সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

শায়খুল কুররা মাওলানা মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরী’র জীবন-সংগ্রাম

May 21 2020, 06:18

লিখেছেন -মাহফুজ হুসাইন চৌধুরী

তারা দিবসব্যাপী ঘাম ঝড়ান,ইসলামের শেকড় মজবুত করবেন বলে।রাত্রি যাবৎ তপ্ত অশ্রুতে গণ্ডদেশ ভাসান,জায়নামায ভিজান- ইসলাম নামক বৃক্ষের গোড়ায় পানি ঢালবেন বলে। কী নীশিত কী দিবস,সর্বদা তারা এক চিন্তায়ই আত্মহারা- যে কীভাবে ইসলামের বিমল জ্যোতি সমগ্র বিশ্বে ছড়ানো যায়। ইনশাআল্লাহ, তাদের ঝড়ানো ঘাম আর রক্ত, তাদের চক্ষু হতে নির্গত তপ্ত অশ্রুর একেকটি ফোটা মাটিতে মিশে অঙ্কুরিত হয়ে এমন এমন বটবৃক্ষে রূপান্তরিত হবে,যার শীতল ছায়ায় আশ্রয় নিবে দিকভ্রান্ত মুসলিম সমাজ। এমনই এক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, “কুরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ বোর্ড বাংলাদেশ”র প্রতিষ্ঠাতা মহা পরিচালক ও “জামেয়া ইসলামীয়া দারুল কুরআন” মজুমদারপাড়া, ঘাসিটুলা সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল,সিলেট জিন্দাবাজারস্থ “বায়তুল আমান জামে মসজিদের” দীর্ঘ প্রায় ৩৩ বৎসরের ইমাম ও খতিব “শায়খুল কুররা মাওলানা মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরী” হাফিজাহুল্লাহ। তার জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোকপাত করছি-

জন্ম ও বংশঃ ১৯৫৩ ইংরেজী সনে সুনামগঞ্জ জেলাধীন বৃহত্তর বাংলাদেশে অন্যতম শিল্পনগরী ছাতক পৌরসভার গণক্ষাই গ্রামের এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- মরহুম সমুজ মিয়া চৌধুরী। মাতা- মরহুমা সাদিমা বেগম চৌধুরী। শিক্ষাঃ প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিজ ঘরেই স্বীয় মাতাপিতার নীকট সমাপ্ত করেন। স্থানীয় “ছাতক রশীদিয়া মাদ্রাসা” থেকে এবং “কুমনা প্রাথমিক বিদ্যালয়” থেকে জুনিয়র শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর উচ্ছশিক্ষা অর্জনের তাগিদে ১৯৬৭ ইং সনে তৎকালীন সময়ের শ্রেষ্ঠতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান “দারুল হাদীস জামেয়া হুসাইনিয়া আরাবিয়া” (ঢাকা উত্তর, রাণাপিং, গোলাপগঞ্জ) মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হন।

তথায় শাগরিদে আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ. “শায়খুল হাদীস মাও. রিয়াছত আলী” রহ. প্রমুখ যুগশ্রেষ্ঠ উস্তাযবৃন্দের তত্ত্বাবধানে থেকে সরফ,নাহু,হাদীস,তাফসীর,ফিকহ ( পৃথকভাবে বরেণ্য কারীগণের নীকট থেকে ইলমে কিরাতের চর্চা সহ) বিবিধ বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৭৩ ইং সনে “আযাদ দ্বীনি এদারা” কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ফাইনাল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে “দাওরায়ে হাদীস” পাশ করেন। উস্তাযবৃন্দঃ শৈশবে যাঁদের থেকে জ্ঞান অর্জন করেন: কাজী শামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ বদরুল আলম, হাফিজ মোজ্জাম্মিল আলী, মাস্টার আব্দুল বারী রহ.।

