সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

মাওলানা শেখ মোঃ ইউনুছ আলী (শায়খে রায়গড়ী রাহ.)

August 23 2021, 03:13

নাম :- শেখ মোঃ ইউনুছ আলী (শায়খে রায়গড়ী রাহ.)

জন্ম / জন্মস্থান :- সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানার ঐতিহ্যবাহী ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত দ্বীনদার মুসলিম পরিবারে ১৪ই রমজান ১৩৪৯ হিজরী মোতাবেক ২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৩১ ঈসায়ী সোমবার সুবেহ সাদিকের সময় ভুমিষ্ট লাভ করেন।তাঁর পিতার নাম শেখ হুসিয়ার আলী মাতার নাম হাবিবা খাতুন ওরফে কুটুরি বিবি, পিতা—মাতা উভয় ছিলেন খুব ধার্মিক ও পরহেজগার। তাঁর পূর্বপুরুষেরা আফগানিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর জন্মের পর পরই তাঁর মমতাময়ী জননী ইন্তেকাল করেন।

শৈশব কাল :- মা—হারা সন্তান পিতৃ স্নেহ ও বড় ভাই—বোনদের আদরেই লালিত পালিত হচ্ছিলেন। পরবর্তীতে সত—মা ঘরে আসলে তিনিও ছোট ছেলেটিকে নিজের উরসজাত সন্তানের মত খুবই স্নেহ—মমতা করতেন। প্রায়ই বাবার সঙ্গে থাকতেন,ছোট বেলা থেকেই তাঁর মসজিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। নিয়মিত মক্তবে যাওয়া সহ কখনো বাবার সাথে আবার কখনো বড় ভাইদের সাথে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে শরিক হতেন। ছোটবেলায় তিনি খুবই চঞ্চল প্রকৃতির বালক ছিলেন। তবে খেলা—দুলায় তাঁর তেমন আগ্রহ ছিল না।তাঁর মামাত ভাইয়ের ছেলে মো.তাজিম উদ্দীন যিনি হযরতের সমবয়সী অথবা একটু বড় হবেন।তিনি বলেন শৈশবে যখন শেখ সাহেব নানা বাড়ী আসতেন অর্থাৎ আমাদের বাড়ী আসতেন, তখন তিনি আমাদের সাথে খেলায় যেতেন কিন্তু দেখতাম খেলায় তাঁর কোন মনযোগ নেই বরং প্রায় সময় খেলার মধ্যেই আনমনা হয়ে আসমানের দিকে থাকিয়ে অথবা গাছ—গাছালি, ঠিলার দিকে নযর দিয়ে কী যেন রহস্য খোজতে থাকতেন। আবার কখনো আমাদের বাড়ীর বড় বড় মহিষ নিয়ে খেলা করতেন এবং তাদের গা চড়ে বসতেন। মহিষগুলোও কোন দিন তাঁর কোন ক্ষতি করে নি। তাঁর সেজো ভাই মরহুম শেখ ইউসুফ আলী সাহেবের কাছ থেকে শুনা কথা, তিনি বলেন— শেখ সাহেব বাল্যকাল থেকেই এক কথার লোক ছিলেন।আঝে—বাঝে কথা বলার অভ্যাস কখনো ছিলোনা। কম কথা বলতেন এবং যা বলতেন একদম হিসাব করে বলতেন। মাঝে মধ্যে আমাদের ফযরের সময় উঠতে দেরী হলেও তিনি শৈশবেই আমাদের পূর্বে ঘুম থেকে উঠে মসজিদে যাওয়ার প্রস্থুতি নিতেন। তিনি আরো বলেন আমাদের মা—হারা ছোট ভাইটির ব্যাপারে না শৈশবে,না বাল্যকালে, কোন কালেই কোন প্রকারের অভিযোগ শুনতে হয়নি। না!পরিবারের কেউ অভিযোগ শুনার সুযোগও পাবে না;কারণ আসল কথা হল— আল্লাহ তা’আলা যাকে ওলী বানানোর ইচ্ছা করেন,তাঁকে মূলত শৈশব থেকেই পবিত্র করে গড়ে তুলেন। তাই ছোট থেকেই তাঁদের ব্যাপারে মানব সমাজে কোনরূপ অভিযোগ উত্থাপন কিংবা গ্রহণ করার সুযোগ রাখেন নি।

