সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

আল-জামিয়াতুর রহমানিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্স

November 17 2018, 04:50

প্রতিষ্ঠানের নাম :- আল-জামিয়াতুর রহমানিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্স

প্রতিষ্ঠা কাল :- ১৯৯৪

প্রতিষ্ঠাতা :- মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসরুর ফরিদপুরী রহ.

প্রতিষ্ঠাকালিন মুহতামিম :- মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসরুর ফরিদপুরী রহ.

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষাসচিব :- হাফেজ আবুল বাশার

প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকবৃন্দ :- হাফেজ আবুল বাশার
ক্বারী নাঈমুল হক
হাফেজ নজরুল ইসলাম
মাওলানা নুরুল ইসলাম
মাওলানা শিহাবউদ্দিন

প্রতিষ্ঠাকালিন জামাত সংখ্যা,বর্তমান সমাপনী জামাত / মাদরাসা দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত হলে্ এর উদ্বোধনীর সন :- মক্তব
নূরাণী বিভাগ
হিফজ বিভাগ
কিতাব বিভাগ (জামাতে হেদায়াতুন্নাহু)
কিন্ডারগার্টেন

অত্র অঞ্চলের মানুষকে নিরক্ষরতা দূরিকরণে মাদরাসার ইতিবাচ ভূমিকা, মানুষের সামাজিক সাংস্কৃতিক দৈনতার পরিবর্তনে প্রতিষ্ঠানের অবদান :- এক সময় এই এলাকায় বহু কুসংস্কার ছিলো। যেসব শরিয়তের ঘোর বিরোধী। এদিকে এলাকার অনেক মানুষ দ্বীনি ইলম তো দূরের কথা ঠিক মতো নামাজ কালামও পড়তে পারতো না। তখনকার সময়ে এমন একটি মাদ্রাসার খুব প্রয়োজন ছিলো। ঠিক সে সময়ে এই মাদ্রাসাটা হওয়ার কারণে অনেকেই নামাজ কালাম পড়তে শিখেছে। আগেকার কুসংস্কার দূর হয়ে শরিয়ত মেনে চলছে সবাই। এলাকার প্রায় লোকজন মাদ্রাসা মসজিদমুখী হয়েছে। ছেলে সন্তানকে মাদ্রাসায়ে পড়ার জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছে। এবং এলাকায় বেশকিছু হাফেজ আলেম তৈরি হয়েছে। যারা সবাই কমবেশি এই মাদ্রাসায় পড়ুয়া।

