বিশ্বব্যাপী বহুল পঠিত। তিনি যে বিষয়ে কলম চালনা করেন সে বিষয়টির কোন দিক তাঁর আলোচনার বাইরে থাকে না। তাঁর রচনা উচ্চ স্তরের তথ্য ও তত্ত্ব সমৃদ্ধ, কিন্তু তা তথ্যের ভারে রসহীন নয়, বরং অত্যন্ত সাবলীল। তিনি তাঁর মত কারও উপর চাপিয়ে দেন না, কিন্তু এত জোরালো যৌক্তিকতা ও দলিলের সাহায্যে স্বীয় মত প্রতিষ্ঠা করেন যে, তাঁর সাথে দ্বিমতের অবকাশ খুব কমই থাকে। তার গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ১২০টি। প্রধান প্রধান সাহিত্য সৃষ্টিগুলো বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলায় অনূদিত ড. কারযাভীর বইসমূহ হলÑ

ইসলামে হালাল হারামের বিধান ২.ইসলামের যাকাত বিধান (১ম ও ২য় খণ্ড) ৩. ইসলাম ও শিল্পকলা

৪. ইসলামী শরীয়তের বাস্তবায়ন ৫. আধুনিক যুগ : ইসলাম কৌশল ও কর্মসূচী ৬.ইসলামী পুনর্জাগরণ : সমস্যা ও সম্ভাবনা ৭. দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম ৮. জেরুজালেম : বিশ্ব মুসলিম সমস্যা ৯. ফতোয়া ১০. ঈমান ও সুখ ১১. উপো ও উগ্রতার বেড়াজালে ইসলাম ড. কারযাভী শুধুমাত্র গবেষণা প্রবন্ধ লিখেই ক্ষান্ত হননি। তিনি একজন স্বনামধন্য আরবি কবিও। তাঁর অসংখ্য কবিতায় সুরারোপ করে শিল্পীরা গান হিসেবে পরিবেশন করেছে। নিজস্ব কাব্য বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনি কবি মহলে আলোচিত।

পুরস্কার ও মূল্যায়ন

ইসলামের খেদমতে বহুমুখী অবদানের জন্য ইউসুফ আল কারযাভী বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন কর্তৃক ব্যাপক সংবর্ধিত হয়েছেন। আটটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন। তাঁর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-

ইসলামী অর্থনীতিতে মৌলিক অবদানের জন্য- ‘ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (IDB) পুরস্কার’ ১৯৭১ ইং

ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য- ‘বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ ১৯৯৪ ইং

ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশে অনবদ্য অবদানের জন্য ‘সুলতান আল ওয়াইস এওয়ার্ড’ ১৯৯৮-৯৯ ইং

বর্ষসেরা ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে ‘দুবাই আন্তর্জাতিক আল কুরআন এওয়ার্ড’ ২০০২ ইং প্রভৃতি।

কাতার বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে ২০০৯ সাল থেকে চালু করেছে ‘শায়খ ইউসুফ আল কারযাভী স্কলারশিপ। প্রতি বছর মাস্টার্স অধ্যয়নরত ৫ জন সেরা ছাত্রকে এ স্কলারশিপ দেয়া হয়।

ইংল্যান্ড ভিত্তিক Prospect magazine ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক Foreign Policy পত্রিকা কর্তৃক পরিচালিত জরিপে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারকারী শীর্ষ ১০০ স্কলারের মধ্যে ইউসুফ আল কারযাভীর অবস্থান তৃতীয়।

ব্যক্তিগত জীবন

ব্যক্তিগত জীবনে ড. কারযাভী সহজ-সরল, ব্যক্তিত্ববান ও দায়িত্বশীল মানুষ। পারিবারিক জীবনে তিনি একজন আদর্শ স্বামী ও পিতা। তিন পুত্র ও চার কন্যা সন্তানের জনক তিনি। সন্তানদেরকে সুশিক্ষা ও আদর্শবান করে গড়তে অত্যন্ত যতœবান একজন অভিভাবক ড. কারযাভী। তাঁর সন্তানদের মধ্যে তিনজন ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং দুইজন দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিত। তাদের একজন কন্যা ইলহাম কারযাভী আন্তর্জাতিক মানের নিউকিয়ার বিজ্ঞানী  এবং পুত্র আব্দুর রহমান কারযাভী বিখ্যাত কবি ও মিসরীয় রাজনীতিক।

প্রাণবন্ত বয়ষ্ক তরুণ

ড. ইউসুফ আল কারযাভীর বর্তমান বয়স নব্বই পেরিয়েছে। কিন্তু ইসলামী সমাজ-বিনির্মাণের স্বপ্নে তিনি কান্তিহীন, সতেজ ও প্রাণবন্ত তরুণের মতই সচল। জ্ঞানের রাজ্যে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, ত্যাগের েেত্র অগ্রগামী এবং ব্যক্তিত্বের দিক দিয়ে বিরল। এ মহান মনীষী ইসলাম ও মুসলমানদের ভালোবাসায় নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন অদ্যাবধি।

যে ব্যক্তি রাতের বেলায় বিনয়ের সাথে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে (আল্লাহর ইবাদত করে), পরকালের (শাস্তির) ভয় করে এবং তার রবের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, (হে নবী!) আপনি বলে দিন, যারা (আল্লাহ তাআলা কে) জানে আর যারা জানে না, তারা কি এক সমান হতে পারে? (আসলে)  প্রজ্ঞাবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।

(হে নবী!) আপনি বলুন, হে আমার বান্দারা, যারা ঈমান এনেছ! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। (জেনে রাখ)  যারা পৃথিবীতে কোন কল্যাণকর কাজ করবে তাদের জন্য (পরকালে) রয়েছে মহাকল্যাণ। আল্লাহর জমিন অনেক  অনেক প্রশস্ত; উপরন্তু ধৈর্যশীলদের জন্য পরকালে রয়েছে অপরিমিত পুরস্কার।

সূরা জুমার :৯ Ñ ১০

তথ্যসূত্র : ১. ইউসুফ আল কারযাভী, হারুন ইবনে শাহাদাত, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা- ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫। ২. উইকিপিডিয়া : Yusuf al Qardawi, 12/22/2015. ৩.মিসরীয় ক্যাঙ্গারু কোর্টের হাস্যকর বিচার, আমর খলীফা (মিসরীয় সাংবাদিক ও বিশ্লেষক), ডেইলি নিউজ ইজিপ্টে প্রকাশিত নিবন্ধ, উউকিপিডিয়া : Yusuf al Qardawi, 12/22/2015. ৪.আধুনিক যুগ: ইসলাম কৌশল ও কর্মসূচি, ড. ইউসুফ আল কারযাভী, মুহাম্মদ সানাউল্লাহ আখুঞ্জী অনূদিত, বুক মাষ্টার- ঢাকা, চতুর্থ সংস্করণ : আগস্ট ২০১৩ ৫.ইসলামী পুনর্জাগরণ : সমস্যা ও সম্ভাবনা, ড. ইউসুফ আল কারযাভী, মুহাম্মদ সানাউল্লাহ আখুঞ্জী অনূদিত, আহসান পাবলিশেন-ঢাকা, পঞ্চম প্রকাশ : নভেম্বর ২০১১।

লেখক:  শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়