শিক্ষা জীবন :- প্রথমে স্থানীয় মক্তবে ইমাম সাহেবের নিকট মক্তবের পাঠ সমাপ্ত করেন।পরে দ্বীনি শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ভর্তি হন জামেয়া ইসলামিয়া বারকোট মাদ্রাসায়।সেখানে প্রখ্যাত মহামনিষীগণের তত্ত্বাবধানে বিশেষ করে বিজ্ঞ উস্তাদ ও মুরব্বি হযরত মাওলানা আব্দুর রহিম শেরপুরীর (র.) নেগরানীতে তথায় কৃতিত্বের সহিত মুতাওয়াস্সিতা স্তরের লেখাপড়া সমাপ্ত করেন। অতঃপর সিলেট জেলার প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেউলগ্রাম মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে ছরফ, নাহু, বালাগাত, ফেকাহ ইত্যাদি বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে গাছবাড়ী আলিয়া মাদ্রাসায় জালালাইন শরিফে ভর্তি হন। এক বছর সেখানে লেখা—পড়া করে ইলমে দ্বীনের উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ১৯৫২ঈসায়ী সনের মাহে রমজানের প্রথম দিকে গমন করেন প্রাচ্যের দারুল আজহার নামে খ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দ,ভারত। দু’বছরে হাদীস তাফসীর ফিকাহসহ ইলমে দ্বীনের উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৫৪ ঈসায়ী সনের রমজান মাসের শেষের দিকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

বায়াত ও খেলাফত: হযরত শায়খে রায়গড়ী (র.) ছিলেন প্রখর মেধা ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তাঁর তাকওয়া ও ইলমের প্রখরতা শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানী (র.) এর শুভ দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তাই তিনি মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করার পর হরযত মাদানী রাহ.১৩৭৩ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে তাঁর পিতার নিকট তাঁকে পুণরায় দেওবন্দ পাঠিয়ে দেয়ার জন্য পত্র লিখেন। ফলে তিনি আবার দেওবন্দে চলে যান এবং নিজেকে সোপর্দ করে দেন স্বীয় উস্তাদ ও মুর্শিদ হযরত মাদানী (র.) এর খেদমতে। সেথায় বছর কাল তাফসির শাস্ত্রের উপর বর্ধিত জ্ঞান অর্জন করে মুর্শিদের পূর্ণ তত্ত্বাবধানে কঠোর সাধনা,রিয়াজত ও মুজাহাদার মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতার উচ্চাসনে সমাসীন হলে মুর্শিদ তাঁকে খেলাফত প্রদান করেন।

কর্ম জীবন :- হযরত মাদানী রাহ. হতে বিশেষ ইযাজত ও খেলাফত গ্রহণ করে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তদীয় উস্তাদ আল্লামা আব্দুর রহিম খাঁন শায়খে শেরপুরী (রঃ) এর নির্দেশে প্রথমে দারুল উলুম দেউলগ্রাম মাদ্রাসায় অধ্যাপনার কাজে আত্ম নিয়োগ করেন। সেখানে প্রায় তিন বছর অত্যন্ত সুনামের সহিত ইলমে দ্বীনের শিক্ষা দানের পর শেরপুরী হুজুরের দ্বিতীয় নির্দেশে ও এলাকাবাসীর আগ্রহে কওমী মাদরাসা শিক্ষা বর্ষ ১৯৭৭—৭৮ হিজরী সনের প্রথম দিকে শুভাগমন করেন ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় অতঃপর নায়েবে মুহতামিমের দায়িত্ব নিয়ে একাগ্রতার সহিত মনোনিবাশ করেন তা’লীম ও তারবিয়্যাতের সুমহান কাজে।পরবর্তীতে ১৪০১ হিজরী সনের রবিউল আউয়ল মাসে এ মাদ্রাসার ইহতেমামির মহান গুরুভার অর্পিত হয় তাঁরই উপর। আমানত ও দিয়ানত যোগ্যতা ও পারদর্শিতার মাধ্যমে দীর্ঘ ১৯ বছর মাদ্রাসা পরিচালনার গুরু দায়িত্ব সুষ্টভাবে আঞ্জাম দেন। সবুজ গোম্বজ বিশিষ্ট দাওরায়ে হাদীস ভবন, মাদ্রাসার তা’লীম তারবিয়্যাত সহ সর্বক্ষেত্রে সার্বিক উন্নতি সাধিত হয় তাঁরই হাতে।

