সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

মাও. ছিদ্দিকুর রহমান সাহেব রাহ.

December 13 2018, 03:41

নাম :- মাও. ছিদ্দিকুর রহমান সাহেব রাহ.

জন্ম তারিখ :- ১৯৫৪ ঈসায়ী

শৈশব কাল :- গ্রামীন বাঙালী আর দশটা শিশুর মতই কেটেছে তাঁর শৈশব। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি হলেন তৃতীয়।

কর্ম জীবন :- শিক্ষা জীবন শেষ করে বাড়ি ফেরার আগেই নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি আলিয়া মাদরাসায় তৎকালীন প্রিন্সিপাল মাও. তোফায়েল আহমদ সাহেব বাড়ি গিয়ে তার বাবার কাছে বলে আসেন যেন মাও. ছিদ্দিকুর রহমান সহেব সোনাইমুড়ি আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
এদিকে মাও. সাহেব বাড়ি এসে শৈশবের শিক্ষক, বিশিষ্ট বুযুর্গ পার্শ্ববর্তী গ্রাম উলুপাড়ার হুজুর মাও. আব্দুল ওয়াদুদ সাহেবের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে হুজুরকে না জানিয়ে কারো সাথে কথা দিতে নিষেদ করে দেন।
উলুপাড়ার হুজুর তখন নাথেরপেটুয়া মাদরাসার শিক্ষক। পরে তাঁর প্রস্তাব ও পিতার নির্দেশে নাথেরপেটুয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দানের মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করেন। এসময় মাদরাসায় প্রিন্সিপাল থেকেও পাঁচ টাকা বেশি সম্মানি ধার্য করা হয়।
১৯৭১ সালে যুদ্ধের কারণে মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে যুদ্ধ শেষ হলে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার অন্তর্গত বাহেরবালি মাদরাসায় চলে যান। পরে খতীবে আজম আল্লামা ছিদ্দীক আহমদ রহ. এর নির্দেশে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার খেড়িহর মাদরাসায় চলে যান। সেখানে দীর্ঘ দিন শিক্ষকতার পাশাপাশি নাজেমে তালীমাতেরর দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে মুফতী আবুল হাসান আবদুল্লাহ সাহেব, মুফতী আবদুল মালেক সাহেব ও মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন সাহেবসহ বর্তমানে দেশের শীর্ষ বহু আলেম তার শিষ্যত্ব লাভ করেন।
১৯৮১ সালে নিজ গ্রাম কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কাটুনীপাড়ায় \”কাটুনীপাড়া দারুল উলূম মাদরাসা\” নামে দীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। আমৃত্যু এ মাদরাসার খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।

অবদান :- মাও. ছিদ্দিকুর রহমান রহ. এর জীবন ছিল কর্মমুখর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনদরদী। শিরক বেদআতের বিরুদ্ধে তাঁর ইস্পাত কঠিন ভূমিকার ফলে পুরো এলাকা বেদআত এখন আলহামদুলিল্লাহ সম্পূর্ণ বেদআতমুক্ত। পার্শ্ববর্তী গজারিয়া গ্রামে একটি মাজার ছিল। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাজারটি ভেঙ্গে দিতে সমর্থ হন।
এ ছাড়া তিনি লেখালেখিও করতেন। তাঁর লেখার বিষয় ছিল শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা সহজ করণ। এ বিষয়ে তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড তাঁর রচিত \’কুআন ও তাজবীদ শিক্ষা\’ ৪র্থ ও ৬ষ্ঠ শ্রেণি বই দু\’টি দীর্ঘ দিন তাদের সিলেবাসভুক্ত রেখেছিল।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তাঁর সবগুলো ছেলে মেয়েকে দীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তাঁর নাতি নাতনিদের মধ্যে দশ জনের বেশি হাফেজে কুরআন রয়েছে।

মৃত্যু তারিখ :- ২২ অক্টোবর ২০১৭ মাও. ছিদ্দিকুর রহমান সাহেব (কাটুীপাড়ার হুজুর) হাজার হাজার শিষ্য-ভক্ত ও পরিবারকে শোক সগরে ভাসিয়ে সফরে আখেরাতে রওয়ানা হয়ে যান

মোবাইল :-

তথ্য দানকারীর নাম :- আবদুল আলীম

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৭১৬ ৫৫৬২৫৩

Spread the love