জামেয়া হুসাইনিয়া’তে যাঁদের থেকে সরফ-নাহু,হাদীস,তাফসীর,ফিকহ বিষয়ে শিক্ষার্জন করেন, তাঁদের অন্যতমঃ শাগরিদে আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ. “শায়খুল হাদীস মাও. রিয়াছত আলী”, মাওলানা তাহির আলী, মাওলানা জমশেদ আলী,মাওলানা আব্দুর রশীদ টাইটেলী, মাও. আফতাব উদ্দীন, মাওলানা হুসাইন আহমদ বারকুটী, মাওলানা উবায়দুল হক (এম.পি সাহেব হুজুর) রাহ., হাফিজ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাজবীদে কিরাতের উস্তাযবৃন্দঃ “সাত কিরাতের” প্রখ্যাত কারী, দারুল উলূম দেওবন্দের হাফিজ কারী আব্দুর রউফ, কারী মোজ্জাম্মিল আলী, মাওলানা কারী শফিকুর রহমান ঘুগারকুলী, মাওলানা কারী দেওয়ান এখলাসুর রহমান চৌধুরী অন্যতম।

কর্মজীবনঃ ১৯৭৩ ইং সনে “ছাতক রশীদিয়া মাদ্রসা গণক্ষাই” এর শিক্ষাসচিব হিশেবে নিয়োগপ্রাপ্তির মাধ্যমে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের সূত্রপাত হয়। ১৯৭৭ইং সনে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রবল অনুরোধে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই “মুহতামিম” হিশেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩-৭৭, “শিক্ষাসচিব” এবং ১৯৭৭-৮০ পর্যন্ত রশীদিয়া মাদ্রাসার “মুহতামিমের” গুরুদায়িত্ব অত্যাধিক সুনাম-সুখ্যাতির সাথে পরিচালনা করেন। এরপর কিছু সংখ্যক বিশেষ ব্যক্তিবর্গের কল্যাণজনক পরামর্শে ১৯৮১-৮৩ সনের মধ্যভাগ পর্যন্ত “দোয়ারা” থানার অন্তর্গত “দাইমুল্লাহ মদিনাতুল উলূম” কান্দাগাঁও মাদ্রাসার শিক্ষাসচিবের দায়ীত্ব নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করেন। ১৯৮৩ ইং’র মধ্যভাগ হতে ২০১৫ ইং পর্যন্ত প্রায় তিন যোগ যাবৎ পূণ্যভূমি সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থল- জিন্দাবাজারস্থ “বায়তুল আমান” জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিবের মহান দায়ীত্ব নেহায়েত নিষ্ঠা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে চালিয়ে যান।

ঐতিহ্যবাহী কিরাত বোর্ড “কুরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ বোর্ড বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠা ও কুরআনের মহান খাদিম একজন শায়খুল কুররাঃ সকল আসমানী গ্রন্থসমূহের সন্নিবেশ- মহাগ্রন্থ আল কুরআন। যার মধ্যে রয়েছে মানব জাতীর সকল সমস্যার সমাধান। এই পবিত্র গ্রন্থই হল মুসলমান জাতীর উন্নতি-অগ্রগতি ও অস্তিত্ব রক্ষার সর্বপ্রধান অবলম্বন। আর এই পবিত্র গ্রন্থেই মহান রাব্বুল আলামীন মানব জাতীর প্রতি নির্দেশ করেন যে,তোমরা এঁকে সহীহ-শুদ্বরূপে এবং “তারতীলের” সহিত তিলাওয়াত করো। কুরআন শরীফ বিশুদ্বরূপে তিলাওয়াত করা “ফরয”।

