সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদ্রাসা

October 21 2018, 05:33

প্রতিষ্ঠানের নাম :- তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদ্রাসা

প্রতিষ্ঠা কাল :- ২০১৫

প্রতিষ্ঠাতা :- শাইখুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক

প্রতিষ্ঠাকালিন মুহতামিম :- শাইখুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষাসচিব :- মুফতী জাহিদুজ্জামান

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকবৃন্দ :- মুফতী শহীদুল ইসলাম, মুফতী আবুল হুসাইন, মাওলানা শরীফ হুসাইন

প্রতিষ্ঠাকালিন জামাত সংখ্যা, বর্তমান সমাপনী জামাত / দাওরায়ে হাদিস উদ্বোধনীর সন :- আত্ তাখাসসুস ফীল ফিকহিল ইসলামী,আত তাখাসসুস ফীসসিয়াসাহ আল ইসলামিয়া।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে চলমান সময় পর্যন্ত কৃতি শিক্ষার্থীর নাম, তাদের বর্তমান সামাজি অবস্থা :-

অত্র অঞ্চলের মানুষকে নিরক্ষরতা দূরিকরণে মাদরাসার ইতিবাচ ভূমিকা, মানুষের সামাজিক সাংস্ক্রিতিক দৈনতার পরিবর্তনে প্রতিষ্ঠানের অবদান :-

মাদরাসার স্বর্ণজ্জ্বল ইতিহাস :-

মাদরাসার বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে আগামীর পরিকল্পনা :-

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি মানুষকে কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মানবতার শিক্ষক মহানবীর উপর।

সুন্দর সমাজ গড়তে প্রয়োজন সুন্দর একটি সমাজব্যস্থা। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন, মানবসমাজের শান্তি-সফলতা কোন পথে। তাই শান্তি-সুখের সফল সমাজ গঠন করতে তিনিই দিয়েছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলামী সমাজব্যবস্থা। ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য দক্ষ জনবল ও আদর্শ নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। আদর্শ নেতৃত্ব গঠনে ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি চাই যুগসচেতনতা। সমকালীন সমাজ-সভ্যতা ও শিল্প-সংস্কৃতির বিষয়ে থাকা চাই সম্যক জ্ঞান। প্রজন্মের মাঝে ইসলামী চেতনার মশাল জ্বালতে হলে প্রয়োজন তাদের গতি-প্রকৃতির সাথে পরিচিত থাকা। এলমে ওহীকে সময়ের ভাষায় মানুষের সামনে উপস্থাপন করা।
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাদীসবিশারদ শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রাহিমাহুল্লাহ তাঁর জীবন সায়াহ্নে জামিয়াতুল আযীয প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন। শাইখুল হাদীস রাহিমাহুল্লাহর সেই স্বপ্ন পুরনে ও সময়ের ঐতিহাসিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামিয়াতুত তারবিয়াহ আলইসলামিয়ার অধীন তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসা ৷

তারবিয়াহর উদ্দিষ্ট লক্ষ্য
প্রধান দুটি লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে জামিয়াতুত তারবিয়াহ ও তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসা –
এক, যুগ সচেতন আলেমে দ্বীন তৈরি করা।
দক্ষ আলেমের জন্য একদিকে দ্বীনী উলূমের উপর বুৎপত্তি অর্জন করা জরূরী। আবার এলমে দ্বীনের আলোকে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে হলে সময়ের প্রচলিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথেও থাকা চাই সম্যক পরিচয়। এতদুভয়ের সমন্বয়েই সম্ভব কাঙ্ক্ষিত মানের যুগসচেতন আলেমে দ্বীন তৈরি করা।
দুই, সাধারণ শিক্ষার মহলে দ্বীনী চেতনা সৃষ্টি করা।
আধুনিক বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতামূলক সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও তার বাস্তব অনুশীলনের সমন্বয়ের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
লক্ষ্য অর্জনে বহুমুখী পদক্ষেপ
উপরোক্ত লক্ষ্য অর্জনে জামিয়াতুত তারবিয়াহর রয়েছে বহুমুখী পরিকল্পনা-
ক, মক্তব থেকে দাওরায়ে হাদীস ও উচ্চতর ইসলামী শিক্ষার জন্য একটি খালেছ কওমী মাদরাসা পরিচালনা করা।
খ, শিশুশ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার জন্য স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।
গ, নারীসমাজে তারবিয়াহর লক্ষ্য বাস্তবায়নে মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা।

তারবিয়াহর শিক্ষাক্রম:
যুগসচেতন আলেম তৈরির লক্ষ্যে তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসা খালেস কওমী দরসে নেযামী নেসাবের সাথে সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে যে পাঠ্যক্রম পরিকল্পনা করেছে তার লক্ষ্যমাত্রা নিম্নরূপ-
১, প্রি-মক্তব -১ বছর (অপেক্ষাকৃত ছোট শিশুদের জন্য)
কওমী শিক্ষা: আরবী অক্ষরজ্ঞান ৷
সাধারণ শিক্ষা: শিশুশ্রেণীর পাঠদান করা।