অবদান :- এ ছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি দ্বীনের কথা পৌঁছানোর লক্ষ্যে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে জলসা তথা তাবলীগের কাজে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে অংশগ্রহণ করতেন এবং দ্বীনের প্রতি জনগণকে উৎসাহিত করতেন ইসলামী আন্দোলনে ও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সবসময় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন।রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি আকাবিরিন—আসলাফের রেখে যাওয়া আমানত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গোলাপগঞ্জ থানা শাখার সভাপতির মহান দায়িত্বে দীর্ঘদিন অদিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি তার দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে গিয়ে সব সময় হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর অনুসরণ করতেন। তিনি প্রাই হাদীসে পাকের এ কথাটি নসীহত স্বরূপ বলতেন \”সাবধান প্রত্যেককেই নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে কাল কেয়ামত দিবসে জবাবদিহি করতে হবে\”। তিনি সত্যের পথে অটল অবিচল ছিলেন কখনো অন্যায় অবিচার কে প্রশ্রয় দিতেন না,ওলামায়ে কেরামের মধ্যে কোন প্রকার জটিলতা সৃষ্টি হলে তিনি সঠিক পথের নির্দেশ করতেন। বৃহত্তর সিলেট জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বহুদ্বীনিপ্রতিষ্ঠান মসজিদ—মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় রয়েছে তার বিশেষ অবদান।

উল্লেখযোগ্য ঘটনা বা কেরামতঃ হযরত শেখ মোঃ ইউনুস আলী শায়খে রায়গড়ী রাহ. এর জীবনে বহু কারামত রয়েছে যা এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিস্তারিত বর্ণনা করা সম্ভবপর নয়। তদুপরী উল্লেখযোগ্য দু—একটি হলো—আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’আলীম বাংলাদেশের সম্মানিত সভাপতি ও জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর মাদ্রাসার বর্তমান মুহতামিম ও শিক্ষা সচিব মাওলানা জিয়াউদ্দিন সাহেব বলেন যেদিন শেখ সাহেব রাহ. এর মুর্শিদ কুতুবে আলম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রাহ.’র ওফাত হয় সেদিন তিনি আমাদের মাদ্রাসায় ছিলেন। হঠাৎ করে তিনি মাটিতে ঢলে পড়েন সাথে সাথে মাদ্রাসার ছাত্র—শিক্ষক হযরতের এই অবস্থা দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং তারা হযরতের মাথায় পানি ঢালতে শুরু করেন। অনেকক্ষণ পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি বলেন হায়! আজ পৃথিবী থেকে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র ঝরে গেল, কিন্তু তার কথা কথার মর্ম তখন কেউ বুঝতে পারল না, ইতিমধ্যে সর্বত্র খবর ছড়িয়ে পড়লে যে কুতুবে আলম মাদানী রাহ. আর দুনিয়াতে নেই। আরো একদিনের ঘটনা জনৈক মাওলানা সাহেবের কাছ থেকে শোনা, তখন তিনি ঢাকাদক্ষিণ মাদরাসার ছাত্র ছিলেন।একদিন উক্ত ছাত্র ও আরো একজন ছাত্রকে নিয়ে হযরত শেখ সাহেব রাহ. জাফলংয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দিলেন। রাস্তায় পড়লো খরস্রোতা পাহাড়ি নদী।নদীর স্রোত যা সামনে পাচ্ছে সবাই ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।নদী পার হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কাপড় গুটিয়ে তাঁকে অনুসরণ করার জন্য হযরত রাহ.তাদের বললেন। তারা হযরত রাহ. কে অনুসরণ করলো। কিন্তু কী আশ্চর্য ! নদীর কানায় কানায় পানির অস্তিত্ব তারা টেরই পেলেন না।অল্পক্ষণ পর তারা বিস্ময়ের সহিত লক্ষ্য করলেন যে, ইতিমধ্যে ওপারে পৌঁছে গেছেন। হযরত রাহ. কে তারা বলল,ফিরে যাবার সময় আমরা নদী কিভাবে অতিক্রম করব? তিনি এক খন্ড কাগজ নদীতে ফেলে দিয়ে বললেন— যাবার সময় নৌকা পাবে।এ কথা বলে গন্তব্যের দিকে রওনা দিলেন।কিছুদূর যাবার পর আশাতীতভাবে একখানা গাড়ি এসে পড়লে তারা তাতে চেপে অতি অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছান।আবার ফেরার পথে সত্যিই তারা একখানা নৌকা অপেক্ষারত অবস্থায় পেলেন। এ নৌকায় করে তারা নদী পার হলেন। মাঝিকে পয়সা দিতে চাইলে, সে পয়সা নিতে অস্বীকার করলো। নৌকা থেকে উঠার পর ফিরে তাকিয়ে দেখেন— নৌকা বা মাঝি কোনটাই নেই।যেন হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেছে।এভাবে সকলকে বিস্মিত করে দিয়ে নির্ধারিত সময়ের অনেক পূর্বেই তারা সকল মাদ্রাসায় পৌঁছলো।এজাতীয় কেরামতের কথা কাকেও না বলার জন্য তিনি ছাত্রদের বলে দিয়েছিলেন। তাঁর ওফাতের পর তারা তা প্রকাশ করেছে। তাঁর প্রদর্শিত আরো অনেক কেরামত জানা থাকা সত্ত্বেও নিবন্ধনের কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় এ স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা গেল না।তিনি এ নশ্বর পৃথিবী থেকে বিদায় হয়ে গেছেন কিন্তু এসব ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে হযরত মাওলানা শেখ মোঃ ইউনুস আলী রাহ. একজন আধ্যাত্মিক ওলিয়ে কামিল ছিলেন।