তাই বিশুদ্ব কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষার প্রতি শায়খুল কুররা দা.বা.’র বিশেষ একটি আগ্রহ ছোটকাল থেকেই ছিল।বলা যায় এটাকে তিনি তাঁর জীবনের একটা অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্যে রূপান্তরিত করে নিয়েছেন। এতদুদ্দেশে ১৯৮৬ সালে সিলেটের গন্যমান্য উলামা-কারী সাহেবানদের নিয়ে স্বীয় কর্মস্থল জিন্দাবাজার ‘বায়তুল আমান জামে মসজিদে’ “মাদ্রাসায়ে তাজবীদুল কুরআন” নামে নৈশ- কালীন একটি বিশুদ্ব কুরআন প্রশিক্ষণের কোর্স চালু করেন। এর সাথে সাথেই বৃহত্তর সিলেট শহরের প্রায় সর্বত্রই কুরআনী শিক্ষার এই পয়গাম পৌছে যায়। এতে সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহনে অবিস্মরণীয় এক জাগরণ লক্ষ করা যায়। আর তা’ই হলো আজকের সুবিশাল আঙ্গিকের “কুরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ বোর্ড বাংলাদেশ”। অতঃপরঃ “তাজবীদের” পূর্ণাঙ্গ সবক প্রদানের লক্ষে বছরে ‘একমাস করে’ “৬ বছর মেয়াদী” একটি সিলেবাস প্রণয়ন করে- ১৯৮৭ সালে উপরোক্তিত কোর্সের নতুন ধারা চালু করেন।এতেও কুরআন শিক্ষার প্রতি আগ্রহী সর্বস্তরের মুসলিম ভাইদের ব্যাপক সাড়া পড়ে। মাদ্রাসা,স্কুল-কলেজ,ভার্সিটি সহ পেশাজীবি, শ্রমজীবি-চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ী ভইদের মুহুর্মুহু কোলাহলে জমে উঠে শায়খুল কুররা দা.বা.’র কুরআনী মিশন।

এরপর বিশুদ্ব কুরআন শিক্ষার এই প্রচারণাকে বিস্তৃত ও দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল সমূহের কুরআন দরদী ভাইদের অঃশেষ অনুরোধে ১৯৮৯ সালে “শায়খুল কুররা মাওলানা মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরী” প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, “কারী মাওলানা আব্দুল মতিন” আছিরগঞ্জী প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, এবং আরো সাতজন বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটি করে প্রতিষ্ঠা হয় আজকের “কুরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ বোর্ড বাংলাদেশ”।

এই পর্যন্ত দেশের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এ প্রতিষ্ঠানের খাতিরে বিশুদ্ব কুরআন শিক্ষার মতন মহা সৌভাগ্য অর্জনে ধন্য হয়েছেন।এই বোর্ডের ফারিগদের দ্বারাও সিলেট সহ বহির্বিশ্বে চলছে কুরআনী শিক্ষার অকল্পনী জাগরণ-খেদমত।বিশুদ্ব কুরআন তিলাওয়াতের প্রচার-প্রসারে অতুলনীয় অবদানে তিনি ও তাঁর বোর্ড বাংলাদেশের ইসলামী ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাঃ কওমী মাদ্রাসা সমূহকে বলা হয় “দ্বীন রক্ষার দূর্গ বা ক্যান্টনমেন্ট”। উপমহাদেশের কওমী মাদ্রাসার সূচনা হয় “দারুল উলূম দেওবন্দ”থেকে। ইসলাম ও মুসলমানদের এক সঙ্কটাপন্ন সময়ে ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষার সুতীব্র তাগিদে দেওবন্দ বা কওমী মাদ্রাসার সূচনা হয়।

এরপর থেকে এই ধারা ছড়িয়ে সমগ্র উপমহাদেশে।ইসলাম রক্ষা করতে হলে, রক্ষা করতে হবে ইসলামী ভাবধারা। জাগ্রত করতে হবে নববী শিক্ষার স্রোতধারা। তবেই মুসলমানরা ইসলামকে জানবে ও আকড়ে ধরবে। এই মনষ্কতা থেকেই শায়খুল কুররা দ্বীনের খাতিরে অতি ক্লেশ-কষ্ট সহ্যকরে মাদ্রাসার জন্য সিলেট শহরে একখন্ড জমি খুঁজতে থাকেন। উদ্দেশ্যটা যেহেতু ছিল আল্লাহর জন্য, তাই তিনিই জমি’র ব্যবস্থা করে দিলেন। ডহর-কলাপাড়া নিবাসী, সাবেক সফল কাউন্সিলর- এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরী,বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব- সোয়েল আমদ চৌধুরী, এবং নাজমা খানম’রা নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডস্থ মজুমদারপাড়ায় সুরমা নদীর পারে “মাদ্রাসা”র জন্য একখন্ড জমি দান করেন।