মাদরাসা সম্পর্কে কিছু কথা:- ১৯৯৪ সাল। তখনকার সময়ে মাদ্রাসার পুরা জায়গাটাই ছিলো গহীন জঙ্গল। এখানে দিনের বেলাতেও সচারচর কেউ আসতো না। মাঝে মাঝে দু\’একজন মানুষ আসতো গাছ কেটে লাকড়ি বানানোর উদ্যেশ্যে।
মাদ্রাসার বর্তমান অফিস রুমের জায়গায় একটা রহস্যময় গাছ ছিলো। গাছটা দেখতে অনেকটা অদ্ভুত প্রকৃতির। লোকমুখে শোনা যায় সে গাছটা ছিলো অভিশপ্ত গাছ। ওই গাছের ডালে নাকি এলাকার দুজন লোক ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হলো সেই গাছটা কেউ কাটতে পারতো না। কাটতে গেলেই গাছের শরীরে দা, কুড়াল দিয়ে আঘাত করতেই মানুষের রক্তের মতো রক্ত বেরিয়ে আসতো। এলাকার সবাই যখন সেই জঙ্গলের গাছটা নিয়ে টেনশনে। তখন সেই এলাকার সন্তান মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসরুর স্বপ্নে দেখলেন ঐ জঙ্গলটা আর জঙ্গল নেই। ওখানে অনেক মানুষ দ্বীনের তা\’লিম নিচ্ছেন। এই স্বপ্ন দেখার পরই তিনি ছুটে গেলেন এলাকার গণ্যমান্য মানুষের কাছে। ব্যক্ত করলেন তার স্বপ্নের কথা। দৃঢ় প্রত্যয়ে বাস্তবায়ন করতে চাইলেন সেই স্বপ্ন। তার সাথে তখন এগিয়ে এলেন এলাকার গণ্যমান্য অনেকেই। তারমধ্যে ময়নাল হক মৃধা, শাহজাহান মৃধাসহ অনেক মুরব্বীদের নাম স্মরণ না করলেই নয়। এই ভয়ানক জঙ্গলে মাদ্রাসা হবে শুনে নির্দ্বিধায় সে জঙ্গলের জায়গা মাদ্রাসার জন্য দান করে দিলেন অনেক আল্লাহর বান্দাগণ। পরদিনই জঙ্গল কেটে মাদ্রাসার ঘর তৈরী করা শুরু হয়ে গেলো। তারপর একে একে কেটে ফেলা হলো গাছপালা। সুন্দর করে সাজানো হলো মাদ্রাসার চারিপাশ। আল্লাহর রহমতে সেই ভয়ানক গাছটাও ভয়হীন ভাবেই কাটা হলো। সুনসান পরিবেশে তৈরি হলো মসজিদ। তারপর ছোট ছোট কয়েকটা ঘর্। দিনরাত পরিশ্রম করতে থাকলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মাসরুর ও মাদ্রাসার তৎকালীন শিক্ষা পরিচালক হাফেজ আবুল বাশার সাহেব। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এলাকার বহু ছেলেরা শিক্ষার জন্য ছুটে এলো এই মাদ্রাসায়। আর অনেকেই পেয়ে গেলো সঠিক পথের সন্ধান। কেউ কেউ হয়ে গেলো যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম। আর এলাকার লোকজন পেলো সেই ভয়ানক জঙ্গলে তাদের অন্যতম আস্থা। তারপর ধীরে ধীরে মাদ্রাসার সৌন্দর্যতা দেখে মুগ্ধ হলো অনেকেই। মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলো গুটিকয়েক জনবসতি।
তারপর এলাকার সেই গহীন জঙ্গল পরিণত হলো ইলমের বাগানে। আর সে বাগানের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়লো দিক দিগন্তে।

অবশেষে নিজের স্বপ্নকে পরিপূর্ণ রূপে বাস্তবায়ন করে ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল ইহকাল ত্যাগ করে কবরের বাসিন্দা হয়ে গেলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসরুর ফরিদপুরী রহ.
তিনি চলে গেলেও রেখে গেলেন একটি দ্বীনি ইলমের মারকাজ। যেখান থেকে প্রতি বছর তৈরী হচ্ছে শতশত কোরআনের হাফেজ ও আলেমেদ্বীন।

পরিকল্পনা :- আলহামদুলিল্লাহ সবদিক মিলিয়ে ভালোই চলছে।
বর্তমান ১ তলা ৪টা ঘরে মাদ্রাসার শিক্ষা চলছে। আগামীতে কিতাব বিভাগে আরো কয়েকটি শ্রেণী চালু করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এবং শর্টকোর্স বিভাগ চালু করারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। মাদ্রাসার পুরাতন মসজিদ আরো বড় করে করারও পরিকল্পনা চলছে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই এই কাজগুলো করা হবে।

 বোর্ডের অধিনে :- গওহরডাঙা বোর্ড

বর্তমান মুহতামিম :- মুফতি আবিদ আল আহসান

বর্তমান মুহতামিমের মোবাইল নাম্বার :- +8801711202343

বর্তমান শিক্ষাসচিব :- মাওলানা শিহাবউদ্দিন

বর্তমান শিক্ষকবৃন্দের তালিকা :- মাওলানা শিহাবউদ্দিন
মাওলানা নুরুল ইসলাম
হাফেজ শরীফুল ইসলাম

চলমান মোট ছাত্র সংখ্যা :- ১৫০

চলমান ছাত্রাবাসে অবস্থান রত ছাত্র সংখ্যা :- ১০০

তথ্য দানকারীর নাম :- মুফতি আবিদ আল আহসান

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- +8801711202343

তথ্য দানকারীর ইমেইল :- abidalahsan2@gmail.com

Spread the love