২, মক্তব বিভাগ (২ বছর)
১ম বর্ষ
কওমী শিক্ষা: আরবী অক্ষরজ্ঞান থেকে শুরু করে পবিত্র কুরআনের নাযেরা হাতে নেয়া। সেইসাথে ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তব অনুশীলন।
সাধারণ শিক্ষা: জাতীয় শিক্ষাকারিকুলামের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে ১ম শ্রেণীর যাবতীয় পাঠ্যপুস্তক সম্পন্ন করা।
২য় বর্ষ
কওমী শিক্ষা: পবিত্র কুরআনের নাযেরা সাবলীলভাবে খতম করা ও প্রয়োজনীয় ইসলামী শিক্ষার বাস্তব অনুশীলন।
সাধারণ শিক্ষা: ২য় শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক সম্পন্ন করা।

৩, পরীক্ষামূলক হিফজুল কুরআন (১ বছর)
কওমী শিক্ষা: কুরআন পাকের নির্বাচিত অংশ মুখস্ত করানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর হিফজের মেধা যাচাই করা ৷
সাধারণ শিক্ষা: তৃতীয় শ্রেণীর পাঠদান ৷

৪, তাহফীজুল কুরআন বিভাগ (৩ বছর)
মাদরাসা ও সাধারণ শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা-মাদরাসা শিক্ষা: পরীক্ষামূলক স্তরের ১ বছরসহ চারবছরে পূর্ণ কুরআন কারীম মুখস্ত সম্পন্ন করত পরিপক্ক ইয়াদের আয়োজন করা ও কিতাব বিভাগের প্রস্তুতিপর্বের শিক্ষাদান।
সাধারণ শিক্ষা: চারবছরের পরিকল্পিত কারিকুলামে সাধারণ শিক্ষার ৪র্থ শ্রেণীর পাঠদান।

৫, কিতাব বিভাগ প্রস্তুতিপর্ব (১ বছর)
গায়রে হাফেজ শিক্ষার্থীদের জন্য
কওমী শিক্ষা: কিতাব বিভাগের প্রাথমিক উর্দূ কিতাবাদি
সাধারণ শিক্ষা: ৪র্থ শ্রেণীর পাঠদান।

৬, কিতাব বিভাগ (৯ বছর)
পরিকল্পনার আলোকে পর্যায়ক্রমে কওমী মাদরাসাশিক্ষার দাওরায়ে হাদীস ও সাধারণ শিক্ষার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সমন্বয় করা হবে।
পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বর্তমানে শরহেবেকায়া (সানাবিয়া২য় বর্ষ) পর্যন্ত খোলা হয়েছে। শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা-
এবতেদাইয়্যাহ ৫ম বর্ষ:
তাইসীর জামাতের সাথে ৫ম শ্রেণীর সমন্বয়
মুতাওয়াসসিতাহ ১ম বর্ষ:
মীযান জামাতের সাথে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর সমন্বয়
মুতাওয়াসসিতাহ ২য় বর্ষ:
নাহবেমীর জামাতের সাথে ৭ম শ্রেণীর সমন্বয়
মুতাওয়াসসিতাহ ৩য় বর্ষ:
হেদায়াতুন্নাহু জামাতের সাথে ৮ম শ্রেণীর সমন্বয়
সানাবিয়া ১ম বর্ষ:
শরহেজামী জামাতের সাথে ৯ম শ্রেণীর সমন্বয়
সানাবিয়া ২য় বর্ষ:
শরহে বেকায়া জামাতের সাথে ১০ম শ্রেণীর সমন্বয়