জমিটি ছিল নিতান্ত অসমতল এবং গভীর।সীমাহীন কষ্ট-পরিশ্রম করে,ঘাসিটুলা নিবাসী- বিশিষ্ট মুরুব্বী আলহাজ্ব মখলিছুর রহমান,জল্লারপাড় নিবাসী- বরেণ্য দানবীর আলহাজ্ব বাবর বক্স,প্রবীণ রাজনীতিবীদ- জাফর আহমদ চৌধুরী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী- রফিকুল ইসলাম প্রমুখ আল্লাহর মুশফিক বান্দাদেরকে নিয়ে জায়গাটিকে ভরাট করার ব্যবস্থা করেন। জায়গা ভরাটের অসাধ্য কাহীনি যখন তাঁর বড় পুত্র মাওলানা মুজাক্কির হুসাইন চৌধুরী এবং বড় জামাতা মাওলানা মঞ্জুরুর রহমান চৌধুরী’র (তারা উভয়েও তখন জায়গা ভরাটের কাজে হযরতের সঙ্গে অসামান্য খাটনি খেটেছেন- জাযাহুমাল্লাহু খাইর) কাছথেকে শুনি, আমি তখন স্তম্ভিত হয়ে যাই এই ভেবে যে,একজন মানুষও পারেন এই সব।

এর সবকিছুই মহান আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহ। তো ইতিমধ্যে- হযরতের শেষরাত্রির চোখের পানি আর রোনাজারিতে জায়গা ভরাট হয়ে স্থানটা মাদ্রাসা স্থাপনের জন্য মোটামোটি উপযোগী হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় বৃহত্তর সিলেটের গণ্যমান্য আলেম উলামা ও দ্বীনদার ব্যক্তিবর্গ সহ এলাকার মুরুব্বীদের নিয়ে মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মাদ্রাসার নাম দেওয়া হয় “জামেয়া ইসলামীয়া দারুল কুরআন”।

আলহামদুলিল্লাহ, যে লক্ষ অর্থাৎ দ্বীনি ইলমের প্রচার প্রসার ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সুমহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তাঁর মাদ্রাসা যাত্রা করে,সেই লক্ষের উপর পূর্ণ ইস্তিকামত থেকে নিত্যদিনই উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি। রাতদিন ছাত্ররা দ্বীনি শিক্ষা অর্জনের তাগিদে মেহনত করে যাচ্ছে। কুরআনের সুমিষ্ট আওয়াজে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন পুরো এলাকাটি’ই যেন মোহিত হয়ে থাকে। (দ্বীন দরদী সকল ভাইবোনদের প্রতি উক্ত প্রতিষ্ঠানের দিকে সদয় দৃষ্টি ও সহযোগীতার হাত প্রসারিত করার বীনিত অনুরোধ রইল ~লেখক) মসজিদ প্রতিষ্ঠাঃ ২০০৫ইং সনে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দ সহ আশপাশের লোকজনের নির্বিঘ্নে ইবাদত করার সুবিদার্থে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের ভিতরেই প্রতিষ্ঠা করেন একটি জামে মসজিদ। মসজিদটির নাম দেওয়া হয় “ফয়জুল হক জামে মসজিদ”(তিনি ভূমি দাতাগণের পূর্বপুরুষ- যার নামে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে)। (বর্তমানে নদীভাঙ্গনের কবলে পড়লে মসজিদটির নবনির্মানের প্রয়োজন পড়ে।