মৃত্যু তারিখ :- ওফাতের প্রারম্ভ: ০৮ ই মহরম ১৪১৯ হিজরী পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দু’দিনের জন্য মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা দিয়ে মাদ্রাসার চাঁদা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় এবং রাত্রী যাপন করেন টুক দিরাই গ্রামের জনৈক মুরিদের বাড়ীতে। পরদিন নামাজে আসরের পর তাঁর বুকে ব্যাথা অনুভব করলে খাদিম আব্দুল আহাদ তাকে বাড়ী ফিরে আসার কথা বলেন। প্রতিত্তোরে হযরত শায়খ (র.) বলেন “মাদ্রাসার চাঁদা সংগ্রহের জন্য এসেছি তাই কোন ক্রমেই বাড়ী ফিরে যাব না”। ঐ রাত্রিতে তিনি একটি স্বপ্ন দেখেন,যে কুতুবে আলম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রাহ. হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রাহ. ও মাওলানা কারী তায়্যিব রাহ. প্রমুখ আকাবিরীনে কেরাম তার সাথে মুসাফাহা মুআনাকা ও ফুর্তি আমোদ করছেন। ইত্যবসরে তার ঘুম ভেঙে যায় ,স্বপ্নের কথা তাঁর খাদেম আব্দুল আহাদকে বলেন এবং একথাও বলেন যে, আমি হয়তো আর বেশি দিন বাঁচবো না। খোদারকি অপূর্ব মহিমা পরদিনই তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়ে যায় পরদিন রাতে বুকে আবার ব্যাথা শুরু হলে তা ক্রমশঃ বাড়তে তাকে এবং রাত ১২টার সময় হযরত শায়খ (র.) মাওলায়ে হাক্বীক্বীর সাথে মিলিত হয়ে যান এবং এ নশ্বর পৃথিবী ত্যাগ কেও পরপারে যাত্রা করেন। মৃত্যুর তারিখ:০৯ই মহররম ১৪১৯ হিজরী, ২৩শে বৈশাখ ১৪০৫ বাংলা, মোতা. ৭ই মে ১৯৯৮ ইংরেজী,বুধবার দিবাগত পবিত্র আশুরার রজনীতে প্রিয় মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে যাত্রা করেন । পর দিন ১০ মহররম বাদ আছর তাঁর প্রিয় মাদ্রাসা ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাঠে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় । এতে ইমামতি করেন ক্বায়দে—উলামা আল্লামা হাফেজ আব্দুল করিম শায়খে কৌড়িয়া। মৃত্যু কালে তিনি রেখে যান দু’স্ত্রী, ছয় ছেলে, নয় মেয়ে এবং বড় ভাই শেখ ইউসুফ আলী সহ অসংখ্য ভক্ত—মুরিদান,গুণগ্রাহী। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৮ বছর।

 

তথ্য দানকারীর নাম :- আহমদ আব্দুল্লাহ, প্রাক্তন ছাত্র, ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলূম হুসাইনিয়া মাদরাসা,সিলেট।

তথ্য দানকারীর মোবাইল :- ০১৬৮৬০০১১৯৬

Spread the love