৭, বিশেষায়িত ইসলামী শিক্ষা -তাখাসসুস কোর্স:
জামিয়াতুত তারবিয়াহর পরিকল্পনা হল, যুগপৎ দাওরায়ে হাদীস ও সাধারণ শিক্ষায় উচ্চমাধ্যমিক স্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা উচ্চতর গবেষনামূলক বিশেষায়িত ইসলামী শিক্ষাকোর্স তাখাসসুসের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তর সম্পন্ন করবে। ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষার উত্তম ও কার্যকর সমন্বয়ের লক্ষে তারবিয়াহর দৃষ্টিভঙ্গি হলো- ইসলামী ধারার উচ্চ শিক্ষার জন্য সহায়ক বিষয়ের উপর সাধারণ শিক্ষার উচ্চস্তর পড়বে। এতে একজন শিক্ষার্থী ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষার তুলনামূলক জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হবে এবং সময়ের ভাষায় ইসলামের সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে পারবে ইনশাাল্লাহ।
উদাহরণ স্বরূপ, যে শিক্ষার্থী ইসলামী বিষয়ে ফিকাহ পড়বে সে সাধারণ ধারায় আইনশাস্ত্র পড়বে। আবার যে ফিকহুল মুআমালাত পড়বে, সে অর্থনীতি নিয়ে পড়বে। যে ফিকহুসসিয়াসাহ পড়বে সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়বে। এমনিভাবে দা\’ওয়াহ ওয়াল ইরশাদের সাথে সংবাদ মাধ্যম-সাংবাদিকতা নিয়ে পড়বে। আদবের সাথে ভাষাসাহিত্যের অনার্স-মাস্টার্স সমন্বয় করবে।
সুদূর প্রসারী সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে দুটি বিষয়ের উপর তাখাসসুস কোর্স শুরু করা হয়েছে –
১) তাখাসসুস বিভাগ
গবেষণামূলক উচ্চতর ইসলামী শিক্ষার লক্ষ্যে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্নকারীদের জন্য দুটি বিষয়ের উপর তাখাসসুস কোর্স চলছে –
ক) আলফিকহুল ইসলামী (ফিকহ-ইফতা) (ন্যুনতম ২ বছর)
খ) আসসিয়াসাতুশ শরইয়্যাহ- ইসলামী রাষ্ট্রবিজ্ঞান (ন্যুনতম ১ বছর)

তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসার পাঠদান পদ্ধতি:
তারবিয়াতুল উম্মাহ কওমী শিক্ষাকে অধিকতর কার্যকর করার মহান লক্ষ্য সামনে রেখে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিক্ষাকারিকুলামে কিতাব পরিবর্তনের প্রথাগত সংস্কার পদ্ধতির দিকে না গিয়ে পাঠদান পদ্ধতিতে ইতিবাচক প্রভাব আনার চেষ্টা করছে। তালিবুল ইলমদের শুধু দরসি কিতাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিষয়ভিত্তিক পাঠদানের মাধ্যমে ইলমের ময়দানে তাদের বিচরণক্ষেত্র আরো বিস্তৃত ও প্রসারিত করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করছে। প্রতিটি দরসি কিতাবের সাথেই ইযাফী মুতালা বা সম্পূরক অধ্যয়ন হিসেবে তালিবুল ইলমদের নিজেদের পড়ার জন্যে একাধিক কিতাব থাকছে।

তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসার ব্যবস্থাপনা:
রাজধানী ঢাকার পশ্চিম প্রান্তে মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রীজ পার হয়ে ঘাটারচর মদিনা মসজিদ সংলগ্ন কোলাহলমুক্ত নিরিবিলি পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসা।

আবাসন ব্যবস্থা:
নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে নিরাপদ ও উন্নত আবাসন এবং শিশুদের শরীরচর্চা ও খেলাধুলার জন্য মাদরাসা সংলগ্নে খেলার মাঠের ব্যবস্থা রয়েছে। যা শিশুর শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

খাবারের আয়োজন:
তিনবেলা স্বাস্থ্যসম্মত, পুষ্টিকর ও রুচিশীল খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসার শিক্ষকমণ্ডলী:
প্রতিটি বিষয়ে দক্ষ ও পরিশ্রমী শিক্ষকমণ্ডলীর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম। মুসলমানদের সন্তানদের আমানতের যিম্মাদারী সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা ও যত্নের সাথে পরিপালনে বদ্ধপরিকর তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসা।

তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসার পরিচালক:
তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসা পরিচালনা করছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ, ইসলামী শিক্ষাধারার মহান পুরোধাব্যক্তিত্ব শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. এর সুযোগ্য সন্তান বর্তমান প্রজন্মের খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। যিনি একাধারে মাদরাসা ও সাধারণ উভয় শিক্ষাধারায় পারঙ্গম ও দক্ষতার অধিকারী শিক্ষাবিদ। শীর্ষ মাদরাসায় হাদীসের অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতার অনন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদ্রাসা।

মাদরাসাটি যে বোর্ডের অধিনে :- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।

মাদরাসার হিসাব ব্যাবস্থা / ফান্ড:-

বর্তমান মুহতামিম :- শাইখুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক

বর্তমান মুহতামিমের মোবাইল নাম্বার :-

বর্তমান শিক্ষাসচিব :- মাওলানা সফিউল্লাহ

বর্তমান শিক্ষকবৃন্দের তালিকা :-

চলমান মোট ছাত্র সংখ্যা :- ১০৬

চলমান দাওরায়ে হাদিস ছাত্র সংখ্যা :-

চলমান ছাত্রাবাসে অবস্থান রত ছাত্র সংখ্যা :- ৯৫

তথ্য দানকারীর নাম :- মাওলানা জাহিদুল আলম

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৬৩০৯৫৭২৪০

তথ্য দানকারীর ইমেইল :-

Spread the love