এমতাবস্থায় মসজিদটির পুরনো ভবন ভাঙ্গা হলে ফাইলিং এবং অন্যান্য যাবতীয় নির্মান খরচের জন্য বহু অর্থের প্রয়োজন পড়ে। পরিচালনা কমিটির তহবিলে প্রয়োজনমাফিক অর্থ নেই। তাই আমার বীনিত অনুরোধ রইল যে, আপনারা যারা সামর্থবান মুসলমান আছেন- আল্লাহর এই ঘরটির নবনির্মানের তরে মুক্তহস্তে সহযোগীতা করেন। এর বিনিময় ঘরের মালিক আল্লাহ তা’আলা অতি আড়ম্বরতার সহিতই দান করবেন, ইনশাআল্লাহ, ~লেখক)। “দারুস সামাদ মহিলা মাদ্রাসা ছাতক”- প্রতিষ্ঠা ও শায়খুল কুররাঃ শিল্পনগরী ছাতক শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আব্দুস সামাদ সাহেব ছাতক শহরে তার নিজস্ব জায়গায় একটি মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার আগ্রহ- শায়খুল কুররা দা.বা. সহ অন্যান্য উলামাগণের নীকট প্রকাশ করেন।তার সার্বিক ব্যবস্থাপনা গ্রহনের মাধ্যমে উলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিতিতে শায়খুল কুররা দা.বা. উক্ত-কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এমতাবস্থায় মাদ্রাসার “শুরা কমিটির” প্রধান উপদেষ্টা হিশেবে হযরতকেই মানোনীত করা হয়।

উপদেষ্টা প্রধান হিশেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম সহ অন্যান্য বিষয়-আশয়ে তাঁর অবদানই সর্বপ্রধান ছিল। (বর্তমানে মাদ্রাসাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে)। প্রায় স্থায়ীরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর “রশীদিয়া মাদ্রাসার” স্বাভাবিক অবস্থা ফিরানো ও একজন শায়খুল কুররাঃ ছাতক রশীদিয়া মাদ্রাসা গণক্ষাই একটি সুপ্রাচীন ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ষাট বছরেরও অধিক কাল যাবৎ “কালের সাক্ষী” হয়ে দাড়ানো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কর্মসূচি ৮০’র দশকে আচমকা কোন এক কারণে বন্ধ হয়ে যায়।তালাবদ্ব হয়ে পড়ে দ্বীনি দরসগাহর জান্নাতী কপাটসমূহ। এর কুপ্রভাব এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থিগণ সহ সর্বসাধারণের উপর ‘বেজায়’ পড়ে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি শায়খুল কুররা দা.বা.’র নিজ মহল্লার,এবং তিনি এই প্রতিষ্ঠানেরই সাবেক ছাত্র ও দীর্ঘ ৮ বছরের সফল “শিক্ষাসচিব” এবং “মুহতামিম” ছিলেন।

অসামান্য ত্যাগ-তিতীক্ষা প্রদানের স্মৃতিধন্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটির এমন করুন পরিণতি তাঁকে ব্যথাতুর করে তুলে।কুরআনের আওয়াজকে পুনরায় চালু করার জন্য দিনরাত এক করে উপায় খুঁজতে থাকেন। এমতাবস্থায় শায়খুল কুররা দা.বা. দ্বীনের একজন যোগ্য-দরদী কান্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। অন্যান্য গণ্যমান্য মরুব্বী(যাদের সকলের নামোল্লেখ করা সংক্ষিপ্ততার অন্তরায়- এজন্য বিরত থাকছি)গণের সাথে শায়খুল কুররা’র ভূমিকা ছিল প্রশ্নাতীত- অগ্রগণ্য।

আলহামদুলিল্লাহ, আজ পর্যন্ত যার ধারাবাহিকতা অটুট রয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য অগণিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- বিশেষতঃবৃহত্তর ছাতক,সিলেট শহর – শহরতলী, জৈন্তিয়া-হরিপুর,এবং গোলাপগঞ্জেরও বহু দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রেখে ইসলামের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

ইসলামী আন্দোলন সমূহে অবদান; ধর্মীয়,সামাাজিক,ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহে নেতৃত্বদান এবং রাজপথে একজন শায়খুল কুররাঃ- জালালাবাদ ইমাম সমিতিঃ ১৯৮৩ ইং’তে ‘মসজিদ ভিত্তিক দ্বীনি কার্জক্রম পরিচালনা ও সমাজসেবা করার লক্ষে “ইমাম সাহেবানগণের” সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় সিলেটে গঠিত হয় “জালালাবাদ ইমাম সমিতি” নামক একটি দ্বীনি-সামাজিক সংগঠন। শায়খুল কুররা দা.বা. প্রথমে উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সম্পাদক,পরবর্তিতে যুগ্ম সচিব, এবং এর পরে খ্যাতনামা এই সংগঠনের “জেনারেল সেক্রেটারি” পদেও অধিষ্টিত হন। ৮০’র দশকে কুখ্যাত সালমান রুশদী, ড. হামিদ, আহমদ শরীফ এবং কবীর চৌধুরীরা একযুগে পবিত্র কুরআন শরীফ ও মহানবী সা. কে জঘন্য ভাষায় কুটুক্তি করলে জালালাবাদ ইমাম সমিতির ব্যানারে ইমাম সমাজ সহ মুসলিম জনসাধারণে পক্ষ থেকে তীব্র আন্দোলন পরিচালিত হয়, ভারতের অযোধ্যায় “বাবরী মসজিদ” শহীদ করা হলেও সমাজের ইমাম তথা নেতাগণের আস্থানির্ভর এই সংগঠনটি তাওহীদি জনতাকে নিয়ে রাজপথে নেমে আসে, ৯০ দশকে নাস্তিক-মুরতাদদের অপোথ্থান ঘটলেও উক্ত সংগঠনটি ইসলামী সমাজের পক্ষ থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে- সরকারের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তাঁরা ফজরের নামায রাজপথেই আদায় করেন; এই সমস্ত আন্দোলন সমূহে ‘ইমাম সমিতির’ একজন অন্যতম যোগ্য নেতৃত্ব হিশেবে “শায়খুল কুররা” দা.বা.’র অসম অবদান পূন্যভূমির ইতিহাসে জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠে।

মুজাহিদে মিল্লাত, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান রহ.’র নেতৃত্বে “সাহাবা সৈনিক পরিষদ” গঠন ও শায়খুল কুররা মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরীঃ ৯০ দশকে নাস্তিক জননী তাসলিমা সহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা মিলে লাগামহীনভাবে ইসলামের অমোঘ বিধান সমূহ নিয়ে কুটুক্তি ও অপমন্তব্য-অপব্যাখ্যা করতে শুরু করলে যামানার মুজাহিদ প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান রহ. সিলেট থেকেই সূচনা করেন ঐতিহাসিক “নাস্তিক-মুরতাদ বিরুধি আন্দোলন”(সমগ্র বাংলাদেশে নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্বে সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র আন্দোলন হযরত প্রিন্সিপাল রহ.’র নেতৃত্বেই শুরু হয়)। আন্দোলন পরিচালনার সুবিধার্থে উলামা-জনতাকে নিয়ে গঠন করেন “সাহাবা সৈনিক পরিষদ”। উক্ত পরিষদের অন্যতম একজন সিনিয়র দায়িত্বশীল ছিলেন- শায়খুল কুররা দা.বা.। তিনি ইমাম সমাজের পক্ষ থেকে এই পরিষদ গঠন ও আন্দোলন পরিচালনাতে নেহায়েত বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ইসলামী ঐক্য পরিষদ গঠন ও শায়খুল কুররাঃ এতদসময়ে সিলেটের নেতৃস্থানীয় আলেমগণ ঐক্যের ভিত মজবুত করা ও ধর্মীয় স্বার্থ রক্ষার তাগিদে “ইসলামী ঐক্য পরিষদ” গঠনের উদ্যোগ গহণ করেন। আব্দুল লতীফ চৌধুরী ফুলতলী ও আব্দুল করীম শায়খে কৌড়িয়া রহ. ছিলেন এই উদ্যোগের প্রধানতম দিকপাল।

এতদুদ্দেশে “ইয়াকুবিয়া মাদ্রাসায়” ইসলামী দল সমূহ বৈঠকে বসলে “শায়খুর কুররা” দা.বা. তাঁর বক্তব্যে ইসলামী দল সমূহের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা ও এর বাস্তবায়নের উপর সবিশেষ জোর আরুপ করেন।এর বাইরেও নিজস্ব অবস্থান থেকে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যান।অবশেষে সর্বমহলের অংশগ্রহনে বহুল আকাঙ্খিত “ইসলামী ঐক্যের” ভিত্তি জোরদার হয়। ইসলাম ও সমাজ বিরুধি কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি গঠনঃ ৯০ দশকের সূচনা লগ্নে সিলেটে যুব সমাজের মাঝে চরম নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিলে আলেমগণ এর প্রতিকারে “ইসলাম ও সমাজ বিরুধি কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি” গঠন করেন। মাওলানা আব্দুল করীম শায়খে কৌড়িয়া রহ.’কে প্রধান উপদেষ্টা ও আল্লামা আব্দুল্লাহ হরিপুরি রহ.’কে সভাপতি, “শায়খুল কুররা মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরী” দা.বা.কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি গঠন করে কর্মতৎপরতা চালালে- প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এর সুফল পৌছে যায়।

বাটা কোম্পানির ঔদ্বত্যতা ও জনতার অগ্নি সংযোগ,এবং একজন শায়খুল কুররাঃ ১৯৮৬ সালে বাটা কোম্পানি থেকে মহিলাদের জন্য তৈরিকৃত “আল্লাহ শব্দ” লেখা স্যান্ডেল সমূহ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরলে “তৌহীদি জনতা পরিষদ”(সভাপতিঃশায়খুল কুররা- মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরী,সেক্রেটারিঃআব্দুর রহমান মোবারকপুরী,দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক যথাক্রমে- আলহাজ্ব বাবর বক্স ও এডভোকেট মর্তোজা সাহেব) এর সভাপতি শায়খুল কুররা মাও. মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরী দা.বা.’র নেতৃত্বে এ সময় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে এক বিরাট প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সময়ই উক্ত প্রতিবাদ সভা থেকে ক্ষুব্দ জনতার একটি অংশ মিছিল সহকারে সিলেটস্থ বাটা কোম্পানিতে অগ্নি সংযোগ করে দেয়।

সিলেটের ন্যয় সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পরলে- পরদিনই সরকারের নির্দেশানুযায়ী উক্ত স্যান্ডেলগুলাকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। মকসুদ বক্স স্মৃতি পরিষদ গঠনঃ ১৯৯২ সালে সলেট জল্লার পাড় নিবাসী মরহুম মকসুদ বক্স সাহেবের নামানুসারে- ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশের মানসে “মকসুদ বক্স স্মৃতি পরিষদ” নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠন করেন। তিনি সভাপতি এবং আলহাজ্ব বাবর বক্স সাহেব এর সেক্রেটারি মনোনীত হন। তৎকালীন সময় থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত উক্ত সংগঠনটি ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মুজাহিদ কমিটি গঠন ও শায়খুল কুররা’র কাছে নেতৃত্ব অর্পণঃ মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ.’র সিলসিলার বরেন্য পীর, মাওলানা ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমুনাই রহ.’র নির্দেশে ১৯৯৩ সালে সিলেটে “মুজাহিদ কমিটি”র সুশৃঙ্খল কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৩-৯৬ পর্যন্ত সিলেট জেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতির দায়ীত্ব দক্ষতার সাথে চালিয়ে যান। নামধারী আহলে হাদীসদের অপতৎপরতা রোধে বজ্রকঠোর শায়খুল কুররাঃ নামধারী আহলে হাদীসদের অপোৎপত্তি ও ফিৎনা সম্বন্ধে প্রায় সকলেরই অবগতি আছে। সিলেটে যখন আলেমরুপী এই শয়তানরা মানুষের বিশ্বাসে ধোকা দিচ্ছিল ঠীক তখনই “উলামা পরিষদ” নামক সংগঠনটি উম্মাহর কান্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। তারা সর্বস্তরের মুসলামনদেরকে কীভাবে এই ফিৎনা থেকে বাঁচানো যায়, সে ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

উক্ত সংগঠনের সুনামগঞ্জ ও সিলেট সহ- সমগ্র বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে “শায়খুল কুররা” দা.বা. অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ফিকহী সেমিনার সহ অপরাপর পদ্বতি সমূহের মাধ্যমে এই ফিৎনা থেকে মানুষজনকে সতর্ক করতে বদ্ব পরিকর হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর বাইরেও ব্যক্তিগতভাবেও তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে এদের লাগাম টেনে ধরেছেন। তাছাড়া আরোও বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন সমূহের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রেখে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে অবদান রেখে চলেছেন(যেগুলার নাম-উল্লেখ করছিনা,বক্ষমান স্মৃতিরক্ষণ নিবন্ধের বিস্তৃতি হয়ে যাওয়ার ভয়ে)। তাযকিয়ার সবক গ্রহণঃ ১৯৭৭ ইং সনে ফেদায়ে মিল্লাত সায়্যিদ “আসআদ মাদানী” রহ.’র হাতে “শায়খুল কুররা” দা.বা. বাইয়াত হন।এবং অন্তর পরিশুদ্বতার পথে তাঁর দেয়া সবকগুলার পূর্ণ অনুকরণে পথ চলেন।

পরবর্তিতে মরহুম “ফজলুল করীম” সাহেবের সাথে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। বহির্বিশ্বে ভ্রমনঃ মুক্তি ও সফলতার মহান ধর্ম ইসলামের খেদমত করার মানসে মহান এই দাঈ ভারত,সৌদী, এবং ইংল্যান্ডেও সফর করেন। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সহজ-সরল,স্পষ্টভাষী, পরোপকারী,পরিশ্রমী ও আত্মপ্রচার বিমুখ এই মনীষা-আলেমে দ্বীন নিজের পুরো জীবনটাই কাটিয়ে দিয়েছেন- কুরআনের খেদমতে,দ্বীনে ইসলামের খেদমতে।যা করেছেন-গড়েছেন,তার সবই স্বীয় প্রতিষ্ঠিত দ্বীনি প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের জন্য।

নিজের বিনিময়টুকু সর্বেসর্বা অবিনশ্বর মহান আল্লাহর “দরবারে এলাহীর” দিকে ন্যস্ত করে দিয়েছেন।আমরা সকলেই দু’আ করি,যেন আল্লাহ পাক ইসলামের তরে করা তাঁর খেদমতটুকু কবুল করতঃ সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করেন। আজ আমাদের অভিভাবকগণ একে একে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের জীবদ্দশায় আমরা তাঁদেরকে চিনিনি, চলে গিয়েছেন- তখন আমরা কেঁদেছি, এভাবে আর কতদিন মাথার ছায়াদেরকে না চিনে থাকবো! তাই আসুন! আকাবীর-আসলাফগণের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি দ্বীনের মহান খাদিম এইসমস্ত বুযুর্গগণের সঠিক মূল্যায়ন ও যথাযথ অনুকরণ করার চেষ্টা করি। আল্লাহ যেন আমাদের উপর তাঁদের শীতল ছায়াকে আরোও দীর্ঘ এবং শান্তিময় করেন।

 

